কিভাবে আনুতোষিক, ল্যামগ্রান্ড ও পেনশন হিসাব করবেন ২০২৩

আপনি চাকুরী জীবনে সততা এবং ন্যায়ের সহিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কর্মজীবনে ও চাকুরী শেষে কি কি সুবিধা পাবেন সে বিষয় জানার আগ্রহ  সবারই থাকে। চাকরী ধরন অনুযায়ী সাধারনত এই সুবিধা নির্ধারিত হয়ে থাকে। এত কাঠ কয়লা পুড়েও যদি অবশেষে আপনার শেষসম্বল টুকু হাতে সঠিক না পান কেমন লাগবে?  “কিভাবে আপনার আনুতোষিক (Gratuity), ল্যামগ্রান্ড ও পেনশন হিসাব করবেন” তার বিস্তারিত আলোচনা নিম্নরুপ-

►► আরো দেখো: গাড়ি ব্রেক ফেল করলে করনীয় কী?
►► আরো দেখো: গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি?

[ads1]

যেভাবে আপনার আনুতোষিক (Gratuity), ল্যামগ্রান্ড ও পেনশন হিসাব করবেন:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ২৩/১২/১৩ তারিখে স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১০.০০৬.১৫-১৮১ মূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকুরিজীবীদের অবসরকালীন সুবিধাদি/প্রাপ্যতা তথা পেনশনযোগ্য চাকুরিকাল ও পেনশনের পরিমান পূণঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বেকার পেনশনযোগ্য চাকুরিকাল ১০-২৫ বছরের পরিবর্তে  বর্তমানে ০৫-২৫ বছর এবং পেনশনের হার সর্বশেষ আহরিত মূলবেতনের ৮০% এর স্থলে ৯০% এ উন্নীত করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে চাকুরীকাল ০৫ বছর হলেই আপনি পেনশনের আওতায় আসবেন। পূর্বে চাকুরীকাল ১০ বছর না হলে পেনশনের আওতায় আসতো না।

[ads1]

চাকুরী মেয়াদ অনুযায়ী পেনশনের হারঃ

[ads1]

  • ১। চাকুরীকাল ০৫ বছর হলে ২১%, প্রাপ্ত হবেন।
  • ২। চাকুরীকাল ০৬ বছর হলে ২৪%, প্রাপ্ত হবেন।
  • ৩। চাকুরীকাল ০৭ বছর হলে ২৭%, প্রাপ্ত হবেন।
  • ৪। চাকুরীকাল ০৮ বছর হলে ৩০%, প্রাপ্ত হবেন।
  • ৫। চাকুরীকাল ০৯ বছর হলে ৩৩% প্রাপ্ত হবেন।
  • ৬। চাকুরীকাল ১০ বছর হলে ৩৬% প্রাপ্ত হবেন।
  • ৭। চাকুরীকাল ১১ বছর হলে ৩৯% প্রাপ্ত হবেন।
  • ৮। চাকুরীকাল ১২ বছর হলে ৪৩% প্রাপ্ত হবেন।
  • ৯। চাকুরীকাল ১৩ বছর হলে ৪৭% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১০। চাকুরীকাল ১৪ বছর হলে ৫১% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১১। চাকুরীকাল ১৫ বছর হলে ৫৪% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১২। চাকুরীকাল ১৬ বছর হলে ৫৭% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৩। চাকুরীকাল ১৭ বছর হলে ৬৩% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৪।চাকুরীকাল ১৮ বছর হলে ৬৫% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৫। চাকুরীকাল ১৯ বছর হলে ৬৯% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৬। চাকুরীকাল ২০ বছর হলে ৭২% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৭। চাকুরীকাল ২১ বছর হলে ৭৫% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৮। চাকুরীকাল ২২ বছর হলে ৭৯% প্রাপ্ত হবেন।
  • ১৯। চাকুরীকাল ২৩ বছর হলে ৮৩% প্রাপ্ত হবেন।
  • ২০। চাকুরী মেয়াদ ২৪ বছর হলে ৮৭% প্রাপ্ত হবেন।
  • ২১। চাকুরীর বয়স ২৫ বছর হলে ৯০% প্রাপ্ত হবেন।

[ads1]

►► বাধতামূলকভাবে সমর্পিত আনুতোষিকের হার (টাকায়)অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২৩/১২/১৩ তারিখের স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০২৭.১৩-১৬০ মোতাবেক পেনশন সুবিধার আওতাভুক্ত অবসর গ্রহনকারী চাকুরিজীবী অথবা মৃত্যবরণকারী চাকুরিজীবী’র পরিবারের জন্য বাধ্যতামুলক সমর্পিত অর্ধেক (৫০%) গ্রস পেনশনের প্রতি ০১(এক) টাকার বিপরীতে আনুতোষিকের হার নিম্নরুপভাবে পূণঃনির্ধারণ করা হয়েছেঃ

পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল ০৫ বছর বা ততোধিক কিন্তু ১০ বছরের কম হলে ২৬৫ টাকা (০১/৭/১৫ হতে পেনশন যোগ্য চাকরিকাল নতুন সংযোজন করা হয়েছে)। পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল ১০ বছর বা ততোধিক কিন্তু ১৫ বছরের কম হলে  ২৬০ টাকা (পূর্বের হার ২৩০ টাকা) প্রাপ্ত হবেন।

[ads1]

পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল ১৫ বছর বা ততোধিক কিন্তু ২০ বছরের কম হলে ২৪৫ টাকা (পূর্বের হার ২১৫ টাকা) প্রাপ্ত হবেন। পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল ২০ বছর বা ততোধিক ২৩০ টাকা (পূর্বের হার ২০০ টাকা) প্রাপ্ত হবেন।

►► স্বেচ্ছায় সমর্পিত অবশিষ্ট আনতোষিকঃ

[ads1]

গ্রস পেনশনের অবশিষ্ট অর্ধেক (৫০%) একসাথে সমর্পণকারী অবসরভোগী উপরে বর্নিত হারের অর্ধেক হারে আনুতোষিক প্রাপ্য হতেন। যা ০১/০৭/১৭ হতে বন্ধ করা হয়েছে।

১) ল্যামগ্রান্ট হিসাব নির্ধারণের পদ্ধতিঃ চাকুরিকালীন আপনার সর্বশেষ মূলবেতন x চাকুরিতে  আপনার অর্জিত ছুটি (সর্বোচ্চ ১৮ মাস) = মোট টাকা।

২) আনুতোষিক নির্ধারণের পদ্ধতিঃ সর্বশেষ মূলবেতন x সর্বমোট চাকুরির জন্য পেনশনের নির্ধারিত হার (%) ÷ ২ x আনুতোষিকের নির্ধারিত হার = মোট টাকা।

৩) পেনশন নির্ধারণের পদ্ধতিঃ সর্বশেষ মূলবেতন x সর্বমোট চাকুরির জন্য পেনশনের নির্ধারিত হার (%) ÷ ২ = মোট টাকা।

[ads1]

►► Read more: How to make an income from a website?
►► Read more: Valentine’s Day pictures, poems, quotes

এখন পেনশন ও গ্রাচুইটি হিসাবঃ

ধরুন- ই্ব্রাহিম সাহেবের জন্ম তারিখ ০১/০৬/১৯৫৭, তিনি ১৪/১২/১৯৮৯ খ্রিঃ তারিখে চাকরিতে যোগদান করেছেন।

তিনি ০১/০৬/২০১৭ তারিখে অবসর গমন করেছেন। তার সর্বশেষ মূলবেতন ৩৪০১০/- টাকা।

ইব্রাহিম সাহেব মোট চাকরি করেছেন ২৭ বছর ৫ মাস ১৮ দিন। তিনি বিনাবেতনে কোন ছুটি ভোগ করেননি। তাহলে তার প্রাপ্য আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন কত হবে?

১. ইব্রাহিম সাহেব মোট পেনশনের কত শতাংশ পাবেন?

[ads1]

সূত্র-সর্বশেষ মূলবেতন x সর্বমোট চাকুরির জন্য পেনশনের নির্ধারিত হার (%) ÷ ২ = মোট টাকা। সুতরাং তার প্রাপ্য পেনশন =(৩৪০১০ x ৯০%) ÷ ২ টাকা= ৩০৬০৯ ÷ ২ টাকা= ১৫৩০৪.৫ টাকা।

২. ইব্রাহিম সাহেবে কত টাকা এককালিন ল্যাম্পগ্রান্ট পাবেন?

সূত্র– চাকুরিতে সর্বশেষ মূলবেতন x অর্জিত ছুটি (সর্বোচ্চ ১৮ মাস) টাকা। সুতরাং ল্যাম্পগ্রান্ট পাবেন = ৩৪০১০ x ১৮ টাকা= ৬,১২,১৮০/- টাকা।

৩. ইব্রাহিম সাহেব কত টাকা এককালিন আনুতোষিক পাবেন?

সূত্র-(বেসিক বেতন x শতকরা হার) ÷ ২ x বাধ্যতামুলক সমর্পিত অনুতোষিক। সুতরাং-আনুতোষিক [(৩৪০১০ x ৯০%) ÷ ২] x ২৩০= [৩০৬০৯ ÷ ২] x ২৩০= ১৫৩০৪.৫ x ২৩০= ৩৫,২০,০৩৫ টাকা।

৪. ইব্রাহিম সাহেব প্রতি মাসে কত টাকা পেনশন পাবেন?

[ads1]

সূত্র– (বেসিক বেতন x শতকরা হার) ÷ ২ + চিকিৎসা ভাতা। সুতরাং মাসিক পেনশন প্রাপ্য = [(৩৪০১০ x ৯০%) ÷ ২] + ১৫০০ টাকা= [৩০৬০৯ ÷ ২] + ১৫০০ টাকা= ১৫৩০৪.৫ + ১৫০০ টাকা= ১৬৮০৪.৫/- টাকা।

বি.দ্র- ৬৫ বছরের উর্ধ্বে পেনশনারদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা ২৫০০ টাকা (০১/০৭/১৬ তারিখ হতে কার্যকর করা হয়েছে)।

চাকরিরত অবস্থায় একজন মৃত্যুবরণকারী ও চাকরিতে স্থায়ীভাবে অক্ষম চাকরিজীবীর পেনশন হিসাব সংযোজন করা হবে।

ব্যাখ্যাঃ ০৫ হতে ২৪ বছরের চাকুরিকাল তখনই পেনশনের যোগ্য হবে যখন (১) একজন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে কিংবা সরকার কর্তৃক গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড দ্বারা (শারীরিক ও মানসিক বৈকল্যের কারণে) স্থায়ীভাবে অক্ষম (Invalid) ঘোষিত হলে ও (২) স্থায়ী পদ বিলুপ্তির কারণে চাকুরি হতে ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে।

[ads1]

(গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১৪/১০/১৫ তারিখের  স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫-৮১ মূলে আপগ্রেড করা হয়েছে।)

Leave a Comment