ড্রোন কিভাবে কাজ করে এবং নীতিমালা সম্পর্কে জানুন

ড্রোন কিভাবে কাজ করে বর্তমান সময়ে পুরো পৃথিবীতে ড্রোন অত্যন্ত আলোচিত একটি শব্দ।

বর্তমানে প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নানা কাজে ড্রোনের নানাবিধ ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।

এমনকি বাংলাদেশেও প্রতিরক্ষা শহর নিরাপত্তাজনিত নানা কারণে কাজে সার্থকতার সাথে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমাদের আজকের আর্টিকেলে থাকছে ড্রন সম্পর্কিত নানা প্রসঙ্গ।

ড্রোন কি?

ড্রোন কিভাবে কাজ করে

ড্রোন হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের মানবহীন পাখি সদৃশ যন্ত্রবিশেষ যাকে ইংরেজিতে ‘Unmanned Aerial Vehicle বা UAV’ বলা হয়ে থাকে।

হেলিকপ্টার অথবা এই জাতীয় অন্যান্য আকাশযানের সাথে ড্রোনের মূল পার্থক্য হচ্ছে-

//shulugoo.net/4/6176583

হেলিকপ্টার অথবা এই জাতীয় কোন যান চালানোর জন্য এক বা একাধিক মানুষের প্রয়োজন হলেও গ্রহণ চালানোর জন্য মানুষ কোন মানুষের প্রয়োজন পড়ে না।

দূর থেকেই তারবিহীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে অথবা আগে থেকেই নির্ধারিত প্রোগ্রামিং দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

জল শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে চক্রাকারে ঘূর্ণি রত এমন কোন যন্ত্র যা থেকে খুব স্বল্প মাত্রার অভিরামপুর জন সৃষ্টি হয়।

সহজ কথায়, ড্রোন হচ্ছে উড়তে সক্ষম এমন বিশেষ ধরনের রোবট বিশেষ জাদুর থেকেই আধুনিক সফটওয়্যার গত প্রোগ্রাম দিয়ে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে আমরা জানি।

ড্রোনের ব্যবহার কিভাবে?

এই নিয়ন্ত্রণসহ আরব বহুমুখী কাজের জন্য ধরনের নানা রকম ব্যবহার রয়েছে।

মিলিটারি ব্যবস্থায় যেখানে মানুষের কাছে পৌছানো দুর্গম এমন সব স্থানে মনুষ্যবিহীন বিশেষ সুবিধার জন্য প্রথম দিকের ধরনের চিন্তাভাবনা করা হয়।

//shulugoo.net/4/6176583

বিগত শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের দিকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রেডিও ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হলে আকাশযানের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক রাতারাতি পরিবর্তন আসে।

আধুনিক প্রযুক্তির উত্তরণের সাথে সাথে এখন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির নির্মাণ করেছে।

বর্তমানে গুগোল অ্যামাজন এর মত বড় বড় কোম্পানির পণ্য পরিবহন যোগাযোগ রক্ষা তথ্য পরিবহনসহ নানা কাজে সার্থকতার সাথে ধরুন কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কাজকে সম্পূর্ণ করছে।

ফেসবুক আচরণের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও আজকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আপাতদৃষ্টিতে ড্রন পরিচালনা ব্যবস্থা কে অত্যন্ত সহজ বলে মনে হলেও বিষয়টি কিন্তু একটু কঠিন বটেই।

কেননা এটি চাই নাই সবাই পরিচালনা করতে পারে না এটি পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত মেধা এবং জ্ঞান প্রয়োজন রয়েছে।

ড্রোন কিভাবে কাজ করে?

ড্রোন কিভাবে কাজ করে

বস্তুত, আধুনিক ড্রোনের নির্মাণ এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তি পরস্পর সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।

ড্রোনের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রযুক্তিটি কাজ করে তা হচ্ছে- মাল্টি প্রোপেলার ব্যবস্থা।

এই ব্যবস্থাপনার কারণে ডন কোন ব্যর্থতা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠতে সক্ষম হচ্ছে।

মাল্টিপল খোলার ব্যবস্থা হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থাপনা যেখানে কোন মটর হঠাৎ অকার্যকর হয়ে পড়লেও একটি সমন্বিত ব্যবস্খাপনা কৌশলের কারণে উড়তে থাকা দলটি কে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

দেশ ভ্রমণের অধিক সংখ্যক মোটর ব্যবহৃত হয়, সেই ড্রোন গুলো সাধারণত উড্ডয়নের ক্ষেত্রে পুরো মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং উড্ডয়নেকালে বেশি মালামাল পরিবহনে সক্ষম।

ডলার ক্ষেত্রে সাধারণত শক্তির একটি নির্দিষ্ট থাকে এবং এক্ষেত্রে পরিবর্তনযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়।

ঠিক এ কারণে ড্রন স্বাধীনভাবে দীর্ঘসময় আকাশে উড়তে সক্ষম হয়ে থাকে।

ড্রোন তৈরিতে উন্নতি!

বর্তমান সময়ে গ্রহণের নির্মাণ নকশা বৃষ্টি কেমন পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে যা শেভরণ আরো দীর্ঘ সময় আকাশে উড়তে পারে।

বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে গ্রহণের বাজার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের।

বর্তমান অগ্রগতি সূচক বিশ্লেষণ সাপেক্ষে ২০২০ সালের দিকে এই বাজার ১২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে ফেডারেল এভিয়েশন বিভাগের হিসাব মতে, প্রায় ৮০,০০০ নিবন্ধিত ড্রোন পরিচালিত হচ্ছে। ২০২১ সালের দিকে এই সংখ্যাটি লেখ ৪২০,০০০ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিভিন্ন দেশে সাফল্যের সাথে ড্রোন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কোর্স চালু করা হচ্ছে।

ড্রোনে আমাদের উপকার কি?

ড্রোন কিভাবে কাজ করে

ড্রোন কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আশাকরি ইতিমধ্যে আপনি অবগত। বর্তমানে লক্ষ করলে দেখা যায় বাংলাদেশের অনেক বড় বড় রেস্টুরেন্ট কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট ড্রোনের মাধ্যমে সার্প করছে।

ড্রোনের মাধ্যমে সঠিক স্থানে সঠিক গন্তব্যে ক্রেতার প্রোডাক্ট গুলো পৌছে দিচ্ছে ড্রোন।

সঠিকভাবে পরিচালনা করে ড্রোনের মাধ্যমে শুটিং সহ আরও বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ড্রোন ব্যবহারের নানাবিধ সমস্যার মধ্যেও রয়েছে আমাদের অনেক সুবিধা।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক বেশি সুবিধা না হলেও অরগানাইজেশন অথবা কম্পানি ভিত্তিক অনেকগুলো সুবিধা বহন করছে এই ড্রোন।

চায়না অথবা বিভিন্ন কান্ট্রিতে লক্ষ করলে দেখা যায় ড্রোনের মাধ্যমে কোন প্লেসে আগুন লাগলে সেটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি আগুন নিয়ন্ত্রণে ড্রোনকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য রাস্তার বিভিন্ন সংযোগ পয়েন্টে সিসিটিভি ব্যবহার করা হয়। সিসিটিভির উচ্চতা যত বেশি হবে রাস্তার সংযোগ স্থান তত বেশি দেখা যাবে।

কিন্তু একই সঙ্গে ভিডিওচিত্রের মান কমে যাবে। বিভিন্ন উচ্চতায় ড্রোন উড়িয়ে প্রকৌশলীরা উচ্চতা নির্ধারণ করতে পারবেন অনায়াসে।

আধুনিক বিশ্বের কৃষকেরা বড় খেত ও বাগানে পানি ও কীটনাশক প্রয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উদ্ভিদের রোগ নির্ণয়, বীজ বপন ও ফলের সংখ্যা গণনায় ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছেন।

এতে তাঁরা কম সময়ে ও খরচে ফসলের দ্বিগুণ উৎপাদন পাচ্ছেন।

ড্রোনের মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি কি?

ড্রোন কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জানলাম। এদিকে যেমন ঝর্ণা টাকা যে মানুষকে নানা সুবিধা এনে দিয়েছে। ঠিক তেমনি এর কিছু নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়া উচিত।

এক্ষেত্রে সবথেকে বিপদজ্জনক দিক গুলো হল- যুক্তিবাক্য সত্য চুরি হওয়ার বিষয়টি।

ঠিক এই কারনে পৃথিবীর অনেক দেশেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধরনের ব্যবহার আইনের মাধ্যমে সীমিত করা হয়েছে।

এছাড়াও ড্রোন ব্যবহারের আরো টাকা দিক রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাই ড্রোন ব্যবহারে নিবন্ধন খুব বেশি জরুরি বলে গণ্য করা হয়েছে।

ড্রোন ব্যবহারের নীতিমালা

ড্রোন কিভাবে কাজ করে

সূত্রমতে, দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে অবৈধ ড্রোন ব্যবহারের খবর আসছে।

চলতি মাসের শুরুতে সুন্দরবন এলাকার শরণখোলার কটকা এলাকায় অবস্থান করা একটি লঞ্চ থেকে ড্রোন জব্দ করা হয়।

এর আগে বন বিভাগ ২০১৬ সালের জানুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগ এলাকা থেকে দুটি ড্রোন জব্দ করেছিল।

ওই দুবারই উদ্ধার হওয়া ড্রোন দুটি ছিল বিদেশি নাগরিকদের। ড্রোন উড্ডয়নে সবুজ, হলুদ ও লাল নামে তিনটি জোন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

প্রণীত ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা, ২০২০’ অনুযায়ী, সবুজ জোন হচ্ছে বিমানবন্দর বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কেপিআই) তিন কিলোমিটারের বাইরের এলাকা, যেখানে ড্রোন চালাতে কোনো অনুমতি নিতে হবে না।

হলুদ জোনের মধ্যে রয়েছে সংরক্ষিত, সামরিক, ঘনবসতি ও জনসমাগমপূর্ণ এলাকা, যেগুলোতে অনুমতি নিয়ে ড্রোন চালাতে হবে।

আর লাল জোনের মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ এলাকা, বিপজ্জনক এলাকা, বিমানবন্দর এবং বিশেষ কেপিআই; যেখানে বিশেষ অনুমতি নিয়ে চালাতে হবে।

ড্রোনের নীতিমালা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করে PDF ডাউন’লোড করুন

ড্রোন মডেল এবং বাংলাদেশে দাম

4DRC V14 Drone  ৳৮,৯৯৯
JJRC X12 GPS WIFI Quadcopter Drone  ৳২৯,০০০
E88 MAX 4K Wi-Fi Dual Camera Drone ৳১২,০০০
S85 Pro FPV 4K HD Drone ৳৫,২৫০
SJRC F11S 4K Pro GPS Drone with EIS FPV Combo  ৳৩১,৫০০
KY907 Pro 4K Professional Mini Drone  ৳৪,৫০০
E99 Max Wi-Fi Return Function Drone  ৳১২,৫০০
4DRC V20 ELF Wi-Fi Drone  ৳৫,০০০

 

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment