সৈয়দ রেজাউল করীম – চরমোনাই পীরের শিক্ষাগত যোগ্যতা

সৈয়দ রেজাউল করীম -এর প্রাথমিক শিক্ষা জীবন চরমোনাই আলিয়া মাদরাসা দিয়ে শুরু হয়। চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ মাদরাসায় কওমী এবং আলিয়া উভয় ধারার শিক্ষাই সমানভাবে চালু রয়েছে। গতানুগতিক আলিয়া মাদরাসাগুলোর বাইরেই এ মাদরাসার অবস্থান।

এখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইসলামী জ্ঞানে-গুনে সমন্বিত আলেমরা শিক্ষকতা করে থাকেন। দক্ষিণবঙ্গের তেমনই একজন প্রবীণ আলেম মাওলানা আ. রহিম যিনি চরমোনাই মাদরাসায় প্রায় বিশ বছর যাবত প্রধান মুহাদ্দিসের দায়িত্ব পালন করে এখন ভোলা আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত আছেন।

তিনি মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম সম্পর্কে বলেন, “পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমকে হেদায়াতুন নাহু ক্লাশ থেকে কামিল ক্লাশ পর্যন্ত আমি পড়িয়েছি। তাঁর বর্ণীল শিক্ষা জীবন সম্পর্কে আমি জানি।

মুফতী রেজাউল করীম

তিনি কামিল হাদিস ও ফিকাহ গ্রুপে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেখান থেকেই উনাকে মুফতী বলা হয়”। মুফতী রেজাউল করীম ১৯৯১ সালে চরমোনাই আলিয়া থেকে কামিল ও বরিশাল সাগরদী আলিয়া থেকে ফিকহ ও হাদিসে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ইফতা ও হাদিসের দরস সম্পন্ন করেছেন।

আলিয়া মাদরাসায় ক্লাশ করার পাশাপাশি চরমোনাই কওমী মাদরাসায়ও ধারাবাহিক ক্লাস করেছেন তিনি। কওমীয়া মাদরাসার প্রতিটি ক্লাশই তিনি সুনামের সাথে শেষ করেছেন।

এবং তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাবাড়ী মাদরাসায়ও পড়াশোনা করেছেন বলে জানিয়েছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। চরমোনাই কওমীয়া শাখার মেধাবী ছাত্র হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল ব্যাপকভাবে।

সম্প্রতিকালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানী একটি মিটিংয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের বরাত দিয়ে চরমোনাইর পীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসায় পড়েছেন এবং কোন ক্লাশে পাশ করেননি বলে যে দাবি তুলেছেন তার কোন ভিত্তি অনেক খুজেও পাওয়া যায়নি।

ফরিদাবাদ মাদরাসায় চরমোনাইর বর্তমান পীর সৈয়দ রেজাউল করীম একদিনের জন্যও ভর্তি হননি বলে পাবলিক ভয়েসকে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়েছেন ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের’ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

বরং যাত্রাবাড়ী মাদরাসার শিক্ষা জীবন চলাকালে একাধিকবার মাদরাসায় মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীমের কাছে তিনি এসেছেন এবং সার্বিক খোজ-খবর নিতেন বলেও জানিয়েছেন।

দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী এর কাছ থেকে খেলাফত নেওয়ার সময় ছাত্রজীবন শেষ হতেই তিনি চরমোনাই আলিয়ার শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

পরে দীর্ঘদিন যাবত চরমোনাই আলিয়া ও কওমী মাদরাসার নাযেমে আ’লার দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি উভয় শাখার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডে নামের স্বতন্ত্র মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি এবং বাংলাদেশর কওমী মাদরাসাসমূহের প্রধান শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ সভাপতি’র দায়িত্বে আছেন।

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment