ইফতারে যা খাওয়া উচিত

এগুলো খেলে ওজন তো বাড়বেই সেই সঙ্গে পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।

তাই জেনে নিন, ইফতারে কী খাবেন, কী খাবেন না।

[ads1]

খালি পেটে সেসব ফল খাওয়া ঠিক না ভুল তা নিয়েও সন্দিহান থাকেন অনেকে। অনেকের ধারণা খালি পেটে ফল খেলেই অ্যাসিডের প্রকোপ বাড়ে।

ডায়েটিশিয়ানরা মনে করেন, ফল থেকে পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম মেনে তবেই খাওয়া উচিত। জেনে নিন সেগুলো কী-

ইফতারে যা খাওয়া উচিত না

[ads1]

ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা ডুবো তেলে যেসব খাবার তৈরি করা হয় যেমন: পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।

কারণ এই খাবারগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে। একসাথে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলা যাবে না।

অনেকে ইফতারে বসেই খেতে খেতে গলা পর্যন্ত খেয়ে ফেলেন। এমনটা করা যাবে না।

টক জাতীয় ফলে যদিও প্রচুর ভিটামিন সি থাকে তবে এতে সাইট্রিক এসিডও থাকে।

[ads1]

তাই রোজার সময় টক ফল সাবধানতার সাথে খেতে হবে। ভালো হয় রাতের খাবার শেষ করে খেলে।

►► ডায়রিয়া হলে করণীয় কি?
►► টাক সমস্যার সমাধান

কারণ সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলো এসিডিটির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

ঝাল খাবার পাকস্থলীতে এসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় তাই কাঁচা মরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।

গরম খাবার যেমন চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

[ads1]

তাই রোজার সময় চা, কফি ইত্যাদি পরিহার করে চলা উচিত।

ইফতারে যা খাওয়া উচিত

খেঁজুর: ইফতারে অবশ্যই খেজুর বা খোরমা খাবেন। এতে আছে শর্করা, চিনি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন ও ক্লোরিন ফাইবার।

যা সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খুবই দরকারি। সেহরিতেও একটি হলেও খেজুর খেতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি বা ডাব: ইফতারের সময় একসঙ্গে অনেক বেশি পানি পান করেন অনেকে। এতে খাবার ও পানি মিলে ভেতরে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি করে।

[ads1]

এতে ইফতারের পর ইবাদতে, কাজে ক্লান্তি আসে।

এটা না করে ইফতারের পর থেকে সেহরীর আগ পর্যন্ত একটু পর পর ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত।

সেহরিতে যা খাবেন না

অতিরিক্ত তেল মসলাদার খাবার খাবেন না। খাবার রান্নার সময় অল্প তেল ব্যবহার করবেন।

রেড মিট বাদ দিয়ে এসময় মুরগীর মাংস ঝোল করে খেতে পারেন।

[ads1]

বিরিয়ানি, তেহারির মত গুরুপাক খাবার পরিহার করুন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তার মিষ্টি খাবার খাবেন না।

উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের রোগীরা গ্লুকোজ মেশানো পানি খাবেন না।

►► রোজার মাসের ডায়েট চার্ট 
►► ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে যে সব খাবার

শেষ কথা

অনেকে বলেন, পেট ভরে খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত। তা না হলে অন্যান্য খাবারের হজম প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগে।

তাতে একদিকে যেমন পেট বেশি ভার হয়ে থাকে, তেমনই অন্যদিকে আবার কারও কারও পেট ফাঁপার সমস্যাও হতে পারে।

[ads1]

তাই ভারী খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফল না খেয়ে একটু আগে বা পরে খেয়ে দেখুন কেমন লাগে।

আপনার ক্ষেত্রে ঠিক কোন নিয়মগুলি খাটছে, তা নিজেই বুঝতে পারবেন।

[ads1]

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।  আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment