মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থাইরয়েড গ্রন্থি। শরীরের নানা হরমোন তৈরিতে এই গ্রন্থি কাজ করে থাকে। তবে থাইরয়েড ক্যান্সার কোন কারণে আক্রান্ত হলে শরীরে নানা অসঙ্গতি দেখা দেয়।
থাইরয়েডের অনেকগুলো রোগ আছে। এর মধ্যে থাইরয়েড ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। থাইরয়েড আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে রোগীর তেমন কোন সমস্যা অনুভূত হয় না। দেখা যায় না বড় কোন লক্ষণও।
[ads1]
থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer) কি?
থাইরয়েড একটি হরমোন গ্রন্থি। এটা গলার সামনে থাকে। থাইরয়েডের প্রধান কাজ শরীরে হরমোন তৈরি করা। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে গঠনে সহযোগিতা করে থাইরয়েড। থাইরয়েড হরমোন দেহের প্রয়োজনের চেয়ে কম তৈরি হলে বলি হাইপো-থাইরয়েড এবং বেশি হলে বলি হাইপার থাইরয়েড রোগ।
বিশ্বব্যাপী ২০১৫ সালের ৩২ লক্ষ মানুষের থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer) হয়েছে। ২০১২ সালে, ২৯০০০ নতুন রোগ হয়েছিল। এটি সাধারণত ৩৫ এবং ৬৫ বয়সের মধ্যে ঘটে।
নারী পুরুষদের তুলনায় আরো বেশি প্রভাবিত হয়। এশিয়ান বংশধর যারা, তারা সাধারণত বেশি প্রভাবিত হয়।
[ads1]
গত কয়েক দশকের মধ্যে হার বেড়েছে যা ভাল সনাক্তকরণের কারণ বলে মনে করা হয়। ২০১৫ সালে এর ফলে ৩১,৯০০ মৃত্যুর হয়।
►► এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?
►► ছেলেদের সেক্স ট্যাবলেট এর নাম এবং দাম
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
থাইরয়েড ক্যান্সারের সব ক্ষেত্রে শুরুতে উপসর্গ প্রকাশ পায় না; যাইহোক, থাইরয়েড ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায়ে খুব সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল:
[ads1]
- ঘাড়ের সামনের অংশে মাংসপিণ্ড সৃষ্টি হওয়া (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয় না)।
- খাবার গিলতে সমস্যা বা শ্বাসক্রিয়ায় অসুবিধা।
- স্বরে কর্কশতা।
- কন্ঠনালীতে বা ঘাড়ের চারপাশে ব্যথা এবং কাশি।
- চুল পড়ে যাওয়া।
- ক্ষুধামান্দ্য এবং ওজন কমে যাওয়া।
- গলার চারপাশে ফোলাভাব।
- ঘাম হওয়া।
- গরম আবহাওয়া সহ্যের অক্ষমতা।
- ঋতুচক্রে অনিয়ম।
থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer) কত ধরণের হয়ে থাকে?
[ads1]
সাধারণত দুই ধরণের সমস্যা দেখা যায়, গঠনগত ও কার্যগত। গঠনগত সমস্যায় থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যেটাকে গয়টার বল হয়।
কার্যগত সমস্যা দুই রকমের হয়ে থাকে তা হল হাইপারথাইরয়ডিজম ও হাইপোথাইরয়ডিজম।
থাইরয়েডের প্রোটন থেরাপি
[ads1]
থাইরয়েড ক্যান্সারের মঞ্চের উপর নির্ভর করে কিছু থাইরয়েড টিউমারগুলির জন্য শল্য চিকিৎসা, তেজস্ক্রিয় আয়োডিন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনের সম্মিলিত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
থাইরয়েড ক্যান্সারের চিকিৎসার বিকল্পগুলি থাইরয়েড ক্যান্সারের ধরণ, বয়স, সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত পছন্দগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়।
থাইরয়েড ক্যান্সারের উপসর্গ
[ads1]
থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer) শরীরের বাসা বেঁধেছে কি না, তা বোঝা যায় কয়টি লক্ষণ থেকে। প্রথমত, খাবার গিলতে অসুবিধা হলে, শ্বাস নিতে সমস্যা হলে সতর্ক হন।
যদি হঠাৎ দেখেন গলায় কোনও মাংস পিন্ড দেখা দিচ্ছে তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এছাড়া, সারা বছর হালকা কাশি, অনিয়মিত ঋতুচক্র (Periods), ঘাড়ে ও গলায় ব্যথার সমস্যা থাইরয়েড ক্যান্সারের (Thyroid Cancer) লক্ষণ হতে পারে।
তাই সময় থাকতে ডাক্তারি পরামর্শ নিন, তা না হলে সমস্যা বড় আকার নেবে।
►► মধু খাওয়ার উপকারিতা ২০টি
►► থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
থাইরয়েড ক্যান্সারের পরীক্ষা–নিরীক্ষা
[ads1]
- থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের টেকনিসিয়াম স্ক্যান করে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়।
- সরু সূঁচ দিয়ে গ্ল্যান্ড থেকে রস টেনে নিয়ে ‘এফএনএসি’ পরীক্ষা করা হয়। ক্যান্সার থাকলে এই পরীক্ষায় ধরা পড়ে।
- থাইরোগ্লোবুলিন’ নামে ক্যান্সার মার্কার পরীক্ষা করতে হয়।
- কিছু ক্ষেত্রে ক্যালসিটোনিন, জেনেটিক মার্কার ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসা
[ads1]
থাইরয়েড ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সার কোন স্টেজ এবং অবস্থায় আছে তার ওপর।
এই সমস্ত বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে আপনার চিকিৎসক নিম্নলিখিত চিকিৎসা প্রণালীর মধ্যে কোনো একটি বা একাধিক পদ্ধতির একত্রিত প্রয়োগের সুপারিশ করবেন কিছু কিছু থাইরয়েড ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী,
যাদের ক্যান্সার প্রাথমিক স্তরে এবং প্রথম স্টেজে থাকে, তাদের কোনোরকম চিকিৎসারই প্রয়োজন হয়না। এই ধরণের রোগীদের শুধুমাত্র কড়া পর্যেবেক্ষনে রাখতে হয়।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা সেবামূলক চিকিৎসা
[ads1]
প্যালিয়েটিভ কেয়ার হল এক ধরনের বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি, যার মাধম্যে ক্যান্সার জাতীয় গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগ সম্পর্কিত যন্ত্রণা ও অন্যান্য উপসর্গ কমানোর চেষ্টা করা হয়।
এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপির সাথেই প্রয়োগ করা যায়।
এই চিকিৎসা প্রণালীর মাধ্যমে রোগীর যন্ত্রণার উপশম করা হয় এবং তাঁরা দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হন।
►► কিডনি ভালো রাখার কৌশল
►► এলাচের অবিশ্বাস্য উপকারিতা
সতর্কতাঃ
[ads1]
থাইরয়েড বড় হলেই ক্যান্সার হয়েছে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। থাইরয়েড বড় হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। গলগণ্ড রোগ এর মধ্যে অন্যতম।
যে অঞ্চলে খাদ্যে আয়োডিনের অভাব আছে সে অঞ্চলে নারীদের গলগণ্ড রোগ বেশি হয়। বিশেষ করে মাতৃত্বকালীন আয়োডিনের অভাবে।
এ ছাড়া হাইপার থাইরয়ডিজম এবং থাইরোটক্সিকোসিসও হয়ে থাকে। এগুলো কোনোটিই ক্যান্সার নয়। ক্যান্সার হওয়ার সব কারণ আমাদের জানা নেই।
তবে অল্প বয়সে রেডিয়েশনে এক্সপোজড্ হওয়া এর অন্যতম কারণ। কিছু পারিবারিক কারণও রয়েছে। গলগণ্ড রোগের শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ ক্যান্সার হয়ে থাকে।
[ads1]
অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। এবং আমাদের ফেসবুক পেইজে ফলো করে সাথে থাকুন।