কেমন আছেন সবাই, আশা করি যে ভাল আছেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। অনেকেই আছেন যারা জানতে চান যে, এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় বা কি কি সমস্যা হয়ে থাকে তাদের জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনারা প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনারা সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এতক্ষণে বুজে গিয়েছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলে কি নিয়ে আলোচনা হবে তাহলে আসুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা।
[ads1]
এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?
যে সমস্ত ঔষধ এলার্জির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে অ্যান্টিহিস্টামাইন, কর্টিকোস্টেরয়েড, মাস্ট সেল স্টেবিলাইজার, লিউকোট্রিন ইনহিবিটারস, অ্যালার্জেন ইমিউনোথেরাপি, এপিনেফ্রিন শট এই রকমের আরও অনেক ঔষধ রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে সব থেকে বেশি পরিমানে যে এলার্জির ১টি ঔষধ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে মোনাস ১০ ট্যাবলেট।
আমাদের ভিতরে অনেকেই আছি যারা ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ না নিয়েই একটু এলার্জির ভাব হওয়ার সাথে সাথেই হাতের কাছে থাকা ট্যাবলেট পানি দিয়ে খেয়ে নেই।
আপনাদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে যে কোনো ধরনের ঔষধ খাওয়া যে কি পরিমানে বিপদজনক সেটা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভাল ভাবে পড়তে থাকেন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাহলেই সব জেনে যাবেন।
সকল ধরনের এলার্জির ঔষধ যে সমসত ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে সেগুলোকে নিয়ে আমি আপনাদের সাথে নিচে আলোচনা করতেছি।
►► আরো দেখো: কিডনি ভালো রাখার কৌশল
►► আরো দেখো: এলাচের অবিশ্বাস্য উপকারিতা
[ads1]
এলার্জির ঔষধের ৪টি সমস্যা
ঘুমের ভাব আসবে বেশি: এলার্জির ঔষধ যদি খেতে থাকেন তাহলে আপনাদের শরীরে এমনিতেই হালকা ঘুমের ভাব চলে আসবে।
কিন্তু এই ঔষধ যদি আপনারা পরিমাণের থেকে বেশি পরিমানে সেবন করেন তাহলে দেখা যাবে যে, সবসময় শরীরের ভিতরে ১টা ঝিমুনি ভাব আসতে থাকবে।
সব সময়েই মনে হতে থাকবে যে যেন আরও যদি একটু ঘুমোতে পারলে শরীরের শান্তি পেতাম।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে বেশি পরিমানে ঔষধ খেলে দেখা যাবে যে আপনারা যতই ঘুমান না কেন আপনাদের চোখ থেকে ঘুম যাবে না।
শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করবেন: শারীরিক দুর্বলতা এলার্জির ঔষধ খাওয়ার অন্যতম ১টা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
যদি আপনারা বেশি পরিমানে এলার্জির ঔষধ সেবন করে থাকেন তাহলে আপনাদের শরীর আস্তে আস্তে করে দুর্বল হয়ে যেতে থাকবে।
আর শারীরিক দুর্বলতা হওয়ার ঔষধ সেবন যে করবে সে লোকটি কোন কাজেই ভাল ভাবে মন দিতে পারবে না।
[ads1]
খিটখিটে মেজাজ হয়ে যাবে: অনেক বেশি পরিমানে যদি এলার্জির ঔষধ খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের শরীরের সহনশীলতা ক্রমেই হ্রাস পেয়ে যেতে থাকবে।
আর এতে করে দেখা যাবে যে আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া শুরু করে দিবে।
ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে ও প্রচন্ড পরিমানে রাগ হতে থাকবে আর সবকিছুই কেমন যেন অসহ্য মনে হতে থাকবে।
অন্যান্য আরও সমস্যা হবে: উপরে বলা সমস্যা গুলো বাদে ও আপনাদের কোষ্ঠ কাঠিন্য অথবা মূত্রত্যাগ কঠিন হয়ে যেতে থাকবে,
শরীরে শুষ্কতা অনুভব করতে থাকবেন আর ক্ষুধা বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে।
তাই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে নিজে নিজেই বেশি বুজে এই ঔষধ বেশি পরিমানে খেতে যাবেন না তাতে কিন্তু আপনাদের ক্ষতি আপনারা নিজেরাই করবেন।
আর তাই সাবধান থাকবেন, এই ভুল করার থেকে।
এলার্জির ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি আছে?
[ads1]
স্বাভাবিক মাত্রায় এলার্জির ঔষধ সেবন যদি করে থাকেন তাহলে তিন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
সাধারণত ভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অস্বাভাবিক পার্শপ্রতিক্রিয়া আর বিরল পার্শপ্রতিক্রিয়া আপনাদের শরীরের দেখা দিতে পারে।
সাধারণ যে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে তার ভিতরে রয়েছে বমি বমি ভাব হওয়া, মাথা ব্যথা করা, ত্বকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে থাকা, ডায়রিয়া হওয়া, জ্বর, অসস্তি এই রকমের সমস্যাগুলো আপনাদের হতে পারে।
►► আরো দেখো: ছেলেদের সেক্স ট্যাবলেট এর নাম এবং দাম
►► আরো দেখো: থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে রক্তক্ষরণ হওয়া, খিঁচুনি, অস্বাভাবিক রকম অনুভূতি,
মাংসপেশির ভিতরে ব্যথা, অসুস্থতা বোধ করা, অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকা, হতাশা, মাথা ঘুরতে থাকতে পারে, তন্দ্রাচ্ছন্ন অথবা মুখের শুষ্কতা এই রকমের যে সমস্যা আছে সেইগুলো হতে পারে।
আর এর বিরল পার্শপ্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে লিভারের সমস্যা, স্মৃতিলোপ, বুক ধড়ফড় করতে থাকা, হ্যালুসিনেশন,
মনোযোগ না থাকা কাজে, ফ্যাকাসে ভাব হয়ে যাওয়া, আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া এই সকল বিষয়গুলো হতে পারে।
[ads1]
এলার্জি প্রতিরোধের উপায় কি?
যেহেতু এলার্জি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে রক্ত সম্পর্কিত ১ ধরনের রোগ হিসাবে কিন্তু প্রায় স্থায়ী হিসাবেই সকলের কাছে পরিচিত সেই ক্ষেত্রে এটাকে নিরাময়ের থেকে ভাল হয় প্রতিরোধ করা।
এলার্জি প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন রকমের উপায় আপনারা অবলম্বন করতে পারেন।
আর সেগুলোর ভিতরে আছে এলার্জিজনিত খাবার যেমন মনে করুন যে,
বেগুন, গরুর মাংস, খাসির মাংস আর চিংড়ি মাছ এগুলো ভুলে ও খাবেন না।
আর তার সাথে সাথে সব সময়ে আপনারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবেন,
নাক আর মুখ ধুলা এবং আবর্জনা হতে দূরে রাখার জন্য চেষ্টা করবেন।
তবে হঠাৎ করেই কিন্তু অনেক বেশি যদি আপনাদের এলার্জি উঠে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা লাগবে।
এলার্জির ঔষধ সেবন করার আগে আপনাদেরকে অবশ্যই নিকটস্থ কোনো চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।
[ads1]
লক্ষণ আর উপসর্গ কি কি?
- মৌসুমি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস-এর
- ঘন ঘন হাঁচি হতে থাকে
- নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করে
- নাক বন্ধ হয়ে যায়
- অন্যান্য লক্ষণগুলির ভিতরে যেগুলো আছে চোখ ফেটে যায়
- আর চোখের ভিতরে তীব্র ব্যথা অনুভব হতে থাকে।
[ads1]
►► আরো দেখো: অতিরিক্ত পিল খেলে ক্ষতি হতে আগত সন্তানের!
►► আরো দেখো: সন্তান প্রসবের পর দীর্ঘদিন মাসিক বন্ধ থাকলে যা করণীয়
আমাদের শেষ কথা
আমাদের আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনারা জেনেছেন যে এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় আর এর থেকে রেহাই বা মুক্তি পাবার উপায় কি? আশা করি যে, আমাদের আজকের এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয় এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লেগেছে।
[ads1]
আমাদের ওয়েবসাইট এর ভিতরে এই রকমের তথ্য প্রতিদিন দেওয়া হয়ে থাকে।
আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট এর তথ্য সবার আগে পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।
আপনারা এই রকমের সাস্থ বিষয়ক অনেক তথ্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।