কিভাবে লম্বা হওয়া যায় এবং লম্বা হওয়ার উপায় এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই বিরাজমান রয়েছে। বর্তমান সময় কয়েক শত বছর আগের কথা অনুযায়ী মানুষ দিন দিন ছোট হয়ে জন্মানো শুরু করেছে। কয়েক শত বছর আগে মানুষ অনেক বেশি লম্বা হতো। সেই তুলনায় এখনকার মানুষগুলো খুবই ছোট আকারে জন্ম নিচ্ছে।
কিন্তু কিছু মানুষ মিডিয়াম এবং লম্বা থাকার তাদের মধ্যে মানানসই না হওয়াতে তাদের মন খারাপ হওয়াটাই অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাদের জন্য আমাদের ছোট্ট কয়েকটি ট্রিক্স রয়েছে যা আপনি এপ্লাই করে কিছুটা সম্ভাব্য চেষ্টা করতে পারেন। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিন কিভাবে লম্বা হওয়া যায় সে সম্বন্ধে বিস্তারিত।
অনেকেই মনে করেন লম্বা হওয়া প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বংশগত একটি বিষয় এ কারণে আপনারা কোন ভাবে এটি ব্যায়াম অথবা অন্য কোন মাধ্যমে চেষ্টা করেন না। তবে এ ধারণাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। সঠিক জীবন যাপনে কিছুটা হলেও শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিক।
►► শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কী?
►► গর্ভাবস্থায় সহবাস কতটা নিরাপদ?
কিভাবে লম্বা হওয়া যায়?
শরীরের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি ধাপ ও অনুসরণ করে আপনি চেষ্টা করতে পারেন হয়তো আপনি কিছুটা ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন। তবে এজন্য আপনাকে নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে এবং নিচের দেওয়া সিস্টেমগুলো এপ্লাই করে দেখতে হবে।
রোদের মধ্যে হাটা
হাড়ের বিকাশের জন্য শরীরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় আর রোদে হাঁটলে শরীরে প্রচুর ভিটামিন ডি জন্ম নেয়। তবে শরীরের রং পরিবর্তন হতে পারে তাই এটা স্বাভাবিক রেখে রোদে থাকতে হবে। তবে ফর্সা ত্বকের রোগ গুলো সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট রোদে থাকতে পারবেন। কিন্তু কাল ত্বকের লোকদের ভিটামিন ডি পেতে হলে প্রায় ঘন্টাখানেক রোদে হাঁটাচলা কন্টিনিউ করতে হবে।
পর্যাপ্ত পুষ্টি পাও
শরীরের বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সাবজেক্ট যা আমরা পরিমাণ মতো এবং কোন খাবারে কি পুষ্টিকর ভিটামিন রয়েছে তা আমরা লক্ষ্য না করে আমাদের শরীরের মধ্যে সেগুলো প্রবেশ করতে দেই। নিয়মিত বাদাম, দুধ, চরবিহীন মাংস ও শাকসবজি খেতে হবে। এছাড়া প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হবেই। এর ফলে শরীরের উচ্চতা বেড়ে যাবে আপনি নিজেই সেটা লক্ষ্য করতে পারবেন।
শরীরের পরিচর্যা
যারা বলেন কিভাবে লম্বা হওয়া যায় তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। শরীর ভালো রাখতে যেমন নিয়মিত শরীরের পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক একইভাবে শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে শরীরচর্চার বিকল্প কিছুই নেই। নিয়মিত শরীর চর্চা করলে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি হবে এটা আপনি নিশ্চিত থাকুন।
পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন
বর্তমানে মোবাইল, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে আমাদের রাত জাগাটা বেশি হয়ে থাকে যা আমরা বেশিরভাগ সময় উপলব্ধি করতে পারি। আমাদের এই রাত জাগার সমস্যাটি সমাধান করতে হবে। রুটিন মাসিক আমাদের কাজ করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে দৈনিক উচ্চতা বৃদ্ধি পায় বলে জানান বৈজ্ঞানিক। এছাড়া উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রত্যেকদিন নিয়মিত ৮ ঘন্টা ঘুমের বিকল্প নেই।
স্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গি
লম্বা হওয়ার উপায় চাইলে অফিসিয়াল কাজ চেয়ারে বসে করতে মেরুদন্ড সোজা রাখতে হবে এবং হাঁটাচলার ক্ষেত্রে পুজো হয়ে হাঁটাচলা করা যাবে না সোজা স্ট্রং হয়ে হাঁটাচলা করার চেষ্টা করতে হবে এতে করে শরীরের উচ্চতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাবে। সব সময় মেরুদন্ড সোজা রেখে কাজকর্ম করার চেষ্টা করতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস
আমাদের জীবনের সাথে অনেক ওস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে জড়িয়ে থাকে লম্বা হওয়ার উপায় কার্যকারী করতে চাইলে সেগুলো আমাদের ত্যাগ করা উচিত। যেমন: সকালে অনেক বেশি লেট করে ঘুম থেকে ওঠা, রাতে লেট করে ঘুমাতে যাওয়া, সময়মতো না খাওয়া, মনের বিরুদ্ধে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক কথায় অসাস্থ্যকর অভ্যাস গুলো সবার আগে আপনাকে ত্যাগ করতেই হবে।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া
আমরা জানি, সব সময় হাসি খুশি থাকলে আমাদের মন সতেজ থাকে। কখনো কোনো কারণ-অকারণে ভেঙে পড়বেন না নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনার শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে আপনাকে সহায়তা করবে। ফলে কিছু না কিছু উচ্চতা বৃদ্ধি পাবেই। এজন্য কখনো নিজের বিশ্বাসকে হারাতে দেয়া যাবে না অবশ্যই নিজের বিশ্বাসকে শক্তপোক্ত করতে হবে।
শিশুদের জন্যে
শিশু বয়সে যদি আপনার মনে হয় যে আপনার সন্তানটি লম্বা হচ্ছে না অথবা পুষ্টিকতায় ভুগছি তখন আপনি এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেন। যেমন: বেশি গঠনের উপর নির্ভর করে আপনার সরকারের উচ্চতা শরীরে অপুষ্টি থাকলে উচ্চতা বাড়ে না তাই শরীরে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে এমন কাজগুলো করতে দিন।
যাদের উচ্চতা প্রথম থেকেই কম, ১৮ বছরের মধ্যেই লম্বা হওয়ার যাবতীয় কৌশল প্রয়োগ করতে হবে কেননা ১৮ বছরের পরে লম্বা হওয়ার কার্যকারিতা অনেকটা কমে আসতে পারে। ১-১৮ বছরের মধ্যে আপনার সন্তানকে লম্বা হওয়ার জন্য কার্যকারী মাধ্যমটি গ্রহণ করতে দিন। ১৮ বছরের পরেও ডায়েট চার্টে রাখুন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি এগুলো খেতে দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে দিন এবং হরমোনের সমস্যা থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কারো কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে রোজ যোগা করুন। এতে করে আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এবং নিয়মিত সুস্থ থাকবে।
►► পেটের মেদ কমানোর উপায়
►► মোটা হওয়ার সহজ উপায়
লম্বা হওয়ার জন্য যা খাবেন
- সয়াবিন
- মিষ্টি আলু
- দই
- আমন্ড বাদাম
- সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল
- শিমের বিচি
- কলা
- ডিম
- দুধ
- প্রাণীজ মাংস
আমাদের সাজেশন
কিভাবে লম্বা হওয়া যায় সে সম্বন্ধে এতক্ষণ আমরা আপনাদেরকে লম্বা হওয়ার ৮ টি কার্যকরী মাধ্যম শেয়ার করলাম আশা করি এই মাধ্যম গুলো এপ্লাই করে আপনি অনেকটা উপকৃত হবেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকদিন আপনি ব্যায়াম করুন খাবারের মধ্যে ভিটামিন রাখুন এবং অপুষ্টিকর খাবারগুলো থেকে বিরত থাকুন ইনশাআল্লাহ আপনি ভালো ফল কয়েকদিনেই উপভোগ করতে পারবেন।
কিভাবে লম্বা হওয়া যায় সে সম্বন্ধে আপনার আর কোন ধরনের কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার প্রশ্নটি লিখতে পারেন। লম্বা হওয়ার জন্য উপরের মাধ্যম গুলো এপ্লাই করুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং শরীরের যত্ন নিন।