মাসিকের সময় যে ৬টি কাজ করা উচিত নয়

মাসিকের সময় যে ৬টি কাজ করা উচিত নয় একজন নারী শারীরিকভাবে সুস্থ এবং গর্ভধারণে সক্ষম, তার অন্যতম চিহ্ন হলো নিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড।

মাসিকের দিনগুলো অন্য স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন রকম থাকে। হরমোনের কারণে কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে৷

এই সময় মেয়েদের শরীর অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি দুর্বল থাকে।

অনেকের জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসে, তলপেট স্ফিত হয়! কারো ব্যথা করে৷ এমনকি অনেকে বমিও হয়।

কিছু কাজ রয়েছে যা এই সময়ে করলে শরীরের অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে।

এ সময়ে করা যাবে না এমন কোন কাজ যা শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তাহলে চলুন আজ আমরা লিসোনারির মাধ্যমে জেনে নিন মাসিকের সময় যে ৬টি কাজ করা উচিত নয় সেগুলো কি কি?

১. উপুড় হয়ে শোয়া:

অনেকেরই পেটে ভীষণ ব্যথা থাকে বলে পেটে চাপ দিয়ে শুয়ে থাকেন। উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে তা পেটে এমনভাবে চাপ ফেলে যে সেটা মোটেও ভালো নয়।

এ ছাড়া এই সময় উপুড় হয়ে শুলে হার্ট রেটে তারতম্য হয়, রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং অক্সিজেন ঠিকমতো সরবরাহ হয় না বলে মাথা ঝিমঝিম বা ব্যথা করে।

২. ভারী জিনিস তোলা:

নারীদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ থাকে তাদের পেটে। যেমন জরায়ু বা ডিম্বাশয়।

তাই খুব বেশি ভারী জিনিস টেনে তোলা নারীদের জন্য ভালো নয়।

আর পিরিয়ডের সময় তো একেবারেই নয়।

৩. ভারী ব্যায়াম:

মাসিকের সময় ভারী কোনো ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়।

মাসিকের সময় করার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, সেগুলো করতে পারেন।

যোগব্যায়ামের কিছু আসন মাসিকের ব্যথা কমাতে খুবই কাজে দেয়।

৪. প্রাকৃতিক কাজ আটকে রাখা:

এই বদঅভ্যাসটা অনেকেরই আছে। প্রস্রাব পেলে তা আটকে রাখা কখনোই উচিত নয়।

এটি কিডনির ওপরে ভয়াবহ রকমের চাপ ফেলে। বারবার প্যাড পাল্টানোর ভয়ে অনেকেই পিরিয়ডের সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন।

এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এই সময়ে একাজ তলপেটের ওপর চাপ ফেলে এবং ব্যথা দীর্ঘসময় থাকে।


আরো পড়ুন: লেখক তোমাকে বলছি – মুহা. আল মামুন আব্দুল্লাহ
আরো পড়ুন: জীবনানন্দ’র সাথে দেখা – কিশোর চন্দ্র বালা


৫. জোরে চিৎকার করা:

মাসিকের সময় রাগ, বিরক্তি, জেদ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়।

রেগে গিয়ে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি করা উচিত নয়৷ এর ফল হবে ভয়ানক।

এটি সরাসরি তলপেটে চাপ ফেলে। কাউকে ডাকতে গিয়েও জোরে চিৎকার করা ঠিক নয়৷

চিৎকার করতে শরীরের যেসব পেশীর ওপর জোর দিতে হয় তার মধ্যে পেটের পেশীও আছে।

৬. পানি কম পান করা:

ঘন ঘন প্রস্রাব লাগবে ভেবে অনেকেই এ সময় পানি কম খান।

অথচ পিরিয়ডের সময়েই বেশি করে পানি খাওয়া উচিত।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান শরীরকে দুর্বল হবার হাত থেকে বাঁচায়।

এ ছাড়া রক্তের তরল্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত।

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।

Leave a Comment