কবি কায়কোবাদের জীবনী:
ঢাকা, বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমী,
কবি : কায়কোবাদ, ১৯৩২,
জন্ম : কাজেম আল কোরায়শী,
পেশা: কবি,
কায়কোবাদ, মহাকবি কায়কোবাদ বা মুন্সী কায়কোবাদ (১৮৫৭ – ২১ জুলাই, ১৯৫১) বাংলা ভাষার উল্লেখ-যোগ্য কবি যাকে মহাকবিও বলা হয় থাকে। তার প্রকৃত নাম কাজেম আল কোরায়শী। “মীর মশাররফ, কায়কোবাদ, মোজাম্মেল হকের মধ্যে কায়কোবাদই হচ্ছে সর্বতোভাবে একজন কবি। কাব্যের আদর্শ ও প্রেরণা তাঁর মধ্যেই লীলাময় হয়ে ওঠে। সেজন্য একথা বেশ জোরালো সাথে বলা যায় যে কবি কায়কোবাদই হচ্ছে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি”
তিনি বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে ১ম সনেট রচয়িতা।
কবি কায়কোবাদের “অশ্রুমালা” কাব্যের নাম পাতা, ১৩৫৬ বঙ্গাব্দ (প্রথম প্রকাশ ১৮৯৬)
জন্ম ও শিক্ষাজীবন:
কায়কোবাদ ১৮৫৭ সালে (বর্তমানে বাংলাদেশের) ঢাকা জেলার নবাব-গঞ্জ থানার অধীনে আগলা-পূর্বপাড়া গ্রামে জন্ম-গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ঢাকা জেলা জজ কোর্টের একজন আইন-জীবী শাহামাতুল্লাহ আল কোরেশীর পুত্র। কায়কোবাদ সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পিতার অকাল মৃত্যুর পর তিনি ঢাকা মাদ্রাসাতে (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) ভর্তি হন। সেখানে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষা পর্যন্ত অধ্যয়ন করে ছিলেন। উপরন্তু, তিনি পরীক্ষা দেননি, বদলে তিনি পোস্টমাস্টারের চাকরি নিয়ে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত কাজ করেন। ১৯৩২ সালে, তিনি কলকাতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলন এর প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
কাব্যগ্রন্থ:
- বিরহ বিলাপ (১৮৭০) (এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ),
- কুসুম কানন (১৮৭৩),
- অশ্রুমালা (১৮৯৬),
- মহাশ্মশান (১৯০৪), এটি তার রচিত মহাকাব্য,
- শিব-মন্দির বা জীবন্ত সমাধি (১৯২১),
- অমিয় ধারা (১৯২৩),
- শ্মশানভষ্ম (১৯২৪)[৬]
- মহররম শরীফ (১৯৩৩), মহররম শরীফ’ কবির মহাকাব্যোচিত বিপুল আয়তনের একটি কাহিনী কাব্য।
- শ্মশান ভসন (১৯৩৮),
- প্রেমের বাণী (১৯৭০)
- প্রেম পারিজাত (১৯৭০),
- মহাশ্মশান,
আড়ো পড়ুন: কামিনী রায় জীবনী
আড়ো পড়ুন: বেগম সুফিয়া কামাল জীবন কাহিনী
মুসলমান কবি রচিত জাতীয় আখ্যান কাব্য গুলোর মধ্যে সুপরিচিত মহাকবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশ্মশান’ কাব্যটি। কায়কোবাদের মহাকবি নামের খ্যাতি এই মহাশ্মশান কাব্যের জন্যই। কাব্যটি ৩ খন্ডে বিভক্ত। ১ম খন্ডে ২৯সর্গ, ২ খন্ডে ২৪সর্গ, এবং ৩য় খন্ডে ৭সর্গ। মোট ৬০ সর্গে প্রায় নয়শ’ পৃষ্ঠার এই কাব্য বাংলা ১৩৩১, ইংরেজি ১৯০৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। যদিও গ্রন্থাকারে প্রকাশ হতে আরো ক এক বছর দেরি হয়ে ছিলো। পানি পথের ৩য় যুদ্ধযজ্ঞকে রূপায়িত করতে গিয়ে কবি বিশাল কাহিনী, ভয়াবহ সংঘর্ষ, গগনস্পর্শী দম্ভ, এবং মর্মভেদী বেদনাকে নানাভাবে চিত্রিত করে ছিলো। বিশালতার যে মহিমা রয়েছে তাকেই রূপ দিতে চেয়ে ছিলেন এই কাব্যে।
“ সেদিন কায়কোবাদ এক নির্জিত সমাজের প্রতিনিধি-প্রতিভূ কিংবা মুখপাত্র হিসেবে অতি গুরুত্ব-পূর্ণ ভূমিকা পালন করে ছিলেন। ….তাঁর স্বসমাজের লোক পেয়ে ছিলো প্রাণের প্রেরণা ও পথের দিশা। এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে ছিলেন বলেই আমরা এই মুহূর্তেও শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি মহাশ্মশানের কবিকে।”
পুরস্কার ও সম্মাননা:
বাংলা মহাকাব্যের অস্তোন্মুখ এবং গীতি-কবিতার স্বর্ণ-যুগে মহাকবি কায়কোবাদ মুসলিমদের গৌরবময় ইতিহাস থেকে কাহিনী নিয়ে ‘মহাশ্মশান’ মহাকাব্য রচনা করে যে দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যের গৌরবময় আসনে স্থান করে দিয়েছে। সেই গৌরবের প্রকাশে ১৯৩২ সালে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের মূল অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ছিলো কবি কায়কোবাদ। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ১ম মুসলিম কবি। বাংলা কাব্য সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯২৫ সালে নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ তাকে ‘কাব্যভূষণ’, ‘বিদ্যাভূষণ’ ও ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
মৃত্যু:
১৯৫১ সালের ২১ জুলাই কায়কোবাদ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার আজিমপুর কবর-স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
মহা কবি কায়কোবাদের ছেলে সনতান হাবিব আলম আল কোরাইশীর ছবি থাকলে দয়া করে ছার বেন কবি কায়কোবাদের নাতি বললাম আমি ইরান থাকি আমার বাবা হাবিব আল কোরাইশী ছবি নাই আমার কাছে বাবার ছবি দেখার জন্ন অনেক মনটা কাদে দাদার ছবি দেখে অনেক কস্ট হয় বাবার ছবি দেখতে পাই না । মোঃ আলম আল কোরাইশী ইরান 00989177690435 ইরান