হাজার হাজার টাকা দামের সফটওয়্যার আমরা কমপ্লিটলি ফ্রিতে ক্রাক (Crack) করে ব্যবহার করি।
এবং অনেকেই নিজের কপালে বিপদ ডেকে নেই, সফটওয়্যার গুলোর সাথে আসে নানান রকমের ভাইরাস সংযুক্ত থাকে তার মধ্যে একটা বড় ধরনের ভাইরাস এর নাম হচ্ছে (Ransomware) এই ভাইরাস দ্বারা যখন আপনি একবার অ্যাটাক হবেন তখন সেখান থেকে বের হওয়ার কোন মাধ্যম নেই।
আজকের আর্টিকেল এর বিষয় হচ্ছে কিভাবে সফটওয়্যার টাকা-দিয়ে-কেনা ছাড়া অথবা ক্রাক সফটওয়্যার ব্যবহার করা ছাড়া কিভাবে এই ধরনের সফটওয়্যার ফ্রিতে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয় নিয়ে।
আজকের আর্টিকেল এর বিষয় হচ্ছে পেইড সফটওয়্যার এর কয়েকটি আল্টারনেটিভ সফটওয়্যার।
►► আরো দেখো: টুইটার একাউন্ট ভেরিফায়েড প্রসেস
►► আরো দেখো: গুগল এডসেন্স কি?
উইন্ডোজ (Windows)
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ, প্রায় ৯৫% মানুষ উইন্ডোজ ক্রাক করে ব্যবহার করি।
হয়তো দু একটা আগ্নেয়গিরি থাকতে পারে যারা কিনে ব্যবহার করে কিন্তু বেশিরভাগ জেনারেল যারা রয়েছে তারা কিনে ব্যবহার করে না।
এই উইন্ডোজ যখন আপনি ক্রাক করে ব্যবহার করেন, এই ক্রাক সফটওয়্যারগুলোর কিন্তু কোনো নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নেই সুতরাং এ সফটওয়্যার যখন যেটা চাইবে সেটাই আপনার কম্পিউটারে করতে পারবে। কারণ সেই অ্যাক্সেস কিন্তু আপনি তাদেরকে দিয়েই দিয়েছেন।
এই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে ব্যাকডোর তৈরি হয় এবং সেই ব্যাকরণ এর মাধ্যমেই নানান ধরনের এবং ভাইরাস এবং মালওয়ারে ডুকে, যার ফলে আপনার পিসি হয়ে যায় অনেক বেশি দুর্বল।
আপনারা চাইলে উইন্ডোজের অল্টারনেটিভ হিসেবে লিনাক্স (Linux) ব্যবহার করতে।
এবং এই লিনাক্সের অনেকগুলো ডিস্ট্রিবিউশনের মধ্যে উবুন্টু (Ubuntu) হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি।
কারন এটার যে গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস রয়েছে সেটা উইন্ডোজের সাথে অনেকটাই মিলে যায়।
এই মুহূর্তে অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে উইন্ডোজের মত এত সফটওয়্যার এত সুবিধা লিনাক্সে তো নেই?
অথবা লিনাক্স ব্যবহার করা অনেক কঠিন। কিন্তু আমার মতে যারা এটি ব্যবহার করেনি তারা কেবলমাত্র এই ধরনের প্রশ্ন গুলো করে থাকবেন।
কিন্তু আপনি যদি একবার লিনাক্স ব্যবহার করেন তাহলে আমি আশা করবো আপনি এ ধরনের প্রশ্ন গুলো আর করবেন না।
যে লিনাক্স উইন্ডোজ এর থেকে অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
তবে হ্যাঁ, কিছু কিছু মানুষের জন্য উইন্ডোজ অনেক বেশি পপুলার কিংবা সহজ জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
বিশেষ করে যারা গেইমার, কনটেন্ট ক্রিকেটার যারা আছেন তারা হয়তো লিনাক্সে কিছুটা সমস্যা ফেস করবেন।
কিন্তু জেনারেল ইউজার যারা আছেন তারা কিন্তু উইন্ডোজ এর চাইতে লিনাক্সে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
কারণ এটি একটি লাইটওয়েট সফটওয়্যার সিস্টেম, খুব বেশি হ্যাং করে না পারফরম্যান্স বেটার।
►► আরো দেখো: ৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার টিপস
►► আরো দেখো: টাকা উপার্জন করার অ্যাপ ২০২২ (১০০% নিশ্চিত)
মাইক্রোসফট অফিস (Microsoft Office)
দ্বিতীয় নাম্বারে রয়েছে মাইক্রোসফট অফিস (Microsoft Office) যেটা প্রায় ৯৩% জেনারেল ইউজার ক্রাক করে ব্যবহার করে থাকেন।
মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার টি কিনে ব্যবহার করার মত সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না।
কিন্তু বেশিরভাগ সময় এটি ক্রাক করে ব্যবহার করার জন্য আমরা থার্ড-পার্টি সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে থাকি।
অথবা বিভিন্ন টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করে থাকে যেখান থেকে রেগুলার আমাদের কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে।
মাইক্রোসফট অফিসের অল্টারনেটিভ হচ্ছে লিভার অফিস (Libre Office) এটি একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার, এটি উইন্ডোজ, ম্যাকবুক লিনাক্স সবগুলো অপারেটিং সিস্টেমে চলমান।
এই সফটওয়্যার টি একদম হুবহু মাইক্রোসফট অফিসের মতই, কিছুসংখ্যক ফিচারে লিমিটেশন থাকলেও সেই ফিচারগুলো বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করেন না।
সুতরাং আপনারা লিব্রে অফিস সফটওয়্যার ট্রাই করতে পারেন।
আপনি এডসেন্স মাইক্রোসফট অফিসের আরেকটা অল্টারনেটিভ হচ্ছে গুগোল ডকস (Google Docs), অনেকেই হয়ত জানেন যে গুগোল ডকস অনলাইনে ব্যবহার করতে হয় এতে আমার সব সময় ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে হবে।
এখন যদি আমি জেনারেল ভাবে চিন্তা করি যে বর্তমান সময় ইন্টারনেট কানেকশনের বাইরে কোন মানুষ নেই তাহলে কিন্তু বিষয়টি আমাদের জন্য আরো হয়েছে সহজ হয়ে পড়ে।
তবে হ্যাঁ, গুগল ডকস এ আপনাদের জন্য অফলাইন নামক একটা অপশন রয়েছে।
তবে হ্যাঁ অফলাইনে করলে অনেকগুলো ফিচার আপনাকে লিমিটেশন করে দিবেন কিন্তু অনলাইনে সকল ফিচার আপনার জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে থাকে তাই বেশিরভাগ সময় অনলাইনে করার চেষ্টা করবেন তবে হ্যা আপনি চাইলে অফলাইনে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন।
অনলাইনে আপনি ফাইল শেয়ার করতে পারেন, আপনারা প্রত্যেকটা ফাইলে ব্যক্তিগতভাবে সিকিউরিটি সিস্টেম করতে পারেন।
সুতরাং গুগোল ডকস ব্যবহারে আপনি সবগুলো সুবিধা পাবেন, গুগোল ডকস, স্প্রেডশিট, পাওয়ার পয়েন্ট সব Microsoft-এর সবগুলো সিস্টেম আপনি এখানে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফটোশপ (Photoshop)
তৃতীয় নাম্বারে রয়েছে এডোবি ফটোশপের অল্টারনেটিভ কি আছে সে বিষয়ে আলোচনা।
আপনারা জেনে থাকবেন যে অ্যাডোবির সবগুলো সফটওয়্যার মান্থলি কিনতে হবে, এগুলো আপনাকে প্রচুর টাকা ব্যয় করে কিনতে হবে যা অনেকের কাছেই সহজ বিষয় না।
এই ফটোশপের একটা ফ্রি আল্টারনেটিভ হচ্ছে গিম্প (Gimp), এটি একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার, এবং এটা আপনারা সকল অপারেটর সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারবেন সহজেই।
যদিও এই সফটওয়্যারটি ফটোশপের তুলনায় একটু বেশি হার্ড তবে হ্যাঁ আপনি যদি একবার শিখে ফেলেন তাহলে আপনার কাছে এটি খুবই সহজ হবে এবং এটা কাজ খুবই ইজি হবে।
যেকোনো সফটওয়্যার আপনি যদি প্রথম অবস্থায় শিখতে চান তখন একটু হার্ড মনে হবে এটাই স্বাভাবিক কয়েকবার ব্যবহার করার ফলে সেটার সকল ফিচার জানার পরে আপনার কাছেই সফটওয়ারটির পরিচয় সহজ মনে হবে।
ইতিমধ্যে যারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে ফটোশপের আলট্রাটেক সফটওয়্যার গিম্পে তারা কিন্তু ফটোশপের ব্যবহার করছে না।
গিম্পের অনেক অনেক টিউটোরিয়াল ইউটিউবে রয়েছে আপনারা সেগুলো দেখতে পারেন আশা করি খুব ভাল একটা পারফরম্যান্স আপনি পেতে পারেন।
এটা যদি আপনারা শিখে ফেলেন তাহলে ক্রাক ফটোশপ কিংবা কিনে ফটোশপ ব্যবহার করা যাবে নাকি আর পোহাতে হবে না।
এডোবি প্রিমিয়ার প্রো (Adobe Premiere Pro)
এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এটি একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
এটি একটি পেইড সফটওয়্যার ফটোশপের মতই, এই প্রিমিয়াম প্রো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার টির অল্টারনেটিভ সফটওয়্যার হচ্ছে (DaVinci Resolve), এটা খুবই প্রফেশনালি একটা সফটওয়্যার।
এটার যে কালার গ্রেডিয়েন্ট রয়েছে সেটা খুবই উন্নত মানের এবং খুবই ভালো।
এমনকি অনেক সিনেমাওয়ালারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকেন।
কালার ড্রইং এর জন্য খুবই উন্নত মানের একটা সফটওয়্যার এটি।
►► আরো দেখো: ঘরে বসেই ভোটার হন অনলাইনে
►► আরো দেখো: গুগল এডসেন্স কি?
আবার আফটার ইফেক্ট এর অনেক ফিচার আপনারা এই সফটওয়্যার এর মধ্যে পেয়ে যাবেন।
একটা ফুল এডিটিং প্রসেস রয়েছে এ সফটওয়্যারটির মধ্যে যেটা আমাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
যারা নতুন করে এডিটিং শিখতে চাই আমি তাদেরকে এই সফটওয়্যারটি রেফার করব।
এতে করে ক্রাক সফটওয়্যার কিংবা কিনে ব্যবহার করার ঝামেলা থাকলো না।
যারা প্রিমিয়াম পুনঃব্যবহারে অনেক বেশী অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তারাও চাইলে DaVinci Resolve সফটওয়্যারটিতে মুভ করতে পারেন এতে আশা করি বেশি দিন লাগবে না।
এটার ব্যাপারে ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল রয়েছে সেগুলো আপনারা দেখে ট্রাই করে দেখুন আশা করি আপনার কাছে খুব সহজ মনে হবে।
তবে যারা আরেকটু পাওয়ারফুল সফটওয়্যার খুঁজছেন তাদের জন্য বেস্ট সফটওয়্যার হচ্ছে শর্টকাট সফটওয়্যার (Shortcut) সফটওয়্যারটি দিয়ে খুব ইজিলি ভিডিও এডিটিং করা যায়।
আবার এই সফটওয়্যারটির অপশনগুলো অনেকটা প্রিমিয়াম পর ওর সাথে মিলে।
এটা খুবই ভালো একটা সফটওয়্যার এটা আপনারা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।