আমাদের আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সাথে আমি থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে A TO Z আলোচনা করব। আশা করি যে , আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
থানকুনি পাতার উপকারিতা
[ads1]
থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। থানকুনি পাতা সকল ধরনের পেটের অসুখের মহৌষধ।
পাতা বেটে ভর্তা করে বা ঝোল করে খেলে বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় ও পেটব্যথা সেরে যায়।
আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
►► আরো দেখো: রোজার মাসের ডায়েট চার্ট – যারা ওজন কমাতে চান
►► আরো দেখো: চুল পড়া বন্ধ করার খাবার ও নতুন চুল গজানোর উপায়
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
[ads1]
থানকুনি পাতার সর্বাধিক উপকার যদি পেতে চান তাহলে আপনাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া লাগবে।
কারন এটা থেঁতো করে রস বের করে খেতে হবে আপনার অথবা আপনারা ইচ্ছা করলে চিবিয়ে ও খেতে পারেন।
সকালে বেলা খালি পেটে যদি খান তাহলে পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা ঠিক করে দিতে পারবে এই থানকুনি পাতা।
ক্ষতের চিকিৎসার জন্য অনেক কাজে আসে
আপনার শরীরের ভিতরে কোথায় ও যদি কেটে গিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু দেখা যাবে যে সেখানে যদি অল্প পরিমানে থানকুনি পাতা (Thankuni Leaf) থেঁতো করে লাগিয়ে দিতে পারেন, তা হলে অনেক উপকার পাবেন।
[ads1]
এই থানকুনি পাতার ভিতরে আছে Saponins নামের ১টি উপাদান, আর যেটা ক্ষতস্থানে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দিতে থাকে, তাই এই কারণেই ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি একটা সময়ের দরকার হয় না।
ক্ষতস্থানে যদি কোন ও ধরনের সংক্রমণ ঘটে থাকে (Thankuni Benefits) হবার আশঙ্কা ও কমে যাবে।
হজমের সমস্যা দূর করে দেয়
আপনাদের খাবার খেলে কি হজমের কোন সমস্যা হচ্ছে তাজা থানকুনি পাতা ১ চিমটি লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিবেন।
তারপরে সেটাকে নিয়মিত ভাবে পান করতে থাকবেন। আর তার কারণ হল হজম শক্তি ভালো করবার জন্য আর সুস্থ থাকার জন্য থানকুনি পাতার এই পানীয় অনেক উপকারি একটি খাবার।
[ads1]
আমাশয় প্রতিকার হিসাবে কাজ করে
বর্তমান সময়ে এখন কিন্তু অনেক বয়সের মানুষ আছেন যাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি খুব বেশি পরিয়ানে দেখা গিয়ে থাকে।
কিন্তু আপনারা যদি আমাশয়ের সমস্যাটি হতে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনাদেরকে প্রতিদিন এই থানকুনি পাতা খেতে হবে।
সবার আগে আপনাদেরকে কিছু থানকুনি পাতাকে পরিষ্কার করে নিতে হবে আর তার সঙ্গে চিনি মিলিয়ে নিয়ে প্রত্যেক দিন ২ বার যদি খেতে থাকে,
তাহলে আপনারা অনেক সহজেই আমাশয় হতে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
[ads1]
কাশি রোদ করে
আপনাদের ভিতরে যাদের অনেক দিন ধরেই কাশি হচ্ছে কিন্তু খুব সহজে সেটা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তাদের জন্য আসলে থানকুনি পাতার রস অন্যরকম ভূমিকা পালন করবে।
প্রত্যেক দিন ২ চা চামচ থানকুনি পাতার রস চিনির সঙ্গে যদি মিলিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনাদের কাশি কমে যাবে।
আর আপনাদের এই সেবন প্রক্রিয়া ১ সপ্তাহ চালিয়ে যদি যেতে পারেন তাহলে শুকনো কাশি সহ অন্যান্য সকল ধরনের কাশি জনিত সমস্যা দূর হয়ে যেতে থাকবে।
জ্বর কমিয়ে দেয়
আমাদের ভিতরে অনেকেই আছি যারা জানি যে ১ ঋতু হতে অন্য ঋতুতে প্রকৃতি পরিবর্তনের সময় জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যেতে থাকে।
আর এই সময়তে থানকুনি পাতার রস যদি খেতে পারেন তাহলে আপনাদের এই রকমের জ্বর হতে অনেক সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন।
আর এর জন্য ১ চা-চামচ থানকুনি পাতার রস আর ১ চা-চামচ শিউলি পাতার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এরপরে প্রত্যেক দিন সকাল বেলা খালি পেটে যদি খেতে পারেন তাহলে সেরে যাবে আর শরীরের দুর্বলতা অনেকটাই কমে যেতে থাকবে।
চুল পড়া রোধ করে
[ads1]
আপনাদের ভিতরে যাদের মাথার চুল অধিক পরিমাণে ঝরে পড়ে যায় আর নতুন চুল গজাতে চায়না তাদের জন্য আসলে থানকুনি পাতা অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে।
আর এই সমস্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রতি সপ্তাহে ২ হতে ৩ বার থানকুনি পাতা বেটে যদি আপনাদের মাথার ভিতরে ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন তাহলে দেখবেন যে আপনাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে আর তার সাথে আপনাদের মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য ও অনেক সাহায্য করবে।
মস্তিষ্কের সমস্যা সমাধান করার জন্য
মস্তিষ্কের অনেক রকমের সমস্যা আছে সেগুলোকে সমাধান করার জন্য অনেক বেশি জোরালো ভূমিকা পালন করে থাকে সকলের পরিচিত এই থানকুনি পাতা।
পায়ের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে
থানকুনি পাতা যদি খান তাহলে আপনাদের পা ফুলে যাওয়া হতে শুরু করে দিয়ে পায়ের ব্যাথা কমানোর জন্য ও অনেক সাহায্য করবে।
রক্ত জমাট সমস্যা সমাধান করে
[ads1]
শরীরে রক্ত জমাট হয়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে থাকে থানকুনি পাতা।
আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তি দেয়
যারা আর্থ্রাইটিস অথবা বাতের সমস্যায় ভুগতেছেন তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে এই থানকুনি পাতা। এটা প্রদাহ দূর করার জন্য অনেক সাহায্য করে থাকে।
আপনাদের বাতের চিকিৎসার অংশ হিসাবে অনেক চিকিৎসকেরা নিয়মিত ভাবে থানকুনি পাতা খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
প্রত্যেক দিন অন্তত ২টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাবার অভ্যাস করবেন। আর তাহলে দেখা যাবে যে আপনারা বাতের সমস্যা হিতে দূরে থাকবেন।
পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে
থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে এটা পেট আর মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করার জন্য অনেক সাহায্য করে থাকে।
সেজন্য সবার আগে আপনাদেরকে পরিষ্কার আর তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করে নিতে হবে।
তারপরে সেই পানি ১টি গ্লাসে ছেঁকে নিতে হবে। এরপরে আপনাদেরকে তার সাথে যোগ করার লাগবে মধু।
পেটের আলসার আর মূত্রনালীর সমস্যা হতে মুক্তি পাবার জন্য প্রত্যেক দিন সকালে এই পানীয় পান করে নিবেন।
[ads1]
►► আরো দেখো: রোজার মাসের ডায়েট চার্ট – যারা ওজন কমাতে চান
►► আরো দেখো: চুল পড়া বন্ধ করার খাবার ও নতুন চুল গজানোর উপায়
থানকুনি পাতার অপকারিতা
থানকুনি পাতার উপকারিতা এর পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। চলুন তাহলে জেনে নেই থানকুনি পাতার অপকারিতা সম্পর্কেঃ
- কোনো খাবার দরকার এর থেকে বেশি পরিমানে খাওয়া আসলে ঠিক না। অতিরিক্ত পরিমানে কোন খাবার খাওয়ার ফলে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। থানকুনি পাতার ভিতরে আসলে ও সেটার কোন ব্যতিক্রম নেই। অতিরিক্ত পরিমানে থানকুনি পাতা যদি খান তাহলে পেটের পীড়া বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে।
- প্রয়োজনের থেকে বেশি পরিমানে যদি আপনারা থানকুনি পাতা খান তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের মাথা ঘুরার মতো অনেক রকমের সমস্যা শুরু হয়ে যেতে পারে, তাই সাবধান, সব সময় মনে রাখবেন কোন কিছুই বেশি পরিমানে করা বা খাওয়া ভাল বা লিমিটের ভিতরে থাকবেন।
- বিভিন্ন রকমের খোস পাচড়ার অথবা এলার্জি জনিতসমস্যা দেখা দেওয়া শুরু করে দিতে পারে।
- অনেকেই আছেন যাদের লিভারের অনেক রকমের রোগে আক্রান্ত আছেন, তাদের কোন ভাবেই থানকুনি পাতা খাওয়া ঠিক না।
- থাককুনি পাতা খাবার কারনে তারা অনেক রকমের সমস্যার ভিতরে পড়ে যেতে পারে, তাই সাবধান থাকবেন।
- আপনাদের ভিতরে যারা অপারেশনের রোগী আছেন তাদের জন্য থানকুনি পাতা না খাওয়াই ভাল হবে সব থেকে,
- আর তাই আপনাদের ভিতরে কারো যদি অপারেশন হয়ে থাকে তাহলে থানকুনি পাতা খাওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
[ads1]
আমাদের শেষ কথা
তাহলে আজকের আর্টিকেলে আপনারা থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলেন।
আশা করি, আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
আমাদের ওয়েবসাইট এর ভিতরে এই রকমের অনেক তথ্য শেয়ার করা হয়ে থাকে,
সেগুলো সবার আগে পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন।