প্রকৃতি ও জলবায়ু নিয়ে মুনেমের লড়াই

জলবায়ু আগে এতো দ্রুত পরিবর্তন হয় নি যা বর্তমানে হচ্ছে। ঘন ঘন বন্যা, ঘুর্নিঝড়,

বাতাসের নির্মলতা হ্রাস ইত্যাদি এখন মনে হয় নিত্যদিনের সাথী।

আগে এতো ঘনঘন বন্যা বা ঘুর্ণিঝড় হতে দেখা যায়নি।

শুধু তাই নয়, সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির উচ্চতা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত।

প্রকৃতি ও জলবায়ু নিয়ে মুনেমের লড়াই

যা আমি মনে করি বাংলাদেশের মতো বিপদাপন্ন দেশের জন্য খুবই মারাত্মক।

ইদানিং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আমার মতে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম খারাপ প্রভাব।

আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিই সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির মূল কারন।

একটু বৃষ্টি হলেই বন্যা, জলাবদ্ধতার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

এভাবেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ব্যখ্যা করছিলেন মুনেম শাহরিয়ার। প্রকৃতি ও জলবায়ু নিয়ে মুনেমের লড়াই।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির এ শিক্ষার্থী ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস নেটওর্য়াকের প্রশিক্ষণ নিয়ে জলবায়ু সুবিচার আদায়ে সক্রিয়ভাবে নানা ধরনের প্রচারণা ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

তরুণদের ফ্রাইডে ফর ফিউচার আন্দোলনে ও আছে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ।

মুনেমের চোখে জলবায়ু সংকট হলো, জলবায়ুর স্বাভাবিক ছন্দের পতন যা বছর বছর ধরে চলে আসা জলবায়ুর স্বাভাবিক গতিময়তার আকস্মিক ব্যাঘাত।

মুনেমের জলবায়ু নিয়ে কাজ করা শুরু হয় ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর হাত ধরে।

এর আগে এই জলবায়ু কি বা কেন পরিবর্তন হচ্ছে এই সম্পর্কে কোনও সাধারন ধারনা ছিল না,

কিন্তু এই জলবায়ুর পরিবর্তন গুলো দেখে তার মনে হতো যে কিছু করা দরকার ।


আরো পড়ুন: নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারে?
আরো পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে যে কাজ করলে দ্রুত সুন্দর হবেন


কিছু করার চিন্তা থেকে পরিবেশবাদি সংঠন আরণ্যক এ যুক্ত হন।

আরণ্যক এর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ইয়ুথনেটের অসাধারণ কার্যক্রম দেখে ইয়ুথনেট এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা লাভ করেন।

প্রকৃতি ও জলবায়ু নিয়ে মুনেমের লড়াই

তিনি বলেন একজন যুবক হিসেবে আমি আমার লক্ষ্য ঠিক করি আমাকেই কিছু করতে হবে।

কারন এই জলবায়ুর উপর সকলের অধিকার আছে।

আমি ইয়ুথনেটের এর কো-অর্ডিনেটর সোহান ভাইয়ার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হই এবং জলবায়ু সুবিচার আদায়ে সচেতন হই।

নানা রকম সামাজিক কাজের পাশাপাশি আমি জলবায়ু নিয়ে কাজ করতে থাকি।

নিজের বাড়ির পিছনে বাগান করি কারন আমি মনে করি সব কাজ নিজের ঘর থেকে শুরু হওয়া উচিত।

নিজের পরিবারের লোকজনকে সচেতন করি।

এরপর সোহানুর রহমান ভাইয়ার নেতৃত্বে #COP26 Youth Engagement Challenge Fund এর আওতায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পাই।

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দুর্ভোগের কথা জানার চেষ্টা করি এবং এইগুলোই সকলের সামনে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের কি করা উচিত এবং সরকারের কি করা উচিত তা নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করি।

সরকারি কর্মকর্তা যারা জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন তাদের কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করি।

যাতে করে আমাদের মতো সাধারন জনগনের পাশাপাশি দেশ নিয়ন্ত্রকরাও সচেতন হয়।

তিনি এই মাঠ পর্যায়ে কাজের মাধ্যমে মানুষের জীবনে জলবায়ুর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পেরে এবং মানুষের দুর্দশা অনুভব করেই নিজে থেকে ধাপে ধাপে একজন জলবায়ু যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।

তিনি মনে করেন বর্তমানে তরুণদের এগিয়ে আসা উচিত। কারন তরুণরাই পারবে এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে।

প্রকৃতি ও জলবায়ু নিয়ে মুনেমের লড়াই


আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার ১২ টি জনপ্রিয় উপায়
আরো পড়ুন: Composition: My favourite Hobby(বাংলা অর্থসহ)


ইট পাথরের দেয়াল ভেদ করে বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তরুণরা অবগত হলেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা দমিয়ে রাখতে পারবে না।

জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট সমস্যা গুলো মোকাবেলা করতেই হবে।

এবং তরুণদের সেক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কারন তরুণরাই ভবিষ্যত এবং বর্তমান।

একজন জলবায়ু কর্মী হিসেবে বিশ্বনেতাদের কাছে তার দাবি বিশ্বের উন্নত দেশ গুলো যেন কার্বন নিঃসরণের ব্যপারে সতর্ক হয়, যুবকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা,

গ্রীন হাউস গ্যাসের উৎস কমিয়ে আনা, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত সকল দেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন গ্রহন করা,

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

তিনি স্বপ্ন দেখেন আগামীর পৃথিবী হবে সবুজ ‌শ্যামল, যেখানে থাকবে না কোনো পরিবেশ দূষণ, থাকবে না কোনও জলবায়ু পরিবর্তন।

তাই সবুজ এবং সুরক্ষিত আগামীর পৃথিবী বিনির্মানে তিনি কাজ করছেন দুর্বার গতিতে।

 

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Leave a Comment