সামাজিকমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি এর শাস্তি

সামাজিকমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি এর শাস্তি? এ ধরণের প্রশ্ন আমাদের মেইল করে অনেকেই জানতে চান। তাদের জন্য আমাদের আজকেই এই টিউটোরিয়াল। আসুন এ বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনটির একটি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

১২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে।

সামাজিকমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি এর শাস্তি

বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অনলাইনে নারীদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া, আক্রমণাত্মক বা অপমানজনক মন্তব্য করা, কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়া ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা ঘটে তা হলো– নারীরা লজ্জা ও সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পায়।

অনলাইনে ধর্ষণের হুমকি ও হয়রানির শিকার হলে সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ীও অভিযোগ করার বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

আরো পড়ুন: পর্নোগ্রাফি আইন সম্পর্কে আলোচনা ও বিচার
আরো পড়ুন: ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন জানুন

এখন কথা হচ্ছে– কোনও নারী যদি এ ধরনের সমস্যার শিকার হন তবে তিনি কি করবেন।

আর কি ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব?

অনলাইনে এ ধরনের হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হলে তথ্যপ্রমাণসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশের আইনে কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সামাজিকমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি এর শাস্তি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সুস্পষ্টভাবে হয়েছে, যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃত বা অজ্ঞাতসারে অন্য ব্যক্তির জন্য আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক কোনও তথ্য প্রকাশ করেন,

অথবা এমন কোনও তথ্য প্রকাশ করেন, যা অন্য ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ করতে পারে এবং মিথ্যা জানা সত্ত্বেও অন্যদের অপমান,

অপদস্থ, বিরক্ত বা হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কোনও মন্তব্য করা হলে তার কারাদণ্ড ও জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

এ ধরনের অপরাধের শাস্তি আইন অনুযায়ী এ রকম ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান আছে।

এ ছাড়া এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে, অর্থাৎ অনলাইনে এ ধরনের কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিতে থাকলে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান আছে।


আরো পড়ুন: ৬ ক্যাটাগরিতে দন্ডবিধির বিভিন্ন প্রকার শাস্তিযোগ্য ধারাসমূহ
আরো পড়ুন: মিথ্যা মামলা হলে করণীয় কি?


কি করবেন

ধর্ষণের হুমকি বা আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হলে নিকটস্থ থানায় সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়া সাইবার ইউনিটে মেইল করে এবং কাউন্টার টেররিজম বিভাগের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ করতে পারবেন।

ই-মেইল ও অ্যাপে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজের পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ করতে পারেন।

অভিযোগের পক্ষে কিছু তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে রাখা ভালো।

এ ধরনের অপরাধের শাস্তি

আইন অনুযায়ী এ রকম ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রয়েছে। এ ছাড়া এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে, অর্থাৎ অনলাইনে এ ধরনের কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিতে থাকলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে।

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।  আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment