হেলাল হাফিজ এর জবনী:

হেলাল হাফিজ এর জবনী


হেলাল হাফিজ

ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৭’তে কবিতা পড়ছেন হেলাল হাফিজ
জন্ম: ৭ অক্টোবর ১৯৪৮ (বয়স ৭৩) নেত্রকোণা, বাংলাদেশ।
পেশা: কবি, সাংবাদিকঅ।
নাগরিকত্ব: বাংলাদেশ।
সময়কাল: বিংশ শতাব্দী।
ধরন: কবিতা।
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি: যে জলে আগুন জ্বলে।
কবিতা ৭১,

উল্লেখ-যোগ্য পুরস্কার আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৩),
হেলাল হাফিজ ( জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৪৮) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্প-প্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জন প্রিয়তা লাভ করেন। তার কবিতা সংকলন যে জলে আগুন জ্বলে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ৩৩টিরও বেশি সংস্করণ হয়েছে। ২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তার ২য় কাব্য-গ্রন্থ কবিতা একাত্তর। তার অন্যতম জন-প্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’;- এ কবিতার ২টি পঙ্‌ক্তি ‘‘এখন যৌবন
যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে রয়েছে। তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কাজ করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন:


১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্র-কোণায় জন্ম-গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খোরশেদ আলী তালুকদার । আর মাতার নাম কোকিলা বেগম। ১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাই-স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্র-কোণা কলেজ দিয়ে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ওই বছরই কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্রা বস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্ব-দেশে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলো দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন । সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলো।

মুক্তিযুদ্ধের সময়:


১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের রাতে অলৌকিক ভাবে বেঁচে যান হেলাল হাফিজ। সে রাতে ফজলুল হক হলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় পড়ে সেখানেই রয়ে যান। রাতে নিজের হল ইকবাল হলে (বর্তমানে জহুরুল হক) থাকার কথা ছিলো। সেখানে থাকলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হতেন। ২৭ মার্চ কারফিউ তুলে নেয়ার পর ইকবাল হলে গিয়ে দেখেন চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, লাশ আর লাশ। হলের গেট দিয়ে বেরুতেই কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে দেখা। তাকে জীবিত দেখে উচ্ছ্বসিত আবেগে বুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকলেন নির্মলেন্দু গুণ। ক্র্যাক-ডাউনে হেলাল হাফিজের কী পরিণতি ঘটেছে তা জানবার জন্য সে দিন আজিম-পুর থেকে ছুটে এসে ছিলো কবি গুণ। পরে নদীর ওপারে কেরানী গঞ্জের দিকে আশ্রয়ের জন্য ২জনে বুড়িগঙ্গা পাড়ি দেন।

সাহিত্য কর্ম ও পুরস্কার:

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয়। কবিতার জন্য পেয়ে ছিলেন নারায়ণ-গঞ্জ বৈশাখী মেলা উদ্‌যাপন কমিটির কবি সংবর্ধনা (১৯৮৫), যশোহর সাহিত্য-পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেত্র-কোণা সাহিত্য -পরিষদের কবি খালেদ-দাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা, বাসাসপ কাব্যরত্ন ২০১৯ প্রভৃতি। কবিতায় তিনি ২০১৩ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।

আড়ো পড়ুন: হাসন রাজা এর জীবনী
আড়ো পড়ুন: হরিশ চন্দ্র মিত্র এর জীবনী

কবিতা:

নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়,
নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙুল,
দুঃসময়ে আমার যৌবন,
অস্ত্র সমর্পণ,
অগ্নুৎসব,
বেদনা বোনের মতো,
ইচ্ছে ছিলো,
প্রতিমা,
অন্যরকম সংসার,
নিখুঁত স্ট্রাটেজি,
আমার সকল আয়োজন,
হিরণবালা,
দুঃখের আরেক নাম,
প্রত্যাবর্তন,
তীর্থ,
অনির্ণীত নারী,
অশ্লীল সভ্যতা,
কবিতার কসম খেলাম,
পরানের পাখি,
বাম হাত তোমাকে দিলাম,
উপসংহার,
শামুক,
আমার কী এসে যাবে,
ইদানীং জীবন যাপন,
পৃথক পাহাড়,
অহংকার,
কোমল কংক্রিট,
নাম ভূমিকায়,
সম্প্রদান,
একটি পতাকা পেলে,
মানবানল,
যার যেখানে জায়গা,
কবি ও কবিতা,
ফেরিঅলা,
উৎসর্গ,
যেভাবে সে এলো,
রাডার,
যাতায়াত,
যুগল জীবনী,
লাবণ্যের লতা,
তোমাকেই চাই,
ভূমিহীন কৃষকের গান,
কবুতর,
নেত্রকোণা,
তুমি ডাক দিলে,
হিজলতলীর সুখ,
রাখাল,
ব্যবধান,
কে,
অমীমাংসিত,
সন্ধি,
ক্যাকটাস,
তৃষ্ণা,
হৃদয়ের ঋণ,
প্রস্থান,
ঘরোয়া,
রাজনীতি,
ডাকাত,
কাব্যগ্রন্থ,
যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬),
কবিতা ৭১ (বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায়, একুশে বইমেলা ২০১২),
বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা (২০১৯),

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Edit

Leave a Comment