চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়রিয়া হলে করণীয় কি? এটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। ডায়রিয়া কেন হয় এবং কখন হয় এটি বয়স্ক নাকি বাচ্চাদের হয়ে থাকে এবং এটির সমাধান কিভাবে করতে হয় সে বিষয়গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেল।
গরমকালের মতো শীতকালেও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে রোটা ভাইরাসের কারণে এসময় যে কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
[ads1]
তবে বড়দের তুলনায় শিশুদের এ সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কখনও কখনও এই রোগ প্রাণঘাতীও হয়। তাই ডায়রিয়া হলে অবহেলা করা ঠিক নয়।
ডায়রিয়া হলে কিছু কিছু খাবার রোগীকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। আবার এমন কিছু খাবার আছে যা এসময়ে এড়িতে চলা উচিত।
এজন্য এসময় খাবারের ব্যাপারে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
[ads1]
ডায়রিয়ার কারণ
ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার জন্য এ রোগ হয়।
শহরে ট্যাপের পানি অনেক সময় সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে হলে দূষিত হয়।
অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় ফ্রিজের খাবারে পচন ধরা ইত্যাদি ডায়রিয়ার কারণ।
[ads1]
►► রোজার মাসের ডায়েট চার্ট
►► ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে যে সব খাবার
ডায়রিয়া হলে করণীয় কি?
১- মলত্যাগে স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করুন।
২ -পায়খানা করার পর ও খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
৩ – খাবার তৈরি করা ও পরিবেশন করার আগেও হাত ধুয়ে নিন। ব্যবহার্য থালা-বাসন, চামচ-বাটি ইত্যাদিও ভালো করে ধুয়ে নিন। এসব কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন।
৪ – ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ান।
[ads1]
৫ – বাসি-পচা খাবার, মাছি বসা খাবার এবং বাইরের খোলা খাবার, শরবত বা ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৬ – রান্না করা খাবার বেশিক্ষণ বাইরে রেখে দিলে তাতে রোগজীবাণু দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সুতরাং খাবার খেয়ে নিন গরম গরম।
বাড়তি খাবার ঠান্ডা করে রেখে দিন ফ্রিজে। পরে খাওয়ার সময় আবার ভালো করে গরম করে নেবেন।
৭ – পরিষ্কার পাত্রে রাখা টিউবওয়েলের নিরাপদ পানি কিংবা ফোটানো পানি ঠান্ডা করে পান করুন।
পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হলে চুলায় পানি ফুটতে শুরু করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় ফোটাতে হবে।
পানি ঠান্ডা হলে মাটির কলস বা কাচের জার বা বোতলে রাখুন। প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার না করাই ভালো।
আসুন জেনে নিই ডায়রিয়া হলে করণীয় এবং কী খাবেন?
[ads1]
১. বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রথমে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে দিনে আট থেকে ১০ গ্লাস তরল খাবেন।
৩. প্রতিবার টয়লেটে যাওয়ার পর এক কাপ পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া উচিত।
৪. ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন’-এর তথ্যানুযায়ী ডায়রিয়া হলে উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন– কলা, আলু ও ফলের রস খাওয়া যাবে।
৫. পিনাট বাটার, চমড়াছাড়া মুরগি বা টার্কিও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
[ads1]
৬. পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায়, প্রসাবের পরিমাণ কমে যায়, অতিরিক্ত পানি পিপাসা লাগে, মুখ শুকিয়ে যায় এবং শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়লে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
►► গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়
►► নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানো ১৫ যোগ আসন
ডায়রিয়া নিয়ে সতর্কতা
- বাইরের খোলা পানি খাওয়া যাবে না। অবশ্যই সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ফুটানো পানি পান করতে হবে।
- বাইরের খাবারের ব্যাপারেও খুবই সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিবেশন করা হয় এমন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
- রাস্তার পাশে এই সময় অনেক খোলা পরিবেশে লেবুর শরবত, আখের রস, জুস বা ফল কেটে বিক্রি করা হয়। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
- অত্যধিক গরমে অধিক পানি পিপাসা লাগাই স্বাভাবিক। চেষ্টা করতে হবে নিরাপদ পানি সাথে বহন করা।
[ads1]
ডায়রিয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণা ও করণীয়
মূলত গরমকালে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠিকভাবে পানি ও লবণ পূরণ করা হলে এটি কখনো গুরুতর আকার ধারণ করে না।
বেশির ভাগ ডায়রিয়া এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন, খাওয়া এমনকি এর চিকিৎসা নিয়ে এখনো রয়ে গেছে কিছু ভুল ধারণা।
শিরায় স্যালাইন নিতেই হবে?
[ads1]
অনেকে শিরায় স্যালাইন নিতে ভয় পান। কিন্তু ডায়রিয়ায় মাত্রা যদি তীব্র হয় তাহলে শুধু মুখে স্যালাইন পান করে শরীরে সৃষ্ট পানিশূন্যতা পূরণ করা সম্ভব না। তাই প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন নিতে হবে।
পানিশূন্যতার লক্ষণ
অস্থিরতা, খিটখিটে মেজাজ বা নিস্তেজ হওয়া। চোখ গর্তে ঢোকা। তৃষ্ণার্ত ভাব বা একেবারেই খেতে না পারা। চামড়া ঢিলা হওয়া। লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলে শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
►► এলাচের অবিশ্বাস্য উপকারিতা
►► নিয়মিত বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
[ads1]
শেষ কথা
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরেও আমাদের শরীরের মধ্যে ডায়রিয়া নামক এই রোগটি হামলা চালায়।
উপরে আমরা আলোচনা করেছি ডায়রিয়া হলে করণীয় কি? কি করতে হবে? এবং ডায়রিয়া হলে সতর্কতা কি? অথবা এ বিষয়ে সমস্ত বিষয়বস্তু আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি সেগুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার উপকারে আসতে পারে।
[ads1]