ভোটার হন অনলাইনে !! যারা এখন পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ড (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) করেননি তারা চাইলে হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) তৈরি করে নিতে পারেন। এজন্য আপনার বয়স হতে হবে নিম্নতম ১৮ বছর।
শুধু দেশেই নয় এখন থেকে প্রবাসী ভাই এবং বোনেরা ও হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) এর জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে এই বিষয়টা নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
সম্পূর্ণ প্রসেসটি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোন কিংবা পিসি/ল্যাপটপের মাধ্যমে আপনার ক্রোম ব্রাউজার কিংবা যে ব্রাউজারটি ব্যবহার করেন সেটি ওপেন করতে হবে। অতঃপর সার্চ বারে গিয়ে লিখতে হবে ‘services nidw gov bd‘ অথবা সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করতে পারেন।
►► আরো দেখো: অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
►► আরো দেখো: প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ঘরে বসে
অতঃপর এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ড (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) এর জন্য আবেদন করতে হলে একাউন্ট থাকতে হবে বাধ্যতামূলক।লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দুটো অপশন রয়েছে। ‘রেজিস্টার করুন’ এবং ‘আবেদন করুন’ যেহেতু আমরা নতুন নিবন্ধন করব তাই আমাকে ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর আপনাকে আপনার ইনফরমেশন গুলো দিয়ে একটা একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। পুরো নাম (ইংরেজিতে), জন্ম তারিখ এবং ভেরিফিকেশন ক্যাপচা পূরণ করতে হবে।
অতঃপর লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ‘বহাল’ নামে একটা বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। বার্তা পাঠান যে বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক দিতে হবে, অথবা আপনার নাম্বারে একটি ছয় ডিজিটের কোড পাঠাবে সেই কোড দিয়ে নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করতে হবে। অতঃপর আপনাকে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে কনফার্ম করে একাউন্ট কে সম্পূর্ণ করতে হবে।
ভোটার হন অনলাইনের মাধ্যমে
মনে রাখবেন, উপরে যে সকল তথ্যগুলো আপনি দিয়েছেন সবগুলো আপনার সার্টিফিকেট কিংবা জন্ম নিবন্ধন কার্ডে যেরকম রয়েছে সেই রকম অনুযায়ী ফিলাপ করবেন মনগড়া তথ্য দিয়ে ফিলাপ করলে হয়তো আপনি ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন। অতঃপর একাউন্ট সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আরো কিছু তথ্য তাদের সাথে শেয়ার করতে হবে সেগুলো সম্পূর্ণ করুন।
এখানে যে সকল অপশন গুলো রয়েছে সব গুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন আপনার জন্ম নিবন্ধন কিংবা স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট অনুযায়ী করতে হবে। অতঃপর সাবধানতার সাথে এখানে যে সকল ইনফরমেশন চাচ্ছেন সেগুলো সব দিতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখবেন যেগুলো রিকোয়ার না সেগুলো না দিলেও হবে আর যেগুলো পুরোপুরিভাবে রিকোয়ার। অর্থাৎ বাধ্যতামূলক সেগুলো দিতে হবে তাই সঠিক ইনফরমেশন গুলো দিয়ে আপনার একাউন্টে সম্পূর্ণ করতে হবে।
►► আরো দেখো: ওয়েব ডিজাইনারদের গুরুত্ব পূর্ন ৭টি ওয়েবসাইট
►► আরো দেখো: PSD থেকে HTML বাংলা PDF টিপস
যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন, আপনার স্কুল সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, আপনার পিতা-মাতার যে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি রয়েছে সেটার একটা ফটোকপি দিতে হবে, নাগরিকত্ব সনদপত্র দিতে হবে, জন্ম সনদের সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হবে। ভোটার হন অনলাইনে
ভোটার হন অনলাইনের মাধ্যমে
অতঃপর আপনি যে ফরমটি ডাউনলোড করেছেন সেটার শেষের দিকে (৩৪) নাম্বারে রয়েছে সনাক্তকারীর NID নং- অর্থাৎ আপনার এলাকার চেয়ারম্যানের যে এনআইডি কার্ড রয়েছে সেটার নাম্বার গুলো এখানে দিতে হবে। এবং সামনেই তার স্বাক্ষর দিতে হবে। এবার উপরের দিকে আবেদনকারীর স্বাক্ষর রয়েছে সেখানে আপনার নিজের স্বাক্ষর দিয়ে দিবেন।
এরপরে প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্রের কথা বলেছিলাম সেগুলো এখানে সংযুক্ত করবেন। দেন আপনার নিকটস্থ যে নির্বাচন অফিস কার্যালয় রয়েছে সেখানে গিয়ে এগুলোকে সাবমিট করবেন। এরপরে নির্বাচনী অফিসে যে কর্মকর্তা রয়েছেন তারা আপনাকে একটা ডেট দিবেন। সেই ডেটও অনুযায়ী আপনি গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ এগুলো সব দিয়ে আসতে হবে।
যারা প্রবাসী তাদের জন্য
আপনারা যারা প্রবাসে আছেন তারা দেশে যখন আসবেন আসার পূর্বে আবেদন করার প্রসেস কি করে দিবেন। কারণ এটি প্রসেসিং হতে কিছু দিন সময় লাগতে পারে। এমন ভাবে করবেন যেন আপনারা এসে সাথে সাথে কাগজপত্র জমা দিতে পারেন।
►► আরো দেখো: বিনামূল্যে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেয়ার উপায়
►► আরো দেখো: ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন – Driving License Renewal