লক্ষ্য যদি থাকে ওয়েব ডিজাইন শেখা তবে জানতে হবে যে গুলো। ওয়েব ডিজাইন শেখা (Web Design) শেখার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত পথ পরিহার করুন। সবজান্তা ভাব পরিহার করুন। শেখার নামে আত্নপ্রবঞ্চক হবেন না। ( দিন রাত ফেসবুকে সময় পার করছেন আর মা-বাবা ভাই অথবা বন্ধু বান্ধব অথবা আপনার মেণ্টরকে বুঝাচ্ছেন আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখছেন)।
দ্রুতই সারা বিশ্বের সাঙ্গে বাংলাদেশেও ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
আর যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে তো আপনাকে প্রথমেই শিখতে হবে ওয়েব ডিজাইন (Web Design)।
কেননা ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design) হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার প্রথম ধাপ।
যারা ওয়েব ডিজাইন (Web Design) শিখবেন বা শিখতে চান তাদের জন্য আজ কিছু টিপস নিযে আলোচনা থাকছে:
১। আমরা বেশি ভাগই ক্ষেত্রেই পিএসডি টু এইচ টি এম এল প্রাকটিস করে থাকি। তাই আপনার উচিত ভাল মানের পিএসডি নিয়ে প্রাকটিস করা।
২। পিএসডি হাতে পাওয়ার পর হেডার থেকে শুরু করে ফুটার অংশ পর্যন্ত ভালভাবে দেখে নিন।
এক একটি অংশ বারবার দেখুন এবং মনের মধ্যে একটি ছক করুন।
কিভাবে করবেন। Row কোডিং করবেন নাকি ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করবেন।
অবশ্যই আপনি যেটা ভাল পারেন সেটা দিয়ে শুরু করুন।
সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন, ছোট ছোট ব্যাপার গুলো সব সময় Row কোডিং করাই ভাল।
আবার তুলনা মূলক যে গুলো Bootstrap কলাম এ ফেলে সহজে সাজানো যায় সে গুলো Bootstrap দিয়ে করবেন।
দেখা যায় অনেকেই অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজে ও Bootstrap কলাম ব্যবহার করে থাকেন।
যার ফলে গোলাটে ফেলেন কোথায় কত কলাম ব্যবহার করবো।
কোথায় অফসেট ব্যবহার করবো। কোথায় করবো না ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, Bootstrap এর Column, Row, Container, Navbar, Tab, Button, Carousel প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
মুখস্ত করা লাগবে না। অন্তত কপি পেষ্ট করেও যেন কাষ্ট-মাইজ করে নিজের কাজের উপযোগী করে তুলতে পারেন এতটুকু সক্ষমতা থাকতে হবে।
৩। একটি সেকশন শুরু করলে সেটা সম্পূর্ন করার পর অন্য সেকশনে যাবেন
তাতে আপনার কাজের মধ্যে খুব স্বচ্ছতা পরিলক্ষিত হবে।
অনেকেই একটি সেকশন সম্পূর্ন না করেই আর এক সেকশনের কাজে হাত দিয়ে থাকেন।
যার ফলে ঐ পূবের সেকশন অসম্পূর্ণ থাকায় পরের সেকশনে তার প্রভাব পড়ে থাকে।
৪। একটি div শুরু করলে তার শেষ নিশ্চিত করবেন
শুধু div ই না যে কোনো ট্যাগ শুরু করলে তার সম্পূর্ন নিশ্চিত করতে হবে।
৫। একটি সেকশন সম্পূর্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার রেসপনসিভ অফশনটিও সেরে ফেলতে হবে
মনে রাখবেন, কাজ সম্পূর্ন করে রেসপনসিভ করতে গেলে কোন সেকশনের জন্য কোথায় স্ক্রল পাচ্ছে তা এত্তো এত্তো কোডের মধ্য থেকে খুঁজে বের করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
যার ফলে, চক্ষু লাল, মাথা গরম, মেজাজ খিটখিটে এমনকি মাথার চুলও ছিঁড়তে হয় কখনও কখনও।
তাই একটি সেকশন সম্পূর্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেসপনসিভ পার্টটাও সেরে ফেলুন।
আড়ো পড়ুন: ক্যারিয়ার হিসেবে জাভাস্ক্রিপ্ট কাজ কেন শিক্ষবেন ?
আড়ো পড়ুন: ওয়েব ডিজাইন শেখা র জন্য কোর্স করা কি? খুব বেশি গুরুত্ব পূর্ণ?
৬। এইচ টি এম এল কোডিং করার সময়ে কমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়
শুধু HTML না, যে কোনো কোডিং করার ক্ষেত্রেই কমেন্ট সমান গুরুত্ব বহন করে।
আপনি নির্দিষ্ট কোনো ট্যাগ বা সেকশন কি কাজের জন্য ব্যবহার করে ছিলেন, তা উল্লেখ করার জন্যই মূলত কমেন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
শুধু নিজের জন্যই না, আপনার লেখা কোড গুলো যখন অন্য কোন ব্যক্তির এডিট করার প্রয়োজন হবে, তখন সে ওই কমেন্ট গুলো দেখে খুব সহজেই বুঝে কাজ করতে পারবে।
এর ফলে আপনার কাজের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে তার মনে ভালো দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।
৭। CSS এর কোডিং গুলো ধারাবাহিক ভাবে সাজানোর ক্ষেত্রে যত্নশীল হতে হবে
শুরুতে body এবং শেষে footer পর্যন্ত এর মধ্যে যত style আছে, সে গুলো লেখার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা অবলম্বন করতে হবে।
কোনো ভাবেই যেন একটি সেকশনের style এর মধ্যে অন্য সেকশনের style না ঢোকে, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে style গুলো ধারাবাহিকতার সাঙ্গে গুছিয়ে লিখলে পরবর্তীতে সে গুলো খুঁজে পেতে নিজেরই সুবিধা। উল্লেখ্য, CSS এর ক্ষেত্রেও কোড গুলোকে কমেন্ট করতে হবে।
৮। দীর্ঘ সময় ধরে একটানা প্রাকটিস করবেন না
মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। কোড যখন মিলছে না, পিসির সামনে আর বসে থাকবেন না। বাইরে একটু ঘোরাগুড়ি করুন।
চোখে মুখে পানির ঝাঁপটা দিন। কারও সাঙ্গে একটু অন্য বিষয়ে গল্প করুন।
অবশ্যই তা মোবাইল ফোনে করতে যাবেন না এবং গল্প যেন কোডিং সংক্রান্ত না হয়।
অথবা একটু গান শুনুন। ছোটদের সাঙ্গে মজার কোনো গল্প শেয়ার করুন।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে ইউটিউব (youtube) থেকে বা ফেসবুক থেকে মজা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না এই সময়টাতে।
একটু রিফ্রেশমেণ্ট নেয়ার পর কোডটাতে চোখ বুলান দেখেন সামান্য একটি ভুল করে রেখেছেন। সমাধান হয়ে যাবে।
অনেকে কোডিং এ error খুঁজতে খুঁজতে অনেক সময় পার করে ফেলেন।
অথচ ফলাফল শুন্য দাঁড়িয়ে যায়। অযথা সময় পার না করে স্রেফ ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠে যান রিফ্রেশমেন্টের জন্য।
৯। একজন সফল ওয়েব ডিজাইনার (Web Design) হতে হলে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিন:
ক) প্রাকটিস করুন
খ) প্রাকটিস করুন
গ) প্রাকটিস করুন
১০। অবশেষে যে কথাটি না বললেই নয়, ওয়েব ডিজাইন (Web Design)কে যদি পেশা হিসেবে নিতে চান।
তাহলে নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন। পরিশ্রম করুন। সময়কে সময় দিন। মহান সৃষ্টিকর্তার উপর সন্তুষ্ট থাকুন।
শেখার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত পথ পরিহার করুন। সবজান্তা ভাব পরিহার করুন। শেখার নামে আত্নপ্রবঞ্চক হবেন না।
(দিন রাত ফেসবুকে সময় পার করছেন আর মা-বাবা ভাই অথবা বন্ধু বান্ধব অথবা আপনার মেণ্টরকে বুঝাচ্ছেন আপনি ওয়েব ডিজাইন (Web Design) শিখছেন)।