ই পাসপোর্ট ফি কত – ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

আপনারা জানেন যে ই পাসপোর্ট বাংলাদেশের পাসপোর্ট সেবার জগতে নতুন একটি সংযোজন। এটি প্রয়োজন হয়ে থাকে অধিকাংশ মানুষের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে। (e passport) ই পাসপোর্ট ফি কত অথবা ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন আপনার মত যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

আগে যে সকল পাসপোর্টগুলো ইস্যু করা হতো সেগুলোকে বলা হতো “M.R.P” এম.আর.পি। এই MRP এর পূর্ণরূপ হল Machine Readable Passport (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) তবে এই পাসপোর্ট গুলোতে সুরক্ষার দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল। আর এজন্যই বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে পুরোদমে ই পাসপোর্ট সেবা (e passport Seva) চালু করেছেন।

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, বাংলাদেশ সরকার (e passport) ই পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করণের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করেছেন। এই সকল পাসপোর্ট অফিসেই এখন পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। এখন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আলাদা কোন বিশেষায়িত পাসপোর্ট অফিসের প্রয়োজন হয় না।

ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা

Passport with 48 pages and 5 years validity
Regular delivery within 21 days: TK 4,025
Express delivery within 10 days: TK 6,325
Super Express delivery within 2 days: TK 8,625
Passport with 48 pages 10 years validity
Regular delivery within 21 days: TK 5,750
Express delivery within 10 days: TK 8,050
Super Express delivery within 2 days: TK 10,350
Passport with 64 pages and 5 years validity
Regular delivery within 21 days: TK 6,325
Express delivery within 10 days: TK 8,625
Super Express delivery within 2 days: TK 12,075
Passport with 64 pages 10 years validity
Regular delivery within 21 days: TK 8,050
Express delivery within 10 days: TK 10,350
Super Express delivery within 2 days: TK 13,800

(সূত্র: ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর)

বাংলাদেশ সরকার ৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ও প্রধান করে থাকেন। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী (e passport) ই পাসপোর্ট পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৬,৩২৫/-, ৮,৩২৫/- এবং ১২,০৭৫/- টাকা। এই ফ্রি গুলো প্রধান করার লক্ষ্য হচ্ছে যথাক্রম নিয়মিত জরুরিও অতি সেবার জন্য।

একইভাবে ১০ বছরের ৪৮ পাতার এ পাসপোর্ট এর জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীর ফি প্রধান করতে হবে ৫,৭৫০/-, ৮,০৫০ এবং ১০,৩৫০/- টাকা। এই টাকা গুলো ফ্রি করার কারণ হচ্ছে নিয়মিত জরুরী ও অতি জরুরী পাসপোর্ট সেবা পাওয়ার জন্য।

১০ বছরের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য খরচ গুনতে হবে ৮,০৫০/- টাকা নিয়মিত ডেলিভারি পেতে। জরুরি সেবায় ই পাসপোর্ট পেতে গুনতে হবে ১০,৩৫০ টাকা। অতি জরুরি সেবায় ই পাসপোর্ট এর ফি হলো ১৩,৮০০ টাকা। (ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা তা উপরে উল্লেখিত রয়েছে)


►► Driving License Renewal
►► Police Clearance check


ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

ইতিমধ্যে উপরে আমরা ই-ফাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ই পাসপোর্ট ফি কত শেষ সম্বন্ধে বিস্তারিত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি এরপরেও এই টাকাগুলো কেন লাগে এবং কোন কোন খাতে ব্যবহৃত হয় সেগুলো আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।

সাধারণত পাসপোর্ট এর নির্ধারিত ফি রেগুলার পরিবর্তন হয় না। আপনি চাইলে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা জানতে সরকারি ওয়েবসাইট থেকেও টাকার পরিমান টুকু জেনে নিতে পারেন। সরকারি ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট কর্তৃক সব ধরনের তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।

মনে রাখবেন, উপরে নির্ধারিত ফি এর বাইরে কোন ধরনের টাকার প্রয়োজন হয় না পাসপোর্ট করার জন্য। বিভিন্ন সময় অনেকেই দালালদের খপ পড়ে পড়ে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হন যেগুলো একদমই বিরত থাকার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেছেন পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ।

ট্রাভেল পারমিটের জন্য যেসব কাগজপত্র দূতাবাসে জমা দিতে হবে, যেমন-
  • ক. হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি
  • খ. হারানো পাসপোর্টের ভিসা এরাইভাল হওয়ার কপি
  • গ. কয়েক কপি ছবি
  • ৪. থানার জিডি কপি
  • ৫. C Form/সি ফর্ম তথা যে দেশে থাকছেন সেখানকার ঠিকানা ও তার প্রমাণপত্র।
  • ৬. সব কাগজের সঙ্গে পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে জানিয়ে একটি ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করার জন্য আবেদন লিখতে হবে মিনিস্টার কাউন্সিলর বরাবর।

পাসপোর্ট করার ধাপসমুহ

সংক্ষেপে নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম বা ধাপ এগুলো। এই লিস্ট দেখলেই হয়ত বুঝে যাবেন কি করতে হবে। আর না বুঝলেও সমস্যা নাই নিচে আমি প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত লিখছি।

  • ই-পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা
  • পাসপোর্ট এপ্লিকেশন ফরম পূরণ করা
  • পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া
  • আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করা
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন
  • পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা
  • পাসপোর্ট সংগ্রহ করা

(সূত্র: nirbodh)

ই পাসপোর্টে বিশেষ সতর্কতা

(e passport) ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা এবং ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা সম্বন্ধে ইতিমধ্যে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। তবে ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবশ্যই প্রয়োজন। খেয়াল করলে দেখবেন যে ই পাসপোর্ট করার সময় আপনি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পূর্বে আপনাকে অনেক লোক বিভিন্ন তথ্য বোঝার চেষ্টা করবে। মূলত তারা হচ্ছেন দালাল।

ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কখনো দালালের শরণাপন্ন হবেন না। দালালের শরণাপন্ন হলে আপনাকে তারা একদম সর্বহারা করে দিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দালালের কোন প্রয়োজন হয় না ই পাসপোর্ট করতে। অফিসের এবং সরকারি ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী টাকা পে করার পরে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার কাঙ্খিত ই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন এজন্য কখনো দালালের সম্মুখীন হবেন না।

অনেক সময় দেখা যায়, ই পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে দালালদের আনাগোনা অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ভুল তথ্য আপনার মাঝে প্রদর্শন করার চেষ্টা করে থাকে যে তথ্যগুলো আহরণ করা থেকে একদম বিরত থাকবেন। ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা তা আপনি নিজেই যেহেতু উপরে জানতে পেরেছেন তাই তাদের থেকে এ বিষয়গুলো কোনভাবেই জানার চেষ্টা করবেন না।

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment