সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর (Kuakata Sea Beach) অবস্থান বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলাধীন মহিপুর থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে। সাগরকন্যা খ্যাত এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার। সাগরকন্যা খ্যাত এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্থ দেখা যায়। সূর্যোদয় দেখা যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতির বাঁক থেকে এবং সূর্যাস্ত দেখা যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্ত থেকে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে সারা বছর জুড়েই জেলেদের মাছ মারার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। যেগেতু সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার তাই যাতায়াতের জন্য মটর সাইকেল এবং ঘোড়া আছে, যা ভাড়ায় চালিত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে রয়েছে অনেকগুলো চর, যেখানে যাওয়ার জন্য রয়েছে ভাড়ায় চালিত স্প্রিডবোড/ট্ররার এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকা। পিকনিক করার জন্য রয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে অনেকগুলো পিকনিক স্পট।
►► আরো দেখো: জীবনানন্দ’র সাথে দেখা – কিশোর চন্দ্র বালা
►► আরো দেখো: ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করবো?
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
- কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির
- ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা
- কুয়াকাটার কুয়া
- কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
- কাউয়ার চর
- চর গঙ্গামতী
- ঝাউ বন
- লাল কাঁকড়ার চর
- রূপালী দ্বীপ
- বৌদ্ধ বিহার
- মিষ্টি পানির কূপ
- রাখাইন পল্লী
- বার্মিজ মার্কেট
- শুঁটকি পল্লী
- ঝিনুক বীচ
- লেবুর চর
- তিন নদীর মোহনা
- সুন্দরবনের পূর্বাংশ (ফাতরার বন)
- স্বপ্ন রাজ্য
- পাখি মারা পানি যাদু ঘর
►► See also: Bangladesh Police will take 4000 constables
►► See also: Recruitment Circular 2022 in Pran Group
ইতিহাস
কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরাকানদের এদেশে আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস। ‘কুয়া’ শব্দটি এসেছে ‘কুপ’ থেকে। ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে আরাকানরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। তখন এখানে সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে তারা প্রচুর কুয়ো বা কুপ খনন করেছিলেন, সেই থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় কুয়াকাটা! (সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)