ভাইরাস টোটাল – ফাইলে ভাইরাস আছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?

ভাইরাস টোটাল ! আপনার কম্পিউটারের কোন ফাইলে ভাইরাস আছে কিনা এটা আপনি কিভাবে বুঝবেন? সচরাচর আমরা যখন ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করি অথবা কারো কাছ থেকে একটা ফাইল সংগ্রহ করি তখন ওই ফাইলটি ওপেন করার পূর্বে একবারও চিন্তা করিনা।

আবার বেশির ভাগ সময়ে ফাইলটি ওপেন করার পরে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু এখানে যদি আপনার একবার সমস্যা হয় তাহলে, অনেক অনেক ক্ষতি হবে যে ক্ষতি পূরণীয় না। ভাইরাস থেকে সব সময় বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন।

অনেকের প্রশ্ন হতে পারে আমার কম্পিউটারে তো এন্টিভাইরাস আছে, কোন জায়গা থেকে ফাইল ডাউনলোড করি।

অথবা কারো থেকে ফাইল সংগ্রহ করলে সেটার মধ্যে যদি কোন ভাইরাস থাকে তাহলে তো সেটা অটোমেটিক ডিটেক্ট করবে।

কিন্তু এখানে আপনাকে বুঝতে হবে সব ধরনের এন্টিভাইরাস কিন্তু সব ফাইল ডিটেক্ট করতে পারে না।

একারণেই ইউজ পরিমাণ মানুষ আছেন যাদের কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস থাকার পরেও ভাইরাস দ্বারা এটাক হয়ে থাকে।

[ads1]

►► আরো দেখো: সফটওয়্যার ছাড়া সেকেন্ডেই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করুন
►► আরো দেখো: eSIM কি? কিভাবে কাজ করে?

ভাইরাস থেকে কিভাবে বাঁচবেন?

ভাইরাস টোটাল

আপনার কোন ফাইলের মধ্যে ভাইরাস আছে কিনা সেটা চেক করার জন্য মেইনলি আমি আজকে আপনাদের একটা টুলস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

এই টুলস এর মাধ্যমে চেক করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ফাইলটির মধ্যে ভাইরাস আছে কি নেই।

টুলসটির নাম হচ্ছে ভাইরাস টোটাল “VIRUSTOTAL” অনেকের কাছে হয়ত এই ওয়েবসাইটটি খুবই পরিচিত। virustotal.com এটা খুবই মেজিক্যাল একটা ওয়েবসাইট।

[ads1]

এই ওয়েবসাইটে সরাসরি চলে যেতে এখানে ক্লিক করুন। অথবা গুগলে গিয়ে সার্চ করুন ভাইরাস টোটাল “virustotal” লিখে।

উপরে যে স্ক্রিনশট দেয়া হয়েছে ঠিক ওই ভাবে একটি ইন্টারফেস আপনার সামনের শো করবে এই ওয়েবসাইটের।

ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন এখানে তিনটি অপশন রয়েছে “FILE – URL – SEARCH”

FILE : এটার অর্থ হচ্ছে আপনি সরাসরি আপনার কম্পিউটার থেকে আপনার ফাইলটি কে এখানে আপলোড করতে পারবেন।

ফাইলটি আপলোড করার ফলে এটি পুরোপুরি ভাবে এসকান হয় ডিটেক্ট করবে যে এর মধ্যে কোন ভাইরাস আছে কিনা।

URL : এটার অর্থ হচ্ছে আপনি কোন একটা লিঙ্ক এনে এখানে সার্চ করতে পারবেন যে এই লিঙ্ক সেইফ কিনা।

এটার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ওই লিঙ্কের মধ্যে যে ফাইল অথবা যে টেক্সট ডকুমেন্টস আছে সেটি সেইফ কিনা সেটা সম্পূর্ন ডিটেক্ট করবে এই টুলসটি।

[ads1]

SEARCH : এখানে আপনি সার্চ করে আপনার ফাইলগুলো ঠিক আছে কিনা সে বিষয়ে অবগত হতে পারবেন।

আপনার সবগুলো ফাইল এখানে চেক করে দেখতে পারবেন এগুলো সেইফ নাকি কোন সমস্যা আছে।

 

ফাইল চেকিং সিস্টেম!

আপনার কোন ফাইল নিয়ে সন্দেহ থাকবে সেই ফাইলটি আপনি এখানে দিয়ে সেটি স্ক্যান করে নিতে পারেন যে এটি মধ্যে কোন ভাইরাস আছে কিনা এটা সম্পূর্ণ ডিটেক্ট করবে ভাইরাস টোটাল টুলস।

এর জন্য আপনাকে প্রথমে ফাইল FILE সিলেক্ট করে সরাসরি আপনার কম্পিউটারের যেতে হবে,

এরপরে আপনার কাঙ্খিত যে ফাইল রয়েছে সেটিকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।

[ads1]

ছাড়া আপনি চাইলে ড্রাগ এন্ড ড্রপ করে এনে এখানে ছেড়ে দিলে এটা অটোমেটিক স্কান হওয়া শুরু করবে।

আপনি যে ফাইলটি এখানে এসকান করাচ্ছেন সেই ফাইল পূর্বে যদি অন্য কেউ এসকান করিয়ে থাকে তাহলে এটি মুহূর্তের মধ্যেই তারা রেজাল্ট দিয়ে দিতে সক্ষম আর যদি এটি প্রথমবার হয়ে থাকে তাহলে কিছুক্ষণ সময় লাগতে পারে এটি স্কান হওয়ার জন্য।

ফাইল চেক করার পরে উপরে একটা নাম্বারিং সিস্টেম রয়েছে যার মধ্যে ১-১০০ নাম্বার কাউন্ট করা হয় এবং এটার মাধ্যমে বোঝানো হয় আপনার ফাইল কতটা সেইফ এবং এটা ব্যবহার যোগ্য কিনা।

আপনি যদি স্ক্রল করে একটু নিচের দিকে আসেন সে ক্ষেত্রে দেখতে পারবেন বেশকিছু এন্টিভাইরাস রয়েছে যেগুলো এই ফাইল এর মধ্যে নেই যার ফলে এটা “Undetected” দেখাচ্ছে এবং আপনি যদি ওই এন্টিভাইরাস গুলো আপনার কম্পিউটারে ব্যবহার করেন তাহলে এই ফাইল এর মধ্যে সমস্যা থাকলে কখনো তারা ডিটেক্ট করবে না।

[ads1]

ভাইরাস টোটাল টুলস কিভাবে কাজ করে?

যেকোনো এন্টিভাইরাসের একটা ডাটাবেজ থাকে। যে ডাটাবেজ এর মধ্যে মালাইশিয়া স্কট কোড গুলো ইনস্টল করা থাকে।

এবং কোনটি যদি সেই মালায়েশিয়া এস্কর্ট কোডগুলোর সাথে ম্যাচ করে থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু ভাইরাস টোটাল অরনিং দেয় এবং আপনার কম্পিউটারে ফাইল টিকে আর ওপেন করতে দেয় না। অর্থাৎ এন্টিভাইরাস সেটাকে সম্পূর্ণভাবে স্টপ করে দেয়।

সব ধরনের এন্টিভাইরাস ডাটাবেজ কিন্তু একই না। প্রত্যেকটা এন্টিভাইরাসের ডাটাবেজ আলাদা আলাদা।

যেহেতু প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি হচ্ছে, নতুন নতুন কোড জেনারেট হচ্ছে,

যার ফলে অনেক এন্টিভাইরাস আছে আপডেট হয় না ঠিকমত এবং ডিটেক্ট করতে পারে না যে, এই ফাইলটি সেভ নাকি আন-সেইভ। এই সেই কাজটি করছে ভাইরাস টোটাল।

[ads1]

ভাইরাস টোটাল যা করে থাকেন, ইন্টারনেটে যত এন্টিভাইরাসের ডাটাবেইজ আছে সবগুলো ডাটাবেজকে একসাথে করে ফেলে,

এবং আপনি যখন কোন একটা ফাইল আপলোড করেন তখন অনেকগুলো এন্টিভাইরাস দিয়ে এই ফাইলটাকে স্ক্যান করা হয়।

এখানে আপনার যে এন্টিভাইরাস উইকনেস আছে, প্রতিনিয়ত এন্টিভাইরাস আপডেট না হওয়া, সবগুলো ভাইরাস ইনফর্মেশন ডাটাবেজে না থাকা এই সমস্যাগুলো ভাইরাস টোটালে নেই।

এই কারণেই আপনি ১০০% কনফার্ম থাকতে পারেন কোন ফাইল সেইভ নাকি আনসেইভ।

অনুরূপভাবে আপনি যদি অন্যান্য ফাইল এখানে স্কান করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কোনটি আপনার ব্যবহার করা উচিত এবং কোনটি ব্যবহার করা উচিত না।

►► আরো দেখো: ৫ টি ইউটিউবে সফল হওয়ার টিপস
►► আরো দেখো: ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করবো?

[ads1]

সর্বশেষ

পরে যে বিষয়বস্তু গুলো দেখানো হলো সব মিলিয়ে এই হচ্ছে ভাইরাস টোটাল টুলস।

আমি মনে করি এই সার্ভিসটি সবার ব্যবহার করা উচিত। স্পেশালি আপনি যদি ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করেন এবং যে সোর্স থেকে ডাউনলোড করেছেন সেই সোর্স যদি বিশ্বস্ত না হয়।

অথবা আপনার মনের মধ্যে যদি আপন হয়ে থাকে যে এই ফাইলটি ওপেন করবো কি করবো না? তখন অবশ্যই ভাইরাস টোটাল দিয়ে আপনার ফাইলটি কে চেক করে নিতে পারেন।

[ads1]

এটা খুবই পাওয়ারফুল এবং হেল্পফুল একটা টুলস। এই টুলস দীর্ঘদিন ধরে ডেভলপ হয়ে আসছে।

এটি গুগলের আন্ডারে ছিল অনেকদিন। এখন আর একটি কোম্পানির আন্ডারে রয়েছে যেটি গুগলের আন্ডারেই রয়েছে।

সুতরাং অবশ্যই এটা খুবই বিশ্বস্ত একটা টুলস। এটা আপনারা চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Comment