মোটা হওয়ার সহজ উপায়

মোটা হওয়ার সহজ উপায় – মোটা হলে যেমন নিজের কাছে অস্বস্তি লাগে, তেমনি অতিরিক্ত চিকন হলেও দেখতে বেমামান লাগে। অনেকেই আছে যারা মোটা হতে অনেক কিছুই ট্রাই করে থাকেন কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই কোন উপকার পাচ্ছেন না।

বয়স আর উচ্চতার তুলনায় ওজন কম হওয়া বা আন্ডারওয়েট হওয়া কিন্তু খুবই সমস্যার ব্যাপার।

তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো মোটা হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে, ১০টি কার্যকরী টিপস জেনে থাকুন ফিট ও হেলদি।

মোটা হওয়ার সহজ উপায়

কোন সমস্যার সমাধান জানার আগে ওই সমস্যার কারণগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। মোটা হওয়ার সহজ উপায়গুলো জানার আগে চলুন জেনে নেই ওজন কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে।

ওজন কম হওয়ার কারণ

বিভিন্ন কারণে ওজন কম হতে পারে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়বেটিস, এইডস, হাইপারথাইরয়েডিজম, আর্থ্রাইটিস, যক্ষ্মা, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ড্রাগ নেওয়া ইত্যাদি।

এছাড়া বয়সের জন্যও ওজন কমবেশি হয়ে থাকে। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এইদিকগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।

►► রোজার মাসের ডায়েট চার্ট 
►► রমজানে ও গরমে ত্বকের যত্ন

একটু মোটা হতে

  • ওজন বাড়াতে একটি খসড়া ডায়েট চার্ট দেখে নিন।
  • ব্যক্তির পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী খাবার খেতে হবে।
  • অল্প করে বারবার খাবার খেতে হবে।
  • উচ্চ ক্যালরি, উচ্চ শর্করাসম্পন্ন খাবারে সমন্বয় হবে।
  • পুষ্টিহীনতা থাকলে সাপ্লিমেন্ট নিতে হতে পারে।
  • খাবারে অরুচি থাকলে অ্যাপিটাইজার বা রুচি বাড়াতে খাবার বা সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে, ফলের রসও পান করতে হবে নিয়ম করে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
  • এ ছাড়া খালি হাতে ব্যায়াম, সাইকেল চালাতে বা সাঁতার কাটতে পারেন। এসব ব্যায়াম ক্ষুধা

সকালের খাবার

  • ভাত/পরোটা/খিচুড়ি
  • ডিম: পোজ/ভাজি
  • সবজি: ভর্তা/ভাজি
  • মিষ্টিজাতীয় খাবার

মধ্যসকাল

  • পুডিং/মিল্ক সেক/ব্রেড টোস্ট
  • মিষ্টি ফল: একটি/শরবত/মিষ্টি

দুপুর

  • ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইস, মাছ ভাজি, মাংস ভুনা, কাবাব/টিকিয়া, ঘন ডাল
  • সবজি: ভাজি/ভর্তা
  • সালাদ: ড্রেসিংসহ সালাদ (অয়েল ড্রেসিং)

সন্ধ্যা

  • হালিম, ডিম-পরোটা, নুডলস, কেক, মিষ্টি, পিঠা, ফলের রস, ফল।
  • রাতের খাবার: দুপুরের ধাঁচে হবে।
  • ঘুমাতে দেরি হলে মিল্ক সেক, দুধ-সেমাই/ফিরনি/হালুয়া খেতে পারেন
  • এটি একটি সর্বজনীন খাদ্যতালিকা। ব্যক্তিভেদে এই খাবারের তালিকা পরিবর্তন ও পরিবর্ধিত হতে পারে।

মোটা হওয়ার সহজ উপায় এবং ভিটামিন

আজকাল বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায় মোটা হওয়ার জন্য তবে সেগুলো মুলত রুচি বাড়ানোর অসুধ। তবে ডক্টরের অনুমতি ছাড়া মোটা হওয়ার কোনো ভিটামিন সেবন ঠিক নয়।

এতে শারিরীক অনেক সমস্যা হতে পারে। এমনকি অনেক অসুধও পাবেন যে গুলো আপনার কাছে মোটা হওয়ার অসুধ বলে বিক্রি করবে কিন্তু সে গুলোতে রয়েছে মারাত্তক পার্শপ্রতিক্রিয়া।যা ক্যান্সার পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

এবার আমরা জানলাম মোটা হওয়ার সহজ উপায়। এবার আমরা যে কোনো উপায়ে মোটা হতে পারবো।

তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত শুকনা/কম ওজন যেমন কাম্য নয় তেমনই অতিরিক্ত মোটাও কিন্তু কারও কাম্য নয় আর মোটা হতে গিয়ে যেন ফ্যাট না বেড়ে যায়।এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ঘুমের প্রয়োজনীয়তা

সবশেষে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। নিয়মিত যদি না ঘুমান তাহলে শরীর অসুস্থের পাশাপাশি রোগা ও হালকা হয়ে যাবেন।

অর্থাত্‍ আপনার ওজন কমে যাবে। তাই যদি মোটা হতে চান, নিজেকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে চান।

তাহলে রাতে নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ও দিনে দুপরে খাবারের পর ২ ঘণ্টা ঘুমান। উপরের সব কিছু ঠিক রাখার পর এইভাবে ঘুমাতে পারলে, শরীর স্বাস্থ্য মোটা ও সতেজ থাকবে সবসময়।

ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল বলে দিচ্ছি। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। কিছু খেয়ে ঘুমাতে পারলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

►► এলাচের অবিশ্বাস্য উপকারিতা
►► নিয়মিত বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

ওজন বাড়ানোর পূর্বে কিছু সতর্কতা

১। আপনার ওজন বৃদ্ধি দরকার কিনা সেটা বুঝে নিন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম, তাদের ওজন বাড়িয়ে স্বাভাবিকে আনা প্রয়োজন।

কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে অল্প ওজনে নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে— রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া, অপুষ্টিতে ভোগা, সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা, মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

২। কিছু রোগের কারণে ওজন কম হতে পারে। যেমন, থাইরয়েডের সমস্যা ও ডায়াবেটিস। আবার মানসিক রোগের কারণেও ওজন কমে যেতে পারে।

এসব ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। তাই ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করার আগে প্রথমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

শারীরিক বা মানসিক কোন অসুস্থতার কারণে আপনার ওজন কম কি না, সেটা তিনি খতিয়ে দেখতে পারবেন।

৩। যদি মনে হয় কোন সমস্যার কারণে ঠিকমতো খেতে পারছেন না, বা আগে যে পরিমাণ খাবার খেতেন সে তুলনায় এখন অনেক কম খাবার খেতে পারেন, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এগুলো গুরুতর কোন রোগের লক্ষণ কি না, সেটা তিনি যাচাই করবেন।

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।  আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment