বেশিরভাগ ছেলেই যে সমস্যায় ভুগে থাকেন তা হলো টাক সমস্যা। ছেলেরা এমনিতেই নিজের যত্নের প্রতি উদাসীন থাকে। আজকে আমরা আলোচনা করবটাক সমস্যার সমাধান নিয়ে।
নানা অযত্ন-অবহেলায় চুল পড়া শুরু হয় যা শেষ পর্যায়ে টাকে গড়ায়। তাই ছেলেদের কিছু যত্ন নেয়া উচিৎ চুলের প্রতি এই টাক থেকে মুক্তি পেতে চাইলে।
চলুন জেনে নেই সেরকমই কিছু সহজ উপায়। চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল গরম করে নিন।
[ads1]
এরপর এতে ১-২ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এই হেয়ার মাস্ক চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ১৫-২০ মিনিট চুলে রাখুন।
এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোঁড়া মজবুত হবে এবং টাক পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।
►► রোজার মাসের ডায়েট চার্ট
►► ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে যে সব খাবার
[ads1]
টাকের কারণ এবং টাক সমস্যার সমাধান
যেকোনো দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অসুস্থতা (যেমন যক্ষ্মা, টাইফয়েড), কোনও অস্ত্রোপচারের পর, রক্তস্বল্পতা, ওজন কমে যাওয়া, হজমের সমস্যা বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার কারণে চুল বেশি হারে পড়তে পারে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কর্মব্যস্ততা, খুশকি, মাথার ত্বকের অপরিচ্ছন্নতা, অতিরিক্ত ডায়েট ও পুষ্টিহীনতার কারণেও টাক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনকি মূত্রনালির প্রদাহের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থা, মেনোপজের পর বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর।
[ads1]
অতি মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবনেও এই সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া বংশগত কারণেও টাক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ত্বক বিশেষজ্ঞদের অ্যাসোসিয়েশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি খুবই আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা।
কেননা, গবেষকেরা বলছেন, চুল পড়া একটি অতি সাধারণ ব্যাধি। এই ব্যাধি আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস কমানোসহ মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
তবে চুল পড়ার ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারের আগে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
[ads1]
►► গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়
►► নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানো ১৫ যোগ আসন
নারকেল দুধ এবং তেল
আমাদের চুল ও মাথার স্ক্যাল্প ভালো রাখতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে নারকেলের দুধ।
নিয়মিত নারকেলের দুধ ব্যবহারে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নারকেল কুরিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেকে দুধ বের করে নিতে হবে।
[ads1]
এবার ২০ মিলি নারকেল তেল, ১০ মিলি আমলকি তেল এবং দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিলিয়ে নিন। কিছুক্ষণের জন্য রেখে নিন।
এই তেল সপ্তাহে দুই দিন ভালো ভাবে মেখে ১ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন।
এতে যেমন চুল পড়া কমে যাবে তেমনি খুশকির যন্ত্রণা থেকেও রেহাই দেবে।
আমলা তেল, নারকেল তেল, বাদাম তেল বা এমনকি জলপাই তেল দশ মিনিটের মাসাজ আপনার চুল মজবুত করবে।
আর তেল মাসাজের ফলে আমরা মাথা ব্যথা ও মানসিক চাপ থেকেও পরিত্রাণ পেতে পারি।
[ads1]
পেয়ারা পাতা
পেয়ারার পাতা বেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন।
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে অনেক দ্রুত চুলের টাক সমস্যার সমাধান হবে।
লাউয়ের রস
লাউ বেটে রস বের করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল পড়া কমে যাবে।
[ads1]
আখরোট
আখরোট পানির মধ্যে ফুটিয়ে এর রস বের করে নিন।
এবার হালকা গরম থাকাবস্থায় এই রস দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
এতে আপনার চুল পড়া সমস্যার সমাধান হবে।
[ads1]
টুপি:
ভ্যাপসা গরমে তেমন টুপি পরার সুযোগ হয় না। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নানা রকম টুপি পরতে পারেন টাক ঢাকার জন্য।
ফেডোরা, সেলর হ্যাট, বেসবল হ্যাট— বাজারে নানা ধরণের টুপি পাওয়া যায়। পছন্দমত বেছে নিন।
►► এলাচের অবিশ্বাস্য উপকারিতা
►► নিয়মিত বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
[ads1]
সর্বশেষ
টাক সমস্যার সমাধান টাইটেলে যে আর্টিকেলটি আপনারা এতক্ষণ পড়েছেন সেটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন আশা করি আপনার টাক সমস্যার সমাধান হবে।
এটি বর্তমানে অনেকের ক্ষেত্রে একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং খুবই ঝামেলা দায়ক একটি রোগ।
আবার অনেকের তো অল্প বয়সে টাক হয়ে যাচ্ছে এমন রোগ রয়েছে। আপনাদের সবার বিষয় বিবেচনা করে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে আশাকরি আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনার উপকার হবে।
[ads1]