মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ কেন? ১৯৬৭ সালে জেরুজালেম দখলে নেওয়ার পরে মসজিদুল আকসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ইসরাইল। তারপর বিভিন্না বিধিনিষেধ ও শর্ত পূরণের মাধ্যমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা। পবিত্র মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস পুরো মুসলিম বিশ্বের নিকট তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসাবে বিবেচিত।

তবে বছরের পর বছর মসজিদুল আকসা নিয়ে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। যেখানে ইহুদিরা সমগ্র ফিলিস্তিনই দখল করে নিয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ একর জায়গার জন্য কেনো এতো অত্যাচার নির্যাতনের পরেও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা বারবার মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে! এর অন্যতম কারণ হলো-

  • এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম এবং মূসা (আ:) সহ অসংখ্য নবী রাসুলের কবর।
  • এখানেই আল্লাহর বন্ধু প্রিয় নবী রাসুল ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম সকল নবী রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন। সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এবং এই জামাতে মতান্তরে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার নবী রাসুল ছিলেন।
  • এখান থেকেই হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বোরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।
  • এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হযরত আদম (আ:) এবং সুলাইমান (আ:) এর নাম।
  • এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হযরত উমর (রা:) এর সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা।
  • এখানের সাথেই জড়িয়ে আছে দ্যা গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।
  • এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।
  • এই মসজিদের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হয়েছে সাগরের তলদেশ থেকে। যা কিনা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব!
  • এই মসজিদে ২ রাকাআ’ত নামাজ আদায় করার জন্য ২৫ হাজার রাকাআ’ত নামাজের সওয়াব লিখা হবে।
  • পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে আলোচনা করছেন।

মসজিদুল আকসা এতোটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

মসজিদুল আকসা ইহুদিদের নিকট ঈশ্বরের ঘর নামেও পরিচিত। তাদের দাবি এই পবিত্র ভূমির নিচে রয়েছে ইহুদিদের ২টি প্রাচীন মন্দির। তাই এখানে নিয়মিত প্রার্থনায় অংশ নেয় অনেক ইহুদি। এছাড়াও খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের নিকটও এটি পবিত্র জায়গা। তাই ধর্মীয় দিকথেকে পুরো বিশ্বের নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর জেরুজালেম।১৯৬৭ সালে ইসরাইল ও গাজা উপত্যকাসহ পুরানো শহর পূর্ব জেরুজালেম দখল নেয়ার পর থেকে এই জায়গা ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে পরিণত হয় মসজিদুল আকসা প্রাঙ্গণ। তবে এর শেষ কবে কোথায় তার উত্তর সবার নিকটই অজানা রয়েছে আজো।

  • এই লড়াইয়ে দাজ্জাল, ইমাম মাহদী, ঈসা (আঃ) সবার আবির্ভাব ঘটবে।
  • এখান থেকেই দাজ্জাল আর ইহুদিরা পৃথিবীর ইতিহাসে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
  • আসুন পবিত্র এ ভূমি রক্ষার্থে আমাদের মুসলিম ভাইদের যথাসাধ্য সাহায্য করি।
  • আল্লাহর নিকট দোয়া করি। আর জালিমদের যথাসাধ্য রুখে দিতে চেষ্টা করি।

তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়। যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর। (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment