রোজার মাসের ডায়েট চার্ট – যারা ওজন কমাতে চান

রোজার মাসের ডায়েট চার্ট অনেকেই জানেনা তাই আজকের এই আর কি কানে সেই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ইফতার ও সেহরীতে কি খাবেন? কতটুকু পানি খাওয়া প্রয়োজন, কখন কতখানি ব্যায়াম করবেন।

এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেল তৈরি হচ্ছে।

আজকের বিষয়

  • ওজন কমাতে ইফতারে কী খাবেন?
  • রমজানে ওজন কমাতে কী খাবেন?
  • রোজার মাসে ইফতার ও সেহরিতে কী খাবেন?
  • কী খেলে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন কমবে?
  • স্বাস্থ্যকর সেহরি ও ইফতার মেনু।

[ads1]

রোজার মাসের ডায়েট চার্ট

অনেকেই ইফতারি শুরু করেন খেজুর দিয়ে। এটা খুবই ভালো একটা অভ্যাস।

কেননা খেজুরে ন্যাশনাল সুগার আছে, আপনাকে দ্রুত সারাদিনের ধখল কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। আর সাথে ফাইবার বা আঁশ এবং নানা ধরনের খনিজ পদার্থ তো আছেই।

ফাইবার হজমের জন্য খুবই উপকারী। আমরা অনেকেই যথেষ্ট ফাইবার যুক্ত খাবার খাই না, খেজুর সেদিকেও সাহায্য করবে‌।

আবার রোজায় যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাদের উপকারে আসবে।

খেজুরের পরিবর্তে অথবা খেজুর খাওয়ার ঠিক কিছু সময় পরে অনেকে চিনির শরবত অথবা চিড়ে দিয়ে বানানো জুস খেয়ে থাকেন এসব এর পরিবর্তে পানি খাওয়া ভালো।

যাদের সুযোগ রয়েছে তারা ডাবের পানি খেতে পারেন।

[ads1]

ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে। আবার সারাদিন ঘামের সাথে শরীরের যে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণে সাহায্য করবে।

শরবত এর পরিবর্তে বাসায় বানানো ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে।

তবে জুস বানানোর সময় চিনি দিবেন না, দোকান থেকে কেনা জুসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকতে পারে।

তাই বাসায় বানানো ফলের জুস খেতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আরো পড়ুন: মাসিক নিয়মিত না হলে যা করণীয়
আরো পড়ুন: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

[ads1]

কেন চিনিযুক্ত শরবত খাবেন না?

আমাদের শরীরে আলাদা করে চিনিযুক্ত খাবার অথবা চিনি খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

বরং অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ওজন বেড়ে যাওয়া সহ হার্ড রোগ ইত্যাদি।

মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে ফলমূল সব থেকে ভাল অপশন।

খেজুর আর পানি খাওয়ার পরে কিছু ফলমূল খেতে পারেন।

এখানে ফলের নাম মেনশন করছি না তবে অনেক ধরনের ফল পাবেন যেগুলো আপনি খেতে পারেন।

[ads1]

অনেক ধরনের ফলমূল পাবেন সেটা ম্যানেজ করতে পারেন সেটাই খাবেন।

এক মাস ধরে যেহেতু খাবেন তাই ফলমূলের পরিবর্তন তো আনতেই হবে।

না হলে এ গিয়া লাগবে। প্রত্যেকদিন একই ফল খেতে হয় তথ্য বোরিং ফিল হতে পারে তাই প্রত্যেক দিন বিভিন্ন কম দামি ও ফলগুলো আপনার জন্য যেটা সুবিধা সেটা গ্রহণ করতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সংরক্ষিত থাকে। তাই ফল পরিবর্তন করে করে খাওয়া ভালো।

[ads1]

তৈল যুক্ত খাবার কতটা ক্ষতিকর?

উপরে আলোচনা করলাম খেজুর, পানি এবং ফলমূল নিয়ে। রমজান মাসে এগুলো খাওয়ার পরে আমরা তৈলক্ত যে খাবার গুলো রয়েছে সেগুলো খেয়ে থাকি।

যেমন : পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনের চপ, ছোলা বুট ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই ধরনের তৈরি যুক্ত খাবার গুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই খাবারগুলোর মধ্যে বেশি পরিমাণে ট্রানস্ফের থাকার সম্ভবনা বেশি।

মোটকথা সারাদিন রোজা রেখে রাতে ইফতারের পরে এসে কল খাবারগুলো খাওয়া যাবে না যেগুলো আপনাকে ক্ষতি করে।

[ads1]

ডুবো তেলে ভাজা যে সকল খাবার গুলো হয়ে থাকে সেগুলো অবশ্যই পরিহার করা উচিত।

জিলাপি সহ বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার রয়েছে যেগুলো ডুবো তেলে ভাজা হয়ে থাকে এগুলো পরিহার করা উচিত।

আরো পড়ুন: জীবনসঙ্গীর মধ্যে যেসব গুণ দেখে বিয়ে করবেন
আরো পড়ুন: মাসিকের সময় যে ৬টি কাজ করা উচিত নয়

খেজুর, পানি, ফলমূল খাওয়ার পরে আর কি খাবেন?

[ads1]

এই খাবারগুলো খাওয়ার পরে আর কিছু না খেয়ে একটা বিরতি দেয়া ভালো।

অনেকেই এই সময় নামাজ পড়ে অথবা একটু হাঁটাচলা করে এই বিরতি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।

কেন না সারাদিন রোজা রাখার পরে, যে খাবারটা পেটের মধ্যে গেল সেটা ব্রেনের বুঝতে কিছুটা সময় লাগে।

[ads1]

বিরতি নেয়ার ফলে ওভারইটিং বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

রোজা চলাকালীন অতিরিক্ত খাবার একটা বড় সমস্যা।

এ কারণে অনেকের গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেয়, আবার অনেকের ওজন বেড়ে যায়। যারা রোজার সময় ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এই বিরতি বিশেষ প্রয়োজন। রোজার মাসের ডায়েট চার্ট বুঝতে পারলেন?

যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য রোজার মাসের ডায়েট চার্ট

যারা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন তারা খুব চিন্তায় পড়ে যায় রোজায় কিভাবে ডায়েট করবেন।

রোজায় কিন্তু আপনার ওজন কমানোর মোক্ষম সুযোগ।

কিন্তু অনেকেই সঠিক ডায়েট ফলো না করায় ওজন হয়তো বেড়ে যায় বা খাবার দাবার একদম কমিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

[ads1]

যদি ডায়েটিশিয়ান এর কাছ থেকে যদি রোজার ডায়েট নিয়ে না থাকেন তাহলে রোজায় ইফতারে চিড়া+টক দই বা মুড়ি/চিড়া+ছোলা সিদ্ধ, সালাদ, মিষ্টি ছাড়া ফল বা ফ্রুট সালাদ, তরমুজের জুস, একটা সিদ্ধ ডিম ইত্যাদি রাখতে পারেন।

সন্ধ্যারাতে ওটস্+দুধ বা চিকেন সুপ বা রুটি+সবজি/মাংস অথবা এক গ্লাস দুধ আর দুটো খেজুর খেতে পারেন।

প্রচুর পরিমাণে পানি

রমজানে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।

নিয়ম করে সাহ্রির সময় ২ গ্লাস, রাতের খাবার ও সাহ্রির আগে ৪ গ্লাস ও সাহ্রির সময় ২ গ্লাস পানি খেলে পানির চাহিদা পূরণ হয়।

তা ছাড়া এই পানি সুগার লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

[ads1]

Leave a Comment