আবু হাসান শাহরিয়ার জীবনী:
জন্ম ২৫ জুন ১৯৫৯ (বয়স ৬২) সিরাজগঞ্জ।
পেশা: কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,
জাতীয়তা: বাংলাদেশী,
নাগরিকত্ব; বাংলাদেশ,
সময়কাল: স্বাধীনতা উত্তর,
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: প্রামাণ্য শামসুর রাহমান,
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৬),
দাম্পত্যসঙ্গী: মনিরা কায়েস,
আবু হাসান শাহরিয়ার ( জন্ম: ২৫ জুন ১৯৫৯ ) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তিনি দৈনিক পত্রিকা আমাদের সময় এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। এছাড়া তিনি দৈনিক দৈনিক যুগান্তর ও মুক্তকণ্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মান-জনক সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। কাব্য ছাড়াও তার অন্যতম গ্রন্থ প্রামাণ্য শামসুর রাহমান।
পরিচ্ছেদসমূহ:
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা,
সাংবাদিকতা,
সাহিত্যকৃতি,
প্রকাশিত গ্রন্থ,
কবিতা,
কিশোর কবিতা,
ছোটগল্প,
প্রবন্ধ-গবেষণা,
সমালোচনা,
সম্পাদনা,
পুরস্কার ও সম্মননা,
তথ্যসূত্র,
বহিঃসংযোগ,
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
তার জন্ম ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জুন রাজশাহীতে। পৈতৃক নিবাস কড্ডাকৃষ্ণ পুর, সিরাজগঞ্জ। তার বাবা শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ সিরাজউদ্দীন ছিলেন একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও সরকারী কলেজের অধ্যাপক। তিনি পিতা এবং মাতা লেখিকা রাবেয়া সিরাজ এর একমাত্র পুত্র, পরিণয়-সূত্রে কথা-সাহিত্যিক মনিরা কায়েস তার জীবনী সঙ্গিনী। তার শৈশব কেটেছে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং ঢাকা শহরে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এস এস সি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার পর চিকিৎসক হবার আশা নিয়ে তিনি ১৯৭০ এর শেষ ভাগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ছিলো। কিন্তু চিকিৎসা-শাস্ত্র তাকে বেশি দিন আকর্ষণ করে রাখতে পারেনি। তিনি এক বছর পড়ার পর মেডিক্যাল কলেজ চিরতরে বিদয় নিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন এবং সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। কিছু দিনের মধ্যে তিনি প্রকাশনা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। এরপর প্রবেশ করেন সাংবাদিকতায়।
সাংবাদিকতা:
শাহরিয়ার মূলত: একজন লেখক এবং সাংবাদিকতার জগতে তিনি প্রধানত সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে খ্যাতিমান। তিনি বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত দৈনিক মুক্তকণ্ঠের সাহিত্য বিভাগ খোলা জানালার সম্পাদক হিসেবে বিশেষ সুনাম অর্জন করে থাকেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক যুগান্তর সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দীর্ঘ-কাল সাহিত্য সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে কাজ করে ছিলেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে আমাদের সময় পত্রিকায় সম্পাদক পদে যোগদানের আগেও তিনি এ পত্রিকাটিতে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন।
সাহিত্যকৃতি:
ব্যক্তি জীবনে স্পষ্টবাদী, দৃঢ়চেতা ও আপসহীন হলেও তিনি রোম্যান্টিক কবিতার জন্য বিখ্যাত। তার কবিতা গীতল এবং ছন্দোময়তার কারণে শ্রুতিমধুর। তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন এবং সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রথম কাব্য-গ্রন্থ অন্তহীন মায়াবী ভ্রমণ ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এই প্রকাশনার মধ্য দিয়ে সে আধুনিক বাংলা কবিতার ভূবনে দৃঢ়-পদক্ষেপে প্রবেশ করেন। তার জীবনী, মিডিয়া, সাহিত্য ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি রচনা করেন সমাত্ম-জীবনী। তার বেশি ভাগ কবিতা দৃষ্টান্তবাদ সমর্থিত। কবিতা তার মূল বিচরণ ক্ষেত্র হলেও তিনি কথা-সাহিত্য, প্রবন্ধ এবং সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও মেধাবী অবদান রেখেছেন। তার গদ্য একইসঙ্গে স্বাদু এবং বিশ্লেষণ-ধর্মী। দীর্ঘ ৩০ বছরের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে তিনি কবি শামসুর রাহমানকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। এ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আমরা এক সাথে হেঁটে ছিলাম নামক একটি বই। এতে রয়েছে ২ প্রজন্মের ২ কবির মধ্যে চিন্তা ভাবনা বিনিময়-মূলক সংলাপ।
আড়ো পড়ুন: কবি কালিদাস রায় জীবনী:
আড়ো পড়ুন: কবি কায়কোবাদের জীবনী:
প্রকাশিত গ্রন্থ:
কবিতা:
অন্তহীন মায়াবী ভ্রমণ (১৯৮৬);
অব্যর্থ আঙুল (১৯৯০);
তোমার কাছে যাই না তবে যাব (১৯৯৬);
নিরন্তরের ষষ্ঠীপদী (১৯৯৯);
একলব্যের পুনরুত্থান (১৯৯৯);
এ বছর পাখিবন্যা হবে (২০০০);
ফিরে আশা হরপ্পার চাঁদ (২০০১);
হাটে গেছে জড়বস্তুবাদ (২০০৩);
শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৩);
সে থাকে বিস্তর মনে বিশদ পরানে (২০০৪);
প্রেমের কবিতা (২০০৪);
বালিকা আশ্রম (২০০৫)।,
“কিছু দৃশ্য অকারণে প্রিয়” (২০১৬),
“শিশিরে পা রাখো অসুখীরা” (২০১৮),
কিশোর কবিতা:
পায়ে নূপুর (১৯৮৪);
ভর দুপুরে অনেক দূরে (১৯৮৭);
আয়রে আমার ছেলেবেলা (১৯৯৮)।
ছোটগল্প:
আসমানী সাবান (১৯৮১)।[৪]
প্রবন্ধ-গবেষণা
কালের কবিতা কালান্তরের কবিতা (২০০০);
কবিতার প্রান্তকথা (২০০১);
অর্ধসত্য (২০০৩);
কবিতার বীজতলা (?)
কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা (২০০৪);
সমাত্মজীবনী : মিডিয়া ও প্রতিমিডিয়া (২০০৪);
কবিতার সঙ্গে কথোপকথন (২০০১)।
আমরা একসঙ্গে হেঁটেছিলাম
সমালোচনা:
উদোরপি-পিণ্ডি (১৯৯০)।
সম্পাদনা:
প্রামাণ্য শামসুর রাহমান (১৯৮৪);
জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র (২০০৩);
জীবনানন্দ দাশ : মূল্যায়ন ও পাঠোদ্ধার (২০০৩);
রূপসী বাংলা (২০০৩);
বনলতা সেন (২০০৪);
জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৬);
জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত প্রেমের কবিতা (২০০৬)।
পুরস্কার ও সম্মননা:
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (কবিতা) – ২০১৭