মিথ্যা মামলা হলে করণীয় কি?

মিথ্যা মামলা হলে করণীয় কি জানেন তো? এ ধরণের প্রশ্ন আমাদের মেইল করে অনেকেই জানতে চান। [ads1] তাদের জন্য আমাদের আজকেই এই টিউটোরিয়াল।

আসুন এ বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

কোনও অপরাধ না করার পরও শত্রুতাবশত কেউ আপনার বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে মামলা করতে পারেন।

মিথ্যা মামলা হলে ভয় পাবেন না।

আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন।

[ads1]

মিথ্যা মামলা হলে করণীয়

প্রথমে জানতে হবে, মামলাটি থানায় নাকি আদালতে হয়েছে।

এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আরজি বা এজাহারের কপি তুলতে হবে।

মামলাটির ধারা ও অভিযোগ জামিনযোগ্য কিনা তা জানতে হবে।

গুরুতর অভিযোগ না হলে ও জামিনযোগ্য হলে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে পারবেন আসামি।

অভিযোগ জামিন-অযোগ্য হলে হাইকোর্ট বিভাগে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আগাম জামিন চাইতেও পারেন আসামি।

আদালতে বিচার চলাকালে নির্দিষ্ট তারিখে অবশ্যই হাজিরা দিতে হবে।

[ads1]

কোনও যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে আসামির জামিন বাতিল করে দিতে পারেন আদালত।


আরো পড়ুন: ফেসবুক গ্রুপ থেকে ৫ উপায়ে ইনকাম করুন
আরো পড়ুন: এনআইডি ছাড়া কেনা যাবে দুটি সিম


জামিন কখন চাইতে হবে?

জামিন সাধারণত পুলিশ প্রতিবেদন হওয়ার আগেই চাইতে হয়।

পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগটি করা হয়েছে, তা প্রমাণের চেষ্টা করুন।

মিথ্যা মামলা গ্রেফতার হলে আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করতে পারবেন।

[ads1]

যদি পুলিশ রিমান্ড চায়, তা হলে আইনজীবীর উচিত হবে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা।

যদি থানায় না হয়ে আদালতে মামলা (সি আর মামলা) হয়, সে ক্ষেত্রেও আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে হবে।

মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করার শাস্তিঃ

[ads1]

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ১৭ ধারায়ও মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তির কথা উল্লেখ আছে।

এখানে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কারও ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অন্য কোনো ধারায় মামলা করার জন্য আইনানুগ কারণ নেই জেনেও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন অথবা করান,

তবে সেই অভিযোগকারী অনধিক সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

এছাড়া Law of Torts অনুসারে বিদ্বেষ পরায়ণ মামলার ক্ষেত্রে প্রতিকার পেতে চাইলে বাদীকে প্রমাণ করতে হবে যে,

[ads1]

  • বিবাদী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল
  • পূর্বের মামলার প্রকৃতি দেখে মনে হয় , মামলাটি বাদীর অনুকূলে শেষ হতে পারত
  • মামলাটি যুক্তিসংগত এবং সম্ভাব্য কারণ ছাড়া করা হয়েছিল
  • মামলাটি বিদ্বেষবশত করা হয়েছিল
  • মামলার ফলে বাদীর ক্ষতি হয়েছে।

জামিন সাধারণত পুলিশ প্রতিবেদন হওয়ার আগেই চাইতে হয়। তবে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে, তা প্রমাণের চেষ্টা করুন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা না পেলে আপনাকে নির্দোষ দেখিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন।

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।  আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment