রোজার শ্রেষ্ঠ আমল আপনার জীবন পাল্টে দিবে

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আশা করি আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাইকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনেক বেশি ভালো রেখেছেন।

প্রিয় দর্শক, আজকের এই আর্টিকেলে থাকছে রোজার শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

আমাদের দেশের অনেক মা-বোনেরা মনে করেন, শবে বরাতে ভালো করে নামাজ-কালাম পরলে,

ইবাদত করলে আগামী বছরে আমার ভাগ্যটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। অর্থাৎ আগামী বছর আমার ভাগ্যটা ভাল হয়ে যাবে।

[ads1]

মনে রাখবেন রিজিকে বরকত, আয়ু বৃদ্ধি এই সকল নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই আর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হাতে।

এই সকল বিষয়গুলো যদি আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে অর্জন করতে চান, তাহলে কি আপনাকে পীর সাহেবের কাছে যাওয়া উচিত?

নাকি আপনার পিতা-মাতার কাছে যাওয়া উচিত? কার কাছে গেলে আল্লাহ পাকের রহমত এবং বরকত বেশি পাওয়া যায়?

[ads1]

►► আরো পড়ুন: সেহরি ইফতারের দোয়া বাংলা এবং আরবিতে
►► আরো পড়ুন: দুনিয়াতে জাহান্নামী ও জান্নাতি লোক চেনার উপায়

রোজার শ্রেষ্ঠ আমল

[ads1]

আমলের নিদৃষ্ট কোন সময় হয়না এটা আপনি যেকোনো দিন যেকোনো সময় করতে পারেন তবে সেটা হতে হবে একদম সহি ভাবে মন থেকে।

রোজার শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে খুশি করতে এবং আপনার ফরজ পালন করতে ৩০টি রোজা রাখা তারাবি পড়া এবং নিজের গুনাহ মাফ করার জন্য প্রতিনিয়ত আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চাওয়া, ইস্তেগফার করা।

এখানে আপনি কোন কিছু জানেন না, আপনার মাসালা জানা প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে আপনি পীর কিংবা আলেম এর কাছে যান।

কিন্তু আপনার রহমত বরকত এবং ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাঃ যেভাবে শিখিয়েছেন তা হচ্ছে – সর্বপ্রথম বাবা মায়ের খেদমত করা।

রক্তের সম্পর্ক যদি নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে, শুধুমাত্র দুনিয়ার এই রিজিকে বরকত এবং অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আজকে থেকেই সবকিছু ভুলে রক্তের সম্পর্ক কে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন এবং পুনরায় স্থাপন করুন।

[ads1]

সব ভুলে যান, ক্ষমা করে দিন। আত্মীয়তার সম্পর্ক, পিতা-মাতার খেদমত ব্যতীত আপনি আপনার ভাগ্যকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে পরিবর্তন করিয়ে নিতে পারবেন।

আমি আবারো বলছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের স্পষ্ট ঘোষণা : আয়ু বাড়িয়ে দিবেন, রিজিকে বরকত দিবেন এজন্য আপনাকে পিতা মাতার খেদমত করতে হবে এবং রক্তের সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে।

গুনাহ মাফের মাধ্যম

সত্য কথা হচ্ছে, শবে বরাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দার গুনাহ মাফ করেন। ভাগ্য ভালো করার জন্য মা বাবার হক আদায় করেন।

খেদমত করেন, ভাই বোনের হক পরিপূর্ণ রূপে পালন করুন।

বর্তমান সমাজে অনেক ভাইদের মধ্যে দেখা যায় ভাই বোনদের সাথে সম্পর্ক ভালো নেই,

পিতা-মাতার সাথে সম্পর্ক ভালো নেই, তাহলে আপনি জেনে রাখেন, আপনি কখনোই রিজিকে বরকত পাবেন না। আপনার আয়ু বৃদ্ধি পাবে না।

আগে আপনি আপনার রক্তের সম্পর্ক গুলো সুন্দর করুন।

[ads1]

অনেক সময় দেখা যায়, নিজের শ্বশুর বাড়ির দিকে ঝুঁকে পড়েন, নিজের পিতা মাতাকে অবজ্ঞা করেন।

আবার অনেকেই আছেন নিজের পিতা মাতাকে এতটা গুরুত্ব দেন, এবং তাদের সকল হক আদায় করেন, খুবই ভালো।

কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের একদমই দেখতে পারেন না। আসলে এই দুটোর মধ্যে ব্যালেন্স করতে হবে।

রক্তের সম্পর্ক আত্মীয়দের যেমন গুরুত্ব দিতে হবে, একইভাবে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছেন তার হকও আপনাকে আদায় করতে হবে।

►► আরো পড়ুন: ২০টি দুর্বল ঈমানের লক্ষণ সম্পর্কে জানুন!
►► আরো পড়ুন: রোজার মাসের ডায়েট চার্ট

সর্বশেষ কথাগুলো

এগুলো যদি করতে পারেন তাহলে আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। শবে বরাতের নামাজ পড়লে ভাগ্য পরিবর্তন হবে এমন গ্যারান্টি নাও থাকতে পারে।

কিন্তু আজ থেকে যদি ৩৬৫ দিন এই আমলটি করার চেষ্টা করেন,

অর্থাৎ পিতা মাতার খেদমত এবং রক্তের সম্পর্ক গুলো ছিল না করা। রক্তের সম্পর্ক কে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেওয়া।

[ads1]

এগুলো যদি শুরু করেন ইনশাল্লাহ আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে। এটা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের ওয়াদা।

আমরা এত পরিমান গুনাহ করতেছি যা ক্ষমার অযোগ্য

এরপরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের গুনাহ ক্ষমা করার জন্য সব সময় আমাদের ওসিলা খুঁজতে থাকেন।

হয়তো আপনি অনেক বড় গুনাহ করেছেন কিন্তু সেগুলো হতে পারে কোন একটা ছোট্ট ওসিলা দিয়ে ক্ষমা করে দিবে তাই,

সব সময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তওবা ইস্তেগফার করুন।

[ads1]

Leave a Comment