অতিরিক্ত পিল খেলে ক্ষতি হতে আগত সন্তানের! বেশির ভাগ মেয়েই জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খায়।
জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য পিল খাওয়া মেয়েদের কাছে একটি সাধারন ব্যাপার, তাছাড়া মাসিক ঠিক করার জন্য ও অনেক সময় মেয়েরা পিল খায়।
কিন্তু এই পিল সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কম। একজন মেয়ের জন্য পিল কখনোই ভাল কিছু না বরং একটা মেয়েকে ধিরে ধিরে শেষ করতে এই পিলই যথেষ্ট।
ইমার্জেন্সি পিল যে গর্ভজাতের পক্ষে নিরাপদ নয়, তা মেনে নিচ্ছেন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরাও।
তারা জানায়, সন্তানধারণ রুখতে সাধারণ পিলের থেকে ২১ গুণ বেশি ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন থাকে ইমার্জেন্সি পিলে।
ফলে ডিম্বাশয়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। যা ডিম্বাশয়ের স্বাভাবিক কাজ আটকে দেয়, ক্ষতিগ্রস্ত করে ডিম্বাণুকে।
ইমার্জেন্সি পিল সম্পূর্ণ নিরাপদও নয় বলে তাদের দাবি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিতত্ত্ব বিভাগের ডাউন সিনড্রোম সংক্রান্ত এক গবেষণায় জানা গেছে,
অতিরিক্ত পিলের ব্যবহারে বাড়ছে সন্তানের ডাউন সিনড্রোম।
অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পরে সন্তানধারণ এড়াতে যখন-তখন ইমার্জেন্সি পিলের ব্যবহার বাড়াচ্ছে নারীদের বিপদ যা সন্তানের উপর প্রভাব পড়ছে।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণাপত্র ‘আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজি’তে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অতিরিক্ত পিল খেলে ক্ষতি হতে আগত সন্তানের!
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ইমার্জেন্সি পিলের ব্যবহারে মায়ের জিনগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
কারণ, বারবার ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহারের ফলে ডিম্বাশয়ে নানা প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে।
যার কারণে জিনগত পরিবর্তন হয় আর তার প্রভাব সরাসরি পড়ে গর্ভজাতের উপরে।
ফলে তার ক্রোমোজমে ত্রুটি দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এ ধরনের সন্তানের দেহের তুলনায় মাথা, কান এবং ঘাড় ছোট হয়।
আরো পড়ুন: বিখ্যাত আবিষ্কার ও আবিষ্কারকের নাম
আরো পড়ুন: বৈচিত্রা – সুমাইয়া শাহরীন
বুদ্ধির বিকাশ হয় অনেক দেরিতে। এই গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সুজয় ঘোষ।
তিনি জানান, সন্তানের ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তের কারণ হিসেবে বাবা-মায়ের জিনগত ত্রুটিকেই ধরে নেওয়া হয়েছে।
একই পরিবারের মধ্যে বিবাহের রীতির জেরেই পরবর্তী প্রজন্মকে ভুগতে হয়, এটাই ছিল প্রতিষ্ঠিত তথ্য।
নতুন গবেষণায় দেখা দিয়েছে, এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মায়ের ইমার্জেন্সি পিল কিংবা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের জেরেও সন্তানের জিনগত ত্রুটি তৈরি হতে পারে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।