এটি বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এর চাহিদা আকাশচুম্বী। আমাদের দেশের ড্রাগন ফল খুব বেশি পরিচিত লাভ করেছে। এটি এক ধরনের ক্যাকটাস ভিত্তিক ফল বলা হয়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক, আবার ড্রাগন ফল খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সাইডেন্সে ভরপুর রয়েছে।
এছাড়াও ড্রাগন ফল আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। ড্রাগন ফলের উপকারিতা জানুন।
সেই সঙ্গে কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকি সহ বিভিন্ন রোগ সমূহ। এজন্য খেতে পারেন ড্রাগন ফল। এর ফলের চাহিদা আমাদের দেশে নিয়মিত বেড়েই চলছে।
ফলটি কেটে খাওয়ার পাশাপাশি শাক ও দেখার একটা সৌন্দর্যতা তৈরি হয়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন। এ ফলটি দুই ভাগে কেটে দুটো পার্ট করে খুব সহজেই খাবার জন্য প্রস্তুত করা যায়।
এটি কাটার পরে খুব সহজেই চামচ দিয়ে ভিতরের শাঁস খাওয়া যেতে পারে যা চমৎকার সুস্বাদু।
এটি কাটার পরে দেখতে যতটা সুস্বাদু নয় তার থেকে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু বটে।
এজন্যই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। আসুন জেনে যাক এই ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য।
(১) ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান
মনে রাখবেন, ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলে ক্যালরির সংখ্যা অনেক কম হয়ে থাকে পাশাপাশি এতে থাকে পর্যাপ্ত ডায়েটরি ফাইবার।
এক কাপ পরিমাণ ড্রাগন ফলে থাকে ১৩৬ ক্যালরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম ফাইবার, আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম এর মাত্রা ১৮% এবং ভিটামিন সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ।
এছাড়াও ভিটামিন-ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ এবং ফ্যাট একেবারেই থাকে না।
ড্রাগন ফলের চেহারা যখন একদম টুকটুকে লাল হয়ে যায় তখন এটা খাবার উপযোগী হয়। এটা সুস্থ মানুষ পুরো মোটামুটি টাইপের একটা ড্রাগন ফল খেতে পারে।
এতে তার শরীরে ক্যালরি প্রোটিন এবং ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর পরিমাণটা বেড়ে যাওয়াতে শরীর থাকবে স্বদেশ এবং তরতাজা।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেকগুলোর মধ্যেও এগুলো নিয়মিত আমাদের শরীরে প্রয়োজন হয় তাই ড্রাগন ফলটা আমাদের শরীরের জন্য অনেকটাই প্রয়োজন বটে।
আমাদের দেশে ড্রাগন ফলের চাহিদা খুব বেশি। বিদেশি এই ফলটির মূল্য আমাদের দেশের বাজারে ৩০০-৪০০/- পরিমাণ প্রত্যেক কেজি। অনেকের কাছে এটি খাবার অযোগ্য মনে হতে পারে।
কিন্তু এতে রয়েছে একটা মানুষকে সচল রাখার পুরো ওষুধ।
আর এর মধ্যে এত পরিমান ভিটামিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি প্রোটিন থাকাতে এর চাহিদা শিক্ষিত মানুষের কাছে অনেক বেশি হয়ে থাকে।
(২) ড্রাগন ফল এন্টিঅক্সাইডের সমৃদ্ধ
উপরে যে বিষয় বলা হলো ড্রাগন ফল হলো অ্যান্টি-অক্সাইডেড সমৃদ্ধ একটি ফল। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
এই ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্লাভোনয়েড, ফেনোলিন এসিড এবং ভিটাসায়ানিন এন্টিঅক্সাইডেন্টে।
আপনারা জানেন যে, ড্রাগন ফলে থাকা এ ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান গুলো আমাদের শরীরের কোষ গুলি ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সহযোগিতা করে।
এটি ক্যান্সার এবং অকালে গুরিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি করতে পারে। সব রোগের মহা ঔষধ ড্রাগন ফলকেই বলা হয়ে থাকে মূলত।
আমাদের শরীরে প্রত্যেকদিন যে পরিমাণ এন্টিঅক্সাইডের প্রয়োজন পড়ে তা অনেকটাই বহন করতে পারে ড্রাগন ফল।
একটি ফল আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মেডিসিন সংগ্রহ করতে সহযোগিতা করে।
উপরে আলোচিত অ্যান্টিঅক্সাইড সমৃদ্ধ বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে এই ফলে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অজানা নয় তারপরেও এটি যারা অপছন্দ করেন তারাও চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন এর স্বাদ কেমন।
সুস্বাদু এই ফলটির মধ্যে রয়েছে অনেকের বড় ধরনের রোগের চিকিৎসা। এই ফলকে ডাক্তারি ভাষায় মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে।
(৩) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে ড্রাগন ফল
হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্য যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা ড্রাগন ফল ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে নিয়মিত কাজ করে।
ড্রাগন ফলে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিকস থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
এ সালের নিয়মিত সেবন রক্তে শর্করার ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তারা খেতে পারেন।
নিয়মিত ড্রাগন ফল এতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং দিন দিন ডায়াবেটিসের আভাস গুলো কমতে থাকবে এতে করে আপনি থাকতে পারবেন সুস্থ।
যা বলেছি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সত্যিই অনেক।
মনে রাখবেন রক্তে সরকারের মাত্রা বৃদ্ধি হওয়া মানেই ডায়াবেটিক্স তা কিন্তু নয়। বরং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত না হলেও বাড়তে পারে রক্তে শর্করার পরিমাণ।
আপনি নিয়মিত খেতে পারেন সুস্বাদু এই ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের লক্ষে এতে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহ শরীরের বিভিন্ন রোগ বালাই দূর হবে এবং আপনার শরীরকে ভিটামিন এ ভরিয়ে দিবে ড্রাগন ফল।
(৪) ড্রাগন ফল কমাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি
এবার আপনি শুনতে অবাক হলেও এটা সত্য যে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এটি নিরলস ভাবে কাজ করে।
কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যান্সার বিরোধী বিভিন্ন উপাদান। বিশেষ করে কোন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে এই ড্রাগন ফল।
আপনারা জানেন ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি রয়েছে পর্যাপ্ত তাই এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে দ্রুত এটি ক্যান্সার ছাড়াও বিভিন্ন রোগের সহায়ক হয়ে থাকে।
ক্যান্সার একটি নরমাল রোগ যা নির্ময় করতে ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অনেক। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা বললে হয়তো শেষ হবে না তবে আমরা কিছু না বললেই পারছিনা।
এটি বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন: ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অ্যালজাইমার, এবং পারকিনসনের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হয়।
যাদের নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের শরীরের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন এ ফলের গুরুত্ব কতটা।
এজন্য মারাত্মক রোগ গুলো শরীরে প্রবেশ করার আগেই আপনি নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
স্বাস্থ্য-টিপস সম্পর্কিত আরো পোস্ট
(৫) হজম শক্তিতে ড্রাগন ফলের কার্যকারিতা
আজিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে।
এবং ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেও ফেলেছি।
আমাদের শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ভিত্তিতে সহায়তা করে থাকে। আর এ কারণেই হজম ক্ষমতাও ভালো হয়।
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়াতে পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল।
এজন্য হজম শক্তি ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া দরকার বলে গবেষকদের মতামত।
যাদের হজম সমস্যা রয়েছে তারা খেতে পারেন উপকারী এই ড্রাগন ফলটি এটি আপনার হজম শক্তিকে দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবে।
হজম শক্তিতে ড্রাগন ফলের কার্যকারিতা অনেক বেশি। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি বিভিন্ন রোগের সহায়ক বটে।
হজম সমস্যা অনেকের মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাই যাদের মধ্যে হজম সমস্যা রয়েছে তারা খেতে পারেন ড্রাগন ফলের মত মহা ঔষধ এতে আপনার হজম সমস্যা।
যেমনটা প্রতিরোধ করবে তেমনি আপনি থাকতে পারবেন চঞ্চল এবং সুস্থ। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা পাঁচটি টিপস জেনে ফেলেছেন।
(৬) হার্ট রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল
হার্টের জন্য উপকারী ফল হচ্ছে ড্রাগন। এটা এখন ফলে ক্ষুদ্র কালো বীজগুলো ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ সেটি এসিড সমৃদ্ধ।
এগুলো হার্টের জন্য খুবই ভালো এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
তাই এই ফল হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী বটে।
এটি হার্ড ভালো রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে আপনাকে সহায়তা করবে।
হার্ট সমস্যার সমাধানে ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অনেক বেশি। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অন্যতম একটি হচ্ছে আর একটি সমস্যার সমাধান।
এটি আপনার হার্টের সমস্যা দূর করতেও নিরালশ কাজ করবে। যাদের রয়েছে হার্টের সমস্যা তারা খেতে পারেন সুস্বাদু এই ড্রাগন ফল।
এরমধ্যের ক্ষুদ্র কালো বীজগুলো কালোজিরা দেখতে হলেও এর স্বাদ যেন জিব্বতে লেগে থাকার মতই।
হার্টের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াটাও একটু কষ্টকর বটে।
শরীর ভারী হলে অথবা বিভিন্ন কারণ অকারণে অনেকের শরীরে ই হার্টের সমস্যা দেখা যেতে পারে আর এজন্য খেতে পারেন আপনি নিয়মিত ড্রাগন ফল।
তবে ড্রাগন ফল যে শুধুমাত্র এইভাবেই খাওয়া যায় তা নয় এটি খাওয়ার বিভিন্ন উপাসমূহ রয়েছে যেমন আপনি চাইলে এটি দিয়ে সালাত বানিয়ে খেতে পারেন।
(৭) হাড়ের জন্য ড্রাগন ফল
হাড়ের জন্য ভালো হচ্ছে ড্রাগন ফল। আপনার হার ভালো রাখতে ড্রাগন ফলের ভূমিকা অনেক বেশি।
যদিও ইতিমধ্যে ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেকগুলো তবে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপনার হাড় ভালো রাখবে।
একটা সুস্থ মানুষের জন্য হার ভালো থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
১৮% ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হারকে শক্তিশালী করে তোলে এবং হাড়ের সুস্থতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে ড্রাগন ফল।
সর্বোপরি অন্যান্য মারাত্মক রোগের মত রোগ গুলোর মধ্যে হাড়ের সমস্যা যাদের রয়েছে।
তারাও খেতে পারে নিয়মিত ড্রাগন ফল এতে আপনার উপকার হবেই পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল এবং শক্তিশালী রাখবে।
হাড়ের জন্য এই ফলটি নিয়মিত খেলে আপনার হাড়ের সমস্যার দূর হবে।
পাশাপাশি ক্যান্সার ডায়াবেটিস হজমশক্তি সহ আরো বিভিন্ন রোগের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে ড্রাগন ফল।
এটি যেমন নিয়মিত আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেবে তেমনি আপনার খাবারের স্বাদসহ বিভিন্ন কিছু বাড়াতেও সহায়তা করবে।
(৮) চোখের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া
চোখের জন্য খেতে পারেন নিয়মিত ড্রাগন ফল। এটি চোখের জন্য অনেক উপকারী বটে। এতে ভিটা-ক্যারোটিন রয়েছে।
এজন্য এই ফল চোখের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন: চোখে শাড়ি পড়ে যাওয়া এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করা সহ আরো চোখের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে সহায়তা করে।
যাদের চোখে এ ধরনের সানি পড়ার সমস্যা রয়েছে তারাও নিয়মিত খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল এতে আপনার চোখের উপকারিতা রয়েছে পাশাপাশি আরো আপনার বড় বড় রোগ কে প্রতিহার করার জন্য তৈরি থাকে এই ফলের প্রাকৃতিক উপাদান সমূহ।
চোখ ভালো রাখতে ড্রাগন ফলের কার্যকারিতা অনেক বেশি। ম্যাকুলার ডিজাইনারেশন প্রতিরোধে ড্রাগন ফল অনেক বেশি উপকারী।
চোখ ভালো রাখার জন্য খেতে পারেন নিয়মিত এই ফলটি। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আসলেই বলে শেষ করার মত নয়।
এটি আপনি নিয়মিত খেতে পারলে আপনার শরীরের অনেকগুলো রোগ নিরাময়ে হয়ে যাবে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি পূর্বের থেকে অনেকটা সুস্থ এবং স্বস্তি ভোগ করছেন।
(৯) গর্ভবতী নারীর জন্য ড্রাগন ফল
উপরে আলোচিত বড় বড় সমস্যাগুলোর সমাধানের পরও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে উপকারী এই ফল হচ্ছে ড্রাগন।
ভাবছেন গর্ভবতী নারীদের জন্য এই ফল আবার কি উপকারে আসতে পারে! হ্যাঁ এই ফলে ভিটামিন বি,
ফুলেট এবং আয়রন রয়েছে তাই এটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ একটি ফল হিসেবে বিবেচিত।
এজন্য গর্ভবতী নারীরা খেতে পারেন ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেকগুলো তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অনেক বেশি উপকারী।
তাছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে যা মহিলাদের পোস্টমেনোপজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আর এজন্য গর্ভবতী মহিলারাও নিয়মিত খেতে পারে ড্রাগন ফল।
তবে ছোট বড় কম বয়সেই বেশি বয়সেই সবাই খেতে পারে এই ফলটি তবে সবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
এর সাদ্ব একটু নোনতা হলেও খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে যা গর্ভবতী মহিলারা খুব ভালোভাবেই খেতে পারে। এজন্যই বলা হয় মহরোগের ঔষধ dragon ফল।
(১০) ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা
ইতিমধ্যেই ৯টি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সর্বশেষ ১০ নাম্বার উপকারিতা হলো আপনার ত্বক উজ্জ্বলতায় ড্রাগন ফলের গুরুত্ব অনেক বেশি।
ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বককে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তুলতে সহায়তা করে।
তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দিনে একবার জুস খেতে পারেন ড্রাগন ফলের।
ড্রাগন ফল বিভিন্ন উপায় খাওয়া যায়। কেউবা ড্রাগন ফলকে দুই ভাগে বিভক্ত করে খেতে ভালোবাসে আবার কেউ সালাত বানিয়ে কেউ কেউ এটার জুস খেতেই পছন্দ করে।
আপনার যেভাবে পছন্দ হয় আপনি খেতে পারেন এই ফলটি এতে আপনার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি সেজন্য নিয়মিত বহন করতে পারেন ড্রাগন ফল।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সবার জন্যই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে তাই নিয়মিত ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বৃদ্ধি করতে খেতে পারেন এই ফলটি।
এই ড্রাগন ফোর্টি আমাদের বর্তমান বাজারে মোটামুটি দামের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছি এবং এটি খাওয়ারও অনেক বেশি পদ্ধতি রয়েছে।
সে পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনার ত্বককে আরো উজ্জ্বল করতে খেতে পারেন ড্রাগন ফল।
স্বাস্থ্য-টিপস সম্পর্কিত আরো পোস্ট
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
- ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
- গর্ভাবস্থায় সহবাস কতটা নিরাপদ?
- কিভাবে লম্বা হওয়া যায়?
সর্বশেষ নির্দেশনা
ড্রাগন ফলের অপকারিতা খুব কম হলেও এর উপকারিতার দিকটা খুব বেশি ফুটে উঠেছে তাই এর অপকারিতা সম্পর্কে না ভেবে উপকারিতার দিকগুলো বিবেচনা করেই আপনি খেতে পারেন নিয়মিত ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যেহেতু ইতিমধ্যে আপনি অনেকগুলো জেনেছেন তাই এটি নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করুন।
এতে আপনার শরীরের কন্ডিশন নিয়মিত ভালো থাকবে।
যাদের রয়েছে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হজমশক্তি সমস্যা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা তারা খেতে পারে নিয়মিত ড্রাগন ফল এটি আপনাকে সতেজ রাখতেই সহায়তা করবে না।
বরং আপনার অনেক বড় বড় রোগকে নিরাময়ের কাজ করে থাকে। ড্রাগন ফলের উপকারিতা বলে শেষ করার মতোই নয়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি এটাই জানুন।
ড্রাগন ফলের মধ্যের অংশটা দুই ধরনের হয়ে থাকে একটা হচ্ছে সাদা এবং এর কালো জিরার মত কিছু অংশ থাকে।
আবার একটা হচ্ছে পুরো লাল যার মধ্যে কালোজিরার মত কিছু অংশ থাকে যেগুলো আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
এজন্য নিয়মিত খেতে পারেন আপনারা ড্রাগন ফল এতে আপনাদের উপকার অনেক বেশি।
ছবি: পিক্সেল থেকে সংগৃহীত