আমরা যারা দৈনন্দিন জীবনে অনলাইনের সাথে অনেক বেশি জড়িত কিংবা অনলাইনে যারা কাজ করে তারা গুগল এডসেন্স এর সাথে খুবই পরিচিত। পরিচিত হওয়ার মেইন কারণ হচ্ছে আমরা অনলাইনে যেসকল প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করি সেই সকল প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে আমাদের ইনকাম করার টাকা গুলো উইদ্র করার জন্য বেশিরভাগ সময় গুগল এডসেন্স কি ব্যবহার করতে হয়।
কমন কয়েকটা ওয়েবসাইট কিংবা প্ল্যাটফর্ম আমরা চিনি। ইউটিউব, ওয়েবসাইট, অ্যাডমুব সহ বেশকিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে ইনকাম করলে সেগুলো গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে তুলতে হবে।
গুগল এডসেন্স কি?
এটি গুগলের নিজস্ব একটি সার্ভিস। এটির মালিকের অসম্পূর্ণ গুগোল, এবং এটি গুগোল টিমের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে হ্যান্ডেলিং হয়ে থাকে অর্থাৎ এটি কারো প্রাইভেট কন্ট্রোল নেই।
গুগল রোবট ইন সিস্টেম কিংবা গুগোল টিমের মাধ্যমে এটি কেবল মাত্র পরিচালনা হয়ে থাকে।
গুগলের এই সার্ভিসটি আজ থেকে ১৮ বছর আগে রিলিজ হয়েছে, জুন- ১৮ – ২০০৩ সালে। মনে রাখবেন এটি সম্পূর্ণ গুগলের একটি এড নেটওয়ার্ক।
আপনি চাইলে গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারেন হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন আপনার ব্লগ কিংবা আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করিয়ে।
গুগলের এই এড নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সিকিউর এবং নিরাপদ একটি মাধ্যম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো অ্যাড নেটওয়ার্কের মধ্যে গুগল এডসেন্স হচ্ছে সবচাইতে পপুলার এবং সিকিউর।
আর এটা এজন্যই সিকিউর কেননা এটি সম্পূর্ণ গুগলের ব্যক্তিগত প্রোডাক্ট।
গুগল এডসেন্স হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এড নেটওয়ার্ক এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সম্পূর্ণ সিকিউর।
এটা সঠিক ভাবে আপনাকে পেমেন্ট প্রধান করবে এবং খুব সহজেই এখান থেকে আপনি আপনার পেমেন্ট গুলো উইড্রো করতে পারবেন।
এমনকি অনেক ব্লগার রা বর্তমানে গুগল এডসেন্স এর সাথে media.net এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু এর থেকেও সবচাইতে জনপ্রিয় এবং পপুলার হল গুগল এডসেন্স এড নেটওয়ার্ক।
যেহেতু এটি গুগলের ব্যক্তিগত সার্ভিস তাই এটা সম্পর্কে আশা করি আপনাকে আর ডিটেলস বলতে হবে না।
আরো পড়ুন: জন্মভূমি – জায়েদ ইরফান
আরো পড়ুন: চেক সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর
গুগল এডসেন্স থেকে ডলার আয় করা!
এটি যারা মোটামুটি এটার সাথে পরিচিত তাদের কাছে খুব সহজ একটা ব্যাপার কিন্তু যারা গুগল এডসেন্স এর সাথে পরিচিত না তাদের জন্য এটা অনেকটা কঠিন হতে পারে আবার কিছু কিছু সময় অনেক কঠিন হয়েও পড়ে।
গুগল এডসেন্স থেকে উপার্জন করা যায় না কিন্তু উপার্জন করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট কিংবা বিভিন্ন সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে।
এক্সাম্পল: আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন এজন্য ইউটিউব এর যে রিকোয়রমেন্ট রয়েছে তাদের পার্টনারশিপ হওয়ার জন্য অর্থাৎ আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য যে রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে সেগুলো কে সম্পূর্ণভাবে ফিলাপ করতে হবে।
অতঃপর ফিলাপ করার পরে আপনাকে তারা অনুমতি দিবে যে আপনি এখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ‘গুগল এডসেন্স’ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন, এবং এটি ব্যবহারের ফলে গুগল থেকে যেসকল ইনকাম গুলো আপনি করবেন সেই ইনকাম গুলো আপনার এডসেন্স এর মাধ্যমে সহজেই উইথড্র করতে পারবেন।
একইভাবে আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন,
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করার সিস্টেমটা হচ্ছে এমন যে, আপনার ওয়েবসাইটে গুগোল কিংবা ওয়েবসাইটের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী বেশকিছু কন্টেন লিখতে হবে এবং সেগুলো সম্পূর্ণ ইউনিক এবং কপিরাইট ফ্রি থাকতে হবে।
অতঃপর এপ্লাই করার পরে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হলে এক পর্যায়ে আপনার ওয়েবসাইট থেকে যে ইনকাম হবে সেগুলো আপনি আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে উইড্রো করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স থেকে ডলার উইথড্র করা!
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উইড্রো করার জন্য তাদের যে সকল রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে সেগুলো কে ভালো ভাবে আপনাকে জানতে হবে।
তাদের রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল যেখান থেকে আপনি ইনকাম করেন না কেন সেটা ইউনিক ভিজিটর কিংবা ট্রাফিকের মাধ্যমে হোক এটা গুগোল সবসময় রিকোয়ারমেন্ট করে থাকে।
আপনার ইনকাম গুলো সচ্ছল এবং ভালো পথে হোক এটা গুগোল সবসময় রিকোয়ারমেন্ট করে থাকে।
বিভিন্ন সময় মানুষ বিভিন্ন খারাপ পথে ইনকাম করার চেষ্টা করে খারাপ দিকগুলো অবলম্বন করে ইনকাম করার চেষ্টা চালিয়ে যায় অতঃপর সেগুলো গুগোল ধরতে পারলে তার সম্পূর্ণ ইনকাম গুলো ক্লোজ করে ফেলে অর্থাৎ তাকে আর ইনকামের টাকা গুলো পাওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে না।
ওয়েবসাইট কিভাবে ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করার পরে সেটা যখন আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ট্রান্সফার হবে এবং সেখানে যখন আপনার ’10 USD’ ডলার হবে তখন গুগোল অফিস থেকে আপনার নিকট একটা চিঠি পাঠানো হবে, যার মধ্যে ৬ ডিজিটের একটি কোড লেখা থাকবে সেই কোড দিয়ে আপনাকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।
তবে হ্যাঁ, গুগল এডসেন্স ক্রিয়েট করার সময় আপনি যে এড্রেসগুলো দিয়ে থাকবেন সেই অ্যাড্রেস এই মূলত গুগল আপনাকে চিঠি পাঠিয়ে থাকেন।
তবে এড্রেস পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। আপনার এড্রেস যদি ভুল হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি এড্রেস পরিবর্তন করতে পারবেন।
এডসেন্স থেকে টাকা উইড্রো
মনে রাখবেন, আপনার এডসেন্স একাউন্ট ৬ ডিজিটের পিন দিয়ে ভেরিফাই না করা পর্যন্ত আপনি যত টাকা উপার্জন করবেন তা গুগল এডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে তুলতে পারবেন না।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে হলে আগে আপনাকে পিন ভেরিফাই করতেই হবে, বাধ্যতামূলক।
অতঃপর আপনার পিন ভেরিফাই সম্পূর্ণ হলে যখন আপনার ‘100 USD’ হবে তখন সেটা গুগোল আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে থাকবেন, তবে এখানে আপনাকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গুগল এডসেন্স একাউন্টের সাথে ম্যানুয়ালি কানেক্ট করতে হবে।
ব্যাংক একাউন্টের কিছু ইনফরমেশন দিয়ে আপনি এটা সহজেই করতে পারবেন।
কিন্তু গুগল এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই না করে আপনি এখানে ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারবেন না তাই এটা ভেরিফাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাধ্যতামূলক।
আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার ১২ টি জনপ্রিয় উপায়
আরো পড়ুন: নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য শিক্ষণীয় গল্প!
কিভাবে অ্যাডসেন্স একাউন্ট তৈরি করব?
গুগোল এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করার পূর্বে গুগলের অফিশিয়াল এবং আপডেট প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে জানুন।
গুগোল পড়তে গিয়ে তাদের রুলস এবং বিভিন্ন ফিচার আপডেট করে থাকে তাই তাদের অফিশিয়াল পলিসি সম্পর্কে অবগত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার জন্য গুগলের যে রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে এবং সহজ মাধ্যম গুলো কে অবলম্বন করতে পারেন।
তার পরেও আপনাদের জন্য একটু সহজ করার চেষ্টা করছি আমরা।
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমে এই লিঙ্কে আসুন www.google.com/adsense/start অতঃপর উপরের দিকে লক্ষ্য করুন ‘Singin‘ বলে একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
এরপরে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক প্রদান করুন, অতঃপর আপনার লোকেশন সিলেক্ট করুন, এরপরে গুগলের প্রাইভেসি সম্পর্কে অবগত থাকলে ‘আমি রাজি’ এটা জানিয়ে নেক্সট ক্লিক করুন।
অতঃপর আপনার নিজস্ব এড্রেস ব্যবহার করুন।
অ্যাড্রেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এই অ্যাড্রেসে কিন্তু গুগোল আপনার নিকট চিঠি পাঠিয়ে থাকবেন। অতঃপর গুগোল একটি কোড আপনাকে পেমেন্ট করবে সেটি আপনার ওয়েবসাইটের হেডারে গিয়ে অ্যাড করে দিন।
এরপরে ‘Apply Now‘ বাটনে ক্লিক করুন। এবং এপ্লাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুন।
এপ্লাই করার ১৪ দিনের মধ্যে গুগোল আপনার ওয়েবসাইট কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল রিভিউ করে দেখবেন তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী সবকিছু ঠিক আছে কিনা।
সবকিছু ঠিক থাকলে তারা আপনার ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে সাইটে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে দিবেন।
তবে হ্যাঁ ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স কালেক্ট করার বিষয়টা একটু আলাদা। এর জন্য আপনাকে উপরের দেওয়া লিংকে ক্লিক না করেও এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন।
ইউটিউব ক্রিয়েটর স্টুডিও থেকে “Monetization” যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন এরপর ইউটিউব এর সকল রিকয়ারমেন্ট পূরণ হওয়ার পরে নিচের দিকে লক্ষ্য করুন ‘Apply Now‘ বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন এরপরে তাদের যে রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে সেগুলো পূরণ করে এপ্লাই করে ফেলুন এখানে আপনাকে আলাদা করে কোড এড করার ঝামেলা করতে হবে না।
প্রত্যেকদিনের ইনকাম কিভাবে দেখবেন?
এটা ইম্পরট্যান্ট একটা কাজ! আপনার প্রত্যেকদিন কত পেজ ভিউ হচ্ছে, কত ইম্প্রেশন হচ্ছে, কত ডলার ইনকাম হচ্ছে-
সেটার জন্য ‘গুগল এডসেন্স ড্যাশবোর্ডে’ একটি উইজেট থাকবে সেটা আপনি দেখতে পারেন।
এখানে আপনি ফিল্টারিং করে প্রত্যেকদিন কত ইনকাম হচ্ছে সেটা সহজেই দেখতে পারবেন।
এছাড়া এখান থেকে লাস্ট ৭ দিন এবং সর্বশেষ ২৮ দিনের ইনকাম সহ আপনি সর্বশেষ ৩ মাসের ইনকাম দেখতে পারবেন।
শুধু ইনকাম নয়! পেইজ ভিউ, পেইজ PRM, ইম্প্রেশন, ক্লিক, সিপিসি এবং পেইজ সিটিআর সহ সবকিছু এনালাইজ করতে পারবেন সহজেই।
এছাড়া উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন লম্বা একটা উইকেট রয়েছে যেটার নাম
‘Estimated Earnings‘ সেখানে আপনার মোট ইনকামের একটা হিসাব সহজেই দেখানো হয়ে থাকে।
এছাড়া গুগল এডসেন্স একাউন্টে লগইন না করেও আপনি আপনার প্রত্যেকদিনের ইনকাম দেখতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট থেকে।
আপনার ওয়েবসাইটে যদি ওয়ার্ডপ্রেসের হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে এটা প্লাগিন আছে সেই প্লাগিন দিয়ে আপনি প্রত্যেকদিনের ইনকাম এনালাইটিক্স করতে পারেন।
আর যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকেও আপনি ইনকাম করতে চান তাহলে এডসেন্স এ লগইন করতে হবে না
আপনি সহজেই ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেলের যে ক্রিয়েটর স্টুডিও রয়েছে সেখান থেকে প্রত্যেকদিনের ইনকাম ইনকাম দেখতে পারবেন।
আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার ১২ টি জনপ্রিয় উপায়
আরো পড়ুন: নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য শিক্ষণীয় গল্প!
এডসেন্স একাউন্ট পরিচর্যা করা!
সবই বুঝতে পারলাম আমার একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট আছে। এখন আমি এই এডসেন্স একাউণ্ট কে কিভাবে মনিটরিং করব?
কিভাবে পরিচর্যা করব? ভয়ের কোন কারণ নেই গুগোল যখন এডসেন্স আপনাকে অ্যাপ্রুভ দিয়েছে সেটা আপনারই। আপনার জিনিস যত্ন করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার।
আপনার এডসেন্স একাউন্ট কে নিয়ন্ত্রন করার জন্য গুগল আপনাকে একটি ড্যাশবোর্ড দেবে
জিমেইল একাউন্ট এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আপনি আপনার মত করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ইচ্ছে হলে কোন এড বন্ধ রাখতে পারবেন আবার ইচ্ছে হলে কোন এড অন করে রাখতে পারবেন
আবার আপনার ইচ্ছার উপর ডিপেন্ড করে আপনার এন্ড বেশি দেখাবে নাকি কম দেখাবে।
আপনি আপনার বিজ্ঞাপন কতগুলো দেখাবে সেগুলো হ্যান্ডেলিং করতে পারবেন, চাইলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে রাখতে পারেন,
এমনকি আপনি চাইলে আপনার এই এডসেন্স একাউন্টে আরো ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল এড করে নিতে পারেন, যদিও এটা রিকোয়ারমেন্ট না!
আপনি চাইলে এড ইউনিট দিয়ে কাস্টমের তৈরি করে নিতে পারেন যেগুলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসাতে পারেন।
আবার চাইলে সেগুলো নিমিষেই আপনি হাইড করে রাখতে পারেন
অর্থাৎ আপনার এডসেন্স একাউন্ট হ্যান্ডেলিং করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার হাতে তাই
এটা সম্পূর্ণ হ্যান্ডেলিং আপনি করতে পারবেন এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
গুগল এডসেন্স এড লিমিট কেন হয়?
সচরাচর আমরা একটা জিনিস বেশিরভাগ সময় দেখে থাকি যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক গ্রুপগুলোকে পোস্ট করে থাকেন
যে আমার গুগল এডসেন্স একাউন্ট ‘অ্যাডস লিমিট হয়ে গেছে’।
আর হ্যাঁ অ্যাডস লিমিট হওয়ার পরে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে আর কোনো বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না
অর্থাৎ টেম্পোরারি কিছুদিন বিজ্ঞাপন বন্ধ থাকবে আবার যখন অ্যাডস লিমিট উঠে যাবে তখন বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।
এডস লিমিট তখন হয়ে থাকে-
যখন আপনার ওয়েবসাইট কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলের বিজ্ঞাপনগুলোতে একই ব্যক্তি একই আইপি থেকে বারবার ক্লিক করে থাকে।
যেটাকে গুগোল ‘অবৈধ ক্লিক’ বলে থাকে।
একইভাবে আপনার বিজ্ঞাপন গুলোতে আপনার আইপি কিংবা আপনার ডিভাইস থেকে যদি ক্লিক করা হয়
সেক্ষেত্রে গুগল টেম্পোরারি আপনার এডসেন্স থেকে ইনকাম করা বন্ধ রাখে।
আবার আপনার একই আর্টিকেল কিংবা হোমপেইজ বারবার আপনি যদি ভিজিট করেন সেক্ষেত্রেও অ্যাডস লিমিট হতে পারে।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব সাইটের জন্য কিছু প্লাগিন রয়েছে তবে সেগুলো এত বেশি কার্যকর নয়।
বিভিন্ন সময় এডসেন্স প্রটেক্টর নামে অনেক প্লাগিন আপনি দেখতে পাবেন
গুগল কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস এর ওয়েবসাইটে কিন্তু সেগুলোর মাধ্যমে আপনি আসলে এডসেন্স প্রোটেক্ট করতে পারবেন না।
এটা প্রটেক্ট করার জন্য সম্পূর্ণ আপনার হ্যান্ডেলিং এবং পরিচর্যা দরকার।
নিজের দিক থেকে যদি সতর্ক থাকেন তাহলে হয়তো আপনার এডসেন্স টির সমস্যা হবে না।
বিশেষ করে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট যদি একদম নতুন থাকে সে ক্ষেত্রে একদমই নিজের ওয়েবসাইট নিজেই ভিজিট করবেন না,
নিজের আর্টিকেলগুলো বারবার ভিউ করে দেখবেন না, ভুলেও নিজের বিজ্ঞাপনগুলোতে নিজে কখনো ক্লিক করবেন না
তাহলে আর কোন সমস্যা ইনশাআল্লাহ হবে না।
তবে আপনার এডসেন্স একাউন্টের বয়স যখন ২-৩ বছর হয়ে যাবে তখন গুগল আপনাকে বিশ্বস্ত পারসন এবং শক্ত পোক্ত পারসন হিসেবে বিবেচিত করবে তখন হয়তো কেউ আপনার ক্ষতি করতে চাইলেও গুগোল সেটাকে করতে দিবেনা।
আরো পড়ুন: জন্মভূমি – জায়েদ ইরফান
আরো পড়ুন: চেক সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর
এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল!
বেসিক্যালি গুগল এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল খুব কম হয়ে থাকে তবে এটা তখনই হয়
যখন কোন ইউজার গুগলের রিকোয়ারমেন্ট একদমই ফলো করে না কিংবা তাদের যে সকল রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে সেগুলোর বাইরে তাদের সার্ভিস ব্যবহার করে কিংবা অবৈধভাবে তাদের সার্ভিস ব্যবহার করে।
বর্তমান সময় অনেকেই আছে গুগল এডসেন্স এড করিয়ে কিংবা বিভিন্ন মানুষ থেকে গুগল এডসেন্স করায় করে সেগুলোতে অবৈধভাবে ডলার লোড করে।
অবৈধভাবে ডলার লোড করার ফলে গুগোল সেগুলো জানতে পারলে বিভিন্ন সময় সরাসরি ডিজেবল করে থাকেন।
আমি শুরুতেই বলেছি গুগোল যেটা পছন্দ করে না সেটা যদি আপনি করে থাকেন সেক্ষেত্রে গুগল আপনাকে ছেড়ে কথা বলবেনা।
প্রত্যেকটা সার্ভিস সঠিক পথে ব্যবহার করা উচিত সেটা যখন কোন ইউজার অবৈধভাবে ব্যবহার করে
তখন সেটার মালিকানা যারা থাকেন তারা সেটার প্রতি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
অনুরূপভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট এর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি,
আপনি যখন ও অবৈধভাবে গুগোল এর প্রোডাক্ট দিয়ে উপার্জন করার চেষ্টা করবেন।
তখন গুগল রোবট কিংবা গুগোল টিম আপনার এটা রিভিউ করে সাসপেন্স কিংবা ডিজেবল করে থাকেন।
বিভিন্ন সবাই গুগল এডসেন্স একাউন্ট ‘৩০ দিন’ এর জন্য সাসপেন্ড হয়ে থাকে।
এটার কারণ হচ্ছে গুগল তাকে আরো একটা সুযোগ দিয়েছে অ্যাডসেন্স থেকে উপার্জন করার তবে এটাই শেষ।
এরপরেও যদি তিনি একই ভুল করে থাকেন তখন তার এডসেন্স একাউন্ট সরাসরি ডিজেবল করে দিবেন।
তবে ডিজাবেল করে তখনই দেন যখন আপনি তাদের সার্ভিস গুলো একদমই সঠিক পথে ব্যবহার করেন না।
তবে আপনি যদি সঠিক পথে সঠিকভাবে উপার্জন করেন এবং গুগলের সার্ভিস যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ আপনার এডসেন্স একাউন্টের সমস্যা হবে না,
আপনি যদি চেষ্টা করেন ভিপিএন ব্যবহার করে আপনার বিজ্ঞাপন গুলোতে ক্লিক করে উপার্জন করা কিংবা নিজের বিজ্ঞাপনগুলোতে নিজে বারবার ক্লিক করে উপার্জন বাড়ানোর তাহলে হয়তো আপনার এডসেন্স টি গুগোল সাসপেন্ড করে দিবেন।
তাই আপনার চেষ্টা থাকা উচিত কিভাবে আপনার এডসেন্স একাউন্ট কে রক্ষা করা যায়।
সতর্কতাঃ
উপরে আমরা যে সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো যদি আপনার সঠিক ভাবে পড়ে থাকেন এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি যদি আপনি পরে থাকেন ইনশাল্লাহ আপনার এডসেন্স একাউন্টে কোন ভাবে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
আর আমরা যে সকল বিষয়গুলো বলেছি আপনি যদি অনুরূপভাবে সেই সমস্যাগুলো নিজেই করে থাকেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে তাই নিজের এডসেন্স একাউন্ট কে প্রটেক্ট করার জন্য আপনার নিজের পরিচর্যা এবং হ্যান্ডেলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।
ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আপনাকেও ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।