উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ । স্বাস্থ্য টিপস

লজ্জা নয়, জানতে হবে। আজকের আর্টিকেলের টপিকটি প্রত্যেকটা মানুষের জন্য যানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক মানুষের জীবনে যৌনস্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ কি সেটাই আজকে আমরা আলোচনা করব। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

জাতীয় টেলিভিশন এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক ও অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এই তথ্যটি আলোচিত হয়েছে বেশ কয়েকদিন পূর্বে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচিত তথ্য যা মোটামুটি সবার জীবনেই জেনে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ কি সেটা নিয়েই আজকের বিস্তারিত আলোচনা।

নিয়মিত অনুষ্ঠানের লাইভ টিভিতে এক দর্শক প্রশ্ন করে বসেন তারই উত্তরে ডক্টর দিলরুবা বলেন, ফিমেল সেক্সুয়াল হেলথ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেখিনা আমরা খুব ওপেনলি কেউ কথা বলেছে। কিন্তু খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা পার্ট ফ্যামিলির লাইফ সাইকেলের মধ্যে, তার সেক্সুয়াল হেলথ কিরকম।

আরো স্বাস্থ্য টিপস পড়ুন

উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ

এটা যেমন প্রত্যেকটা নারীকে মানসিক স্বাস্থ্যকে ইফেক্ট করে, সেই সাথে তার রিলেশনশিপ কেউ অনেক বেশি ইফেক্ট করে ফেলে। এটা হচ্ছে টোটাল পার্টনারশিপ এর ব্যাপার যে তার পুরুষ পার্টনার কিভাবে তার সাথে বিহেভ করছে, তার সাথে রিলেশন কন্টিনিউ করছে। এই প্রত্যেকটা বিষয়ে কাউন্ট হয় তার সেক্সুয়াল লাইফে।

আর এই উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ গুলো শুধু আমাদের দেশেই নয় বরং পৃথিবীজুড়েই রয়েছে এটি। তবে খেয়াল করলে উন্নত দেশগুলোতে মহিলারা তাদের রাইট এর ব্যাপারে খুবই আউটস্পেকিং। তাদের ৪৩ শতাংশ নারীর সেক্সুয়াল হেলথ রিলেটেড দিস অর্ডার গুলোর আছে। সেই সাথে পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩০ শতাংশের কম।

এই ডাক্তার আরো বলেন, বাজারে যে সেক্সচুয়াল ডিসঅর্ডারের ওষুধ রয়েছে, পুরুষের জন্য আছে ১১০ টা মেডিটেশন। নারীর ক্ষেত্রে কোন মেডিসিনই নেই এখন পর্যন্ত। আমাদের দেশে ব্যাপারটা আরো ভয়াবহ। যেহেতু আমরা কনজারভেটিভ সোসাইটিতে থাকি সো ফিমেলরা কমফোর্ট ফিল করে না এ ব্যাপারে কথা বলতে। কিন্তু একই বিষয় অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে খুব ভালোভাবে যে কারো সাথে শেয়ার করতে পারছে অথবা ঠিকমতো নিজের বিষয়টি কন্ট্রোল করতে পারছে।

অনেকেই লজ্জা জনিত কারণে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে থাকে। এজন্যই উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ বাংলাদেশে বেশি হয়ে থাকে তবে অন্যান্য কান্ট্রি গুলোতে অনেকটাই নারীদের কম কথার কোন কারণ থাকে না তারা তাদের ইচ্ছেমতো শেয়ার করতে পারে চলতে পারে ফিরতে পারে। আবার আমাদের দেশে একই জিনিস ডক্টরের কাছে বলতেও অনেক লজ্জা বোধ করে থাকে।

এক্ষেত্রে সচেতনতা কিভাবে?

এখন সময় হয়েছে আমাদের সচেতন হওয়ার। উত্তেজনায় নারীদের কম কথার কারণ গুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এভাবে যদি চলতে থাকে সেক্ষেত্রে কোন নারী নিজের গোপন সমস্যাগুলো কখনোই কারো সাথে শেয়ার করার সাহস পাবে না, এমনকি পরিবারের কারো কাছে না। যৌন শাস্তির ব্যাপারে নারীদের কম কথার কারণ হচ্ছে তারা অন্যকে বলতে কমফোর্ট ফিল করে না এমনকি লজ্জা বোধ করে।

লজ্জা কে দূরে রেখে আমাদের উচিত বিষয়টাকে আরো গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখা। যেহেতু এটা একটা ডিজিজ। এগুলো আমরা সাইকোস সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার বলি। এখানে যেমন মেন্টাল হেলথ ইনভল্ভ, সেই সাথে দেখতে হবে ফিজিক্যালি আপনি আনফিট কিনা। উত্তেজনায় নারীদের কম কথার কারণগুলো এড়িয়ে চললে হবে না বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখা উচিত পরিবারের অন্যদেরও।

প্রথমে পুরো ব্যাপারটাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। তার কোন ক্রনিক ইনলেস আছে কিনা, সঙ্গীর সাথে তার সম্পর্ক ভালো কিনা তার সাইকোলজিক্যাল কোন ডিপ্রেশন বা স্টেটস আছে কিনা সবকিছু মিলেই ব্যাপারটা গঠিত হয়। এটা শুধু শারীরিক ব্যাপার নয় এখানে আবেগের ব্যাপার আছে।

পুরুষের ক্ষেত্রে যেটা হয়, এটা বেশি শারীরিক। এক্ষেত্রে এটা বেশি আবেগ ও মানসিক ব্যাপারে পূর্ণতা পেয়ে থাকে। উত্তেজনা নারীদের কম কথার কারণ এগুলোই মূলত হয়ে থাকে বেশিরভাগ সময়। তবে এগুলোকে এভাবে ইগনোর করে থাকলে সমস্যা বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

অনুগ্রহ করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।  আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment