ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন জানুন!

ড্রাগস তৈয়ার, আমদানি, বন্টন, বিক্রয় ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণীত আইন।

ধারাঃ ১! সংক্ষিপ্ত শিরোনাম-

এই অধ্যাদেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২ নামে অভিহিত হইবে।

ধারাঃ ২! অন্যান্য আইনসমূহের প্রয়োগ-

এই অধ্যাদেশের বিধানসমূহ ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন,

১৯৪০ এবং বর্তমানে বলবত অন্যান্য আইনের বিধান কে খরবনা করিয়া বরং তদতিরিক্ত হিসেবে কার্যকর হইবে এবং ওই আইনে বা

এইরূপ অনলাইনে বা কোন দলিলের চুক্তিতে বিপরীত কিছু থাকা সত্ত্বেও এই আইন কার্যকর হইবে।

ধারাঃ ৩! সংজ্ঞা- বিষয়ও প্রসঙ্গে ভিন্ন কিছু না থাকিলে এই অধ্যাদেশে-

(ক) এক্ট অর্থ ১৯৪০ সনের ড্রাগস এক্টকে বুঝাইবে।

(খ) কমিটি অর্থ এই অধ্যাদেশের অধীনে গঠিত ‘ড্রাগস নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে’ বুঝাইবে।

(গ) কাউন্সিলর তো এই অধ্যাদেশের অধীনে জাতীয় ড্রাগস উপদেষ্টা কাউন্সিলকে বুঝাইবে।

(ঘ) ড্রাগস এক্টর মতো এই অধ্যাদেশের একই অর্থ বহন করিবে এবং আয়ুর্বেদিক ইউনানী

এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বায়োকেমিক সিস্টেমে একচেটিয়াভাবে ব্যবহৃত উৎপাদন কেউই হার আওতাভুক্ত করিবে।

(ঙ) তফসিল অর্থ এই অধ্যাদেশের তফসিলকে বুঝাইবে।

►► আরো দেখো: ৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার টিপস
►► আরো দেখো: টাকা উপার্জন করার অ্যাপ ২০২২ (১০০% নিশ্চিত)

ধারাঃ ৪! ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ কমিটি-

(১) সরকার একজন চেয়ারম্যান এবং যতজন সদস্য উপযুক্ত বলিয়া মনে করেন কতজনকে লইয়া একটা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করিবে।

(২) অধ্যাদেশে বর্ণিত কর্মসমূহ কমিটি সম্পাদন করবে।

ধারাঃ ৫! ঔষধের রেজিস্ট্রেশন-

(১) লাইসেন্স প্রদান কারী কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কোন ধরনের ঔষধ বিক্রয়ের জন্য তৈয়ার বা আমদানি, বন্টন বা বিক্রয় করা যাইবে না।

হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকেমিক ঔষধ রেজিস্ট্রেশন এর জন্য লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যে সকল দেশে হোমিওপ্যাথি বায়োকেমিক ঔষধ ও গৃহীত হইয়াছে সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রকাশিত ওই সকল দেশের প্রচলিত গুণগত মান অনুসরণ করবেন। [২০০৬ সনের ৪নং আইন ধারা সন্নিবেশিত]

(২) সালমা কমিটির সুপারিশ না করি লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কোন ঔষধটি তালিকাভুক্ত করিবে না।

(৩) লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত শর্তসমূহ পূরণ সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন মঞ্জুর করা হইবে।

(৪) রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা না হইলে পাঁচ বছরের জন্য বলবত থাকিবে।

ধারাঃ ৬! রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা স্থগিত

(১) লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে কোন ঔষধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিতে পারিবেন।

(২) আলোচ্য অধ্যদেশ কার্যকর হওয়ার পূর্বে রেজিস্ট্রিকৃত প্রত্যেকটি ঔষধ এবং ওই অধ্যাদেশ’ জারি হওয়ার পর প্রত্যেকটি তৈরিকৃত বা আমদানিকৃত ঔষধ নিরাপদ,

এবং ব্যবহারোপযোগি কিনা তা মূল্যায়ন করবে।

(৩) যদি কমিটির নিকট এইরূপ মূল্যায়নের পর প্রতীয়মান হয় যে,

এইরুপ ঔষধ নিরাপদ, ফলপ্রদ বা ব্যবহার উপযোগী নয় তাহলে ঔষদের নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিতে সনদ বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করিতে পারিবেন।

(৪) কোন একটা ঔষধ নিম্নমানের বলিয়া লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ অসন্তুষ্ট হলে এবং উক্ত ঔষধটি যথাযথ গুণ অর্জন করিয়াছে এই মর্মে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এইরূপ ঔষধ এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিতে পারিবেন।

ধারাঃ ৭! রেজিস্ট্রেশন ফি

আবেদন বা দরখাস্তের সহিত সরকার কর্তক নির্ধারিত ফি পরিশােধ না করিলে কোন ঔষধের রেজিস্ট্রেশন মঞ্জুর করা যাইবে না।

ধারাঃ ৮! কোন ঔষধ তৈয়ার, ইত্যাদিতে নিষেধাজ্ঞা-

(১) এই অধ্যাদেশ ইস্যু বা জারি হওয়ার পর তফসিলে উল্লিখিত সমস্ত ঔষধের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং এইরূপ কোন ঔষধ উপধারা।

(২)-এর বিধান সাপেক্ষে ব্যতীত, তৈয়ার, আমদানি, বণ্টন বা বিক্রয় করা যাইবে না।

(২) উপধারা (১)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন—

  • (ক) তফসিল ১-এ বর্ণিত ঔষধসমূহ এই অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নষ্ট করিতে হইবে;
  • (খ) তফসিল ২-এ বর্ণিত ঔষধসমূহ ঐ অধ্যাদেশ জারি হওয়ার বার মাসের মধ্যে তৈয়ার অথবা বিক্রয় করা যাইবে এবং ইহার পরও এই রকম ঔষধ তৈয়ার এবং বিক্রির অনুমতি দেওয়া যাইবে যদি রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশানুসারে ফরমূলা পরিবর্তন করিয়া রেজিস্ট্রিভুক্ত করা হয়।
  • (গ) তফসিল ৩-এ বর্ণিত ঔষদসমূহ এই অধ্যাদেশ জারির আঠার মাসের মধ্যে তৈয়ার, আমদানি, বন্টন বা বিক্রয় করা যাইবে না।
  • (ঘ) তফসিল ৪-এ বর্ণিত ঔষধসমূহ এই অধ্যাদেশ জারির আঠার মাসের মধ্যে তৈয়ার, বণ্টন এবং বিক্রয় করা যাইবে এবং লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আবার তালিকাভুক্ত। হইলে ঔষধসমূহ তৈয়ার, বণ্টন এবং বিক্রির অনুমতি দেওয়া হইবে; তবে শর্ত থাকে যে, তফসিল ৩ ও ৪-এ বর্ণিত ঔষধসমূহ তৈয়ারের জন্য কোন নূতন। কাঁচামাল আমদানি করা যাইবে না।

ধারাঃ ৯! কতিপয় নির্দিষ্ট ঔষধপত্রের কাঁচামাল আমদানিতে বাধানিষেধ-

(১) যেকোন তফসিলে বর্ণিত কোন ঔষধ তৈয়ারের জন্য প্রয়ােজনীয়। ঔষধপত্রের কাঁচামাল আমদানি করা যাইবে না।

(২) কোন ঔষধ অথবা ঔষধপত্রের কাঁচামাল লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে আমদানি করা যাইবে না।

(৩) লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ উপধারা (২) অনুসারে যেইরূপ মনে করেন সেইরূপ শর্ত আরােপ করে অনুমােদন দিতে পারিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, কোন তৈরি ঔষধ আমদানি করিবার অনুমতি প্রদানকালে ৫ ধারার (১-ক) উপধারার অধীনে তালিকাভুক্ত যেকোন দেশে ঐ ঔষধের যে ব্র্যান্ড নাম থাকিবে এ নামেই ঐ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা হইবে।

ধারাঃ ১০। লাইসেন্স প্রদানকারী চুক্তি অধীনে ঔষধ উৎপাদনে লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনুমােদনক্রমে- 

(ক) যদি ৫ ধারার ১ (ক) উপধারার অধীনে সুনির্দিষ্ট কোন দেশে একই ব্র্যাণ্ড নামে রেজিস্ট্রি হইয়া থাকে এবং ঔষধটি যদি ইহার গবেষণা দ্রব্য হইয়া থাকে তাহা হইলে বাংলাদেশের যেকোন প্রস্তুতকারীর সহিত লাইসেন্সিং চুক্তির অধীনে যে বিদেশী প্রস্তুতকারী বাংলাদেশে ঔষধ প্রস্তুত করিতে পারিবে;

(খ) বাংলাদেশের যেকোন প্রস্তুতকারী বাংলাদেশে যেকোন ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার সাথে লিখিত চুক্তিমূলে যেকোন ঔষধ উৎপাদন করিবার অনুমতি পাইবে। [২০০৬ সালের ৪নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

ধারাঃ ১১। ড্রাগের মূল্য নির্ধারণ

(১) সরকার, সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, কোন ঔষধ বিক্রয় সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, কোন ঔষধপত্রের কাচামাল আমদানি বা বিক্রয় সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

ধারাঃ ১২। সংশ্লিষ্ট বিদেশী কোম্পানির সহিত কতিপয় লাইসেন্স সংক্রান্ত চুক্তির পর্যালােচনা-

(১) বাংলাদেশে কোন ঔষধ বা ড্রাগ তৈয়ার করিতে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোন বিধান বিদ্যমান আছে কিনা তাহা পরখ করিয়া দেখিবার জন্য সরকার বাংলাদেশী কোম্পানি এবং বিদেশী কোম্পানির সহিত সম্পাদিত রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স সংক্রান্ত কোন চুক্তি পর্যালােচনা করিতে পারিবেন।

(২) সরকার এইরূপ পর্যালােচনার পর যদি দেখে যে এইরূপ কোন চুক্তির কোন বিধান জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে এইরূপ বিধান সংশােধন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে এইরূপ কোম্পানির প্রস্তুতকারক রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স সরকার কর্তৃক স্থগিত বা বাতিল হইবে।

ধারাঃ ১৩। ফার্মাসিস্টসমূহ, ইত্যাদি নিয়ােগ –

(১) কোন ব্যক্তি- (ক) বাংলাদেশের ফার্মেসী পরিষদে; (ক) রেজিস্ট্রারে তালিকাভুক্ত একজন ফার্মাসিস্ট এবং যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে নিম্নলিখিত ডিগ্রীপ্রাপ্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধান ব্যতীত ঔষধ উৎপাদন করিবে না।

(১) রসায়ন, বায়ােকেমিস্ট্রি, ফলিত রসায়ন, মাইক্রোবায়ােলজী, ফার্মাকোলজী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রী (চার বছরের কোর্স) বা মাস্টার্স ডিগ্রী; বা।

(২) ফার্মেসী, মেডিসিন বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক ডিগ্রী।

(খ) কোন ব্যক্তি কোন ইউনানী আয়ুর্বেদিক বা হােমিওপ্যাথিক বা বায়ােকেমিক পদ্ধতির ঔষধ বা অন্য গাছান্ত ঔষধ দুই ব্যক্তির ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধান ব্যতীত উৎপাদন করিতে পারিবে না,

এই দুই ব্যক্তি মধ্যে একজনকে সংশ্লিষ্ট ঔষধ পদ্ধতিতে ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা থাকিতে হইবে, উক্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা সরকার কর্তক স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান হইতে থাকিতে হইবে এবং তাহার ঔষধ প্রস্তুত এবং মান নিয়ন্ত্রণে কমপক্ষে এক বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। থাকিতে হইবে; এবং অন্য ব্যক্তিকে ফার্মেসীতে স্নাতক ডিগ্রীধারী বা রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা,

ফলিত রসায়ন, বায়ােকেমিস্ট্রিতে চার বৎসরের অনার্স। স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তি হইতে হইবে। সরকার কর্তৃক কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা লইতে হইবে এবং তাহার ঔষধ প্রস্তুত এবং এক বৎসরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে।

(২) কোন খুচরা বিক্রেতা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের কোন রেজিস্ট ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধান ব্যতিরেকে কোন ঔষধের পদ্ধতি বা গাছান্ত বিক্রি করিতে।

►► আরো দেখো: ৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার টিপস
►► আরো দেখো: টাকা উপার্জন করার অ্যাপ ২০২২ (১০০% নিশ্চিত)

ধারাঃ ১৪। ঔষধ বা ড্রাগস সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ-

রেজিস্ট্রেশন লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত কোন ব্যক্তি ড্রাগের ব্যবহার রেজিস্টেশন বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত কোন ব্যক্তি ড্রাগের ব্যবহার। সম্পর্কিত কোন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবেন না বা প্রকাশনায় অংশগ্রহণ করিবেন না।

ধারাঃ ১৫। ঔষধ বা ড্রাগস তৈয়ার এবং মান নিয়ন্ত্রণে সৎ অনুশীলন অনুসরণ-

(১) প্রত্যেক ঔষধ বা ড্রাগস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে ঔষধ তৈয়ার এবং মান। নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সুপারিশকৃত সৎ অনুশীলন অনুসরণ করিতে হইবে।

(২) যদি কোন প্রস্তুতকারক এইরূপ সৎ অনুশীলন অনুসরণ না করে তাহা হইলে ঔষধ তৈয়ারির লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করিতে পারিবেন।।

ধারাঃ ১৬। কতিপয় ঔষধ তৈয়ার, ইত্যাদির শাস্তি-

যদি কেহ ঔষধ তৈয়ার, আমদানি, বণ্টন বা বিক্রয় করে?

(ক) এই অধ্যাদেশ অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত নহে এমন কোন ঔষধ, বা

(খ) ধারা ৮-এর বিধানসমূহ লঙ্ন করিয়া কোন ঔষধ, কিংবা

(গ) কোন ভেজাল ঔষধ।

তাহা হইলে সেই ব্যক্তি দশ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডে কিংবা দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং ড্রাগ কোর্ট এইরূপ ঔষধ কিংবা ড্রাগ তৈয়ারিতে ব্যবহৃত কোন সরঞ্জাম সরকার বরাবরে বাজেয়াফত করিতে পারিবেন।

ধারাঃ ১৭। নিম্নমানের ঔষধ তৈয়ার বা বিক্রয় করিবার শাস্তি-

যদি কেহ নিম্নমানের ঔষধ তৈয়ারি বা বিক্রয় করে তাহা হইলে সেই ব্যক্তি পাঁচ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডে বা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

ধারাঃ ১৮। অননুমােদিতভাবে ঔষধ বা ড্রাগস আমদানির ক্ষেত্রে শাস্তি-

যদি কেহ রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমােদন ব্যতীত কোন ঔষধের কাঁচামাল আমদানি করে তাহা হইলে সেই ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা।

পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং ড্রাগ কোর্ট এইরূপ ঔষধ অথবা কাঁচামালকে সরকার বরাবরে বাজেয়াফত করিতে পারিবেন।

ধারাঃ ১৯। উচ্চমূল্যে ঔষধ বিক্রয় কিংবা ঔষধের কাঁচামাল আমদানি বা বিক্রয়- যদি কেহ ধারা ১১-এর অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের চাইতে আরাে বেশি মূল্যে কোন ঔষধ বিক্রয় করে কিংবা Pharmaceutical raw material আমদানি অথবা বিক্রয় করে তাহা হইলে সেই ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

২০ ধারাঃ । সরকারী ঔষধ চুরি ইত্যাদির শাস্তি- যদি কেহ সরকারী গুদাম, হাসপাতাল, ক্লিনিক বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোন ঔষধ চুরি করে অথবা এইরূপ ঔষধ বিক্রয় করে। অথবা এইরূপ ঔষদ বিক্রয় করিবার জন্য নিজের দখলে রাখে তাহা হইলে সেই ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

২১ ধারাঃ । অবৈধ বিজ্ঞাপনের শাস্তি- যদি কেহ ধারা ১৪-এর বিধান লঙ্ঘন। করে তাহা হইলে সেই ব্যক্তি তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।



যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে, এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Leave a Comment